somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবিতা ও কবিতা-ভাবনার কাগজ_ বটতলা

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কবিতা বিষয়ক একটা লিটলম্যাগ করেছিলাম এক সময়।
আপনাদের জন্য আপলোড করে লিংকটা দিলাম।
পড়ে দেখতে পারেন একটু ভিন্নধাচের কাগজটি।











ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।

ওই কাগজের সম্পাদকীয়টা এখানে তুলে দিচ্ছি__

পতিতকথাঃ
প্রস্তুতি পেরিয়ে এ সংখ্যা থেকেই যাত্রা শুরু করছে বটতলা। অগ্রজের মিশ্রকথা আর সমবয়েসিদের সুপ্ত ইচ্ছাকে ধারণ করে এই আয়োজন। কবিতা এবং কবিতাই বটতলার; শেকড়, ডালপালা, পাতা কিংবা শাখা। কবিতা সম্পর্কে পূর্বের উচ্চারণ অপরিবর্তিত থাকছে। অথাৎ বটতলা কবিতাকে অনেকটা গণিতের মত দেখে; যার ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকবে রহস্য। বটতলা মনে করে না, কবিতা একবার পড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেবার মত কোন জিনিস। কেননা কবিতা হচ্ছে বারবার পড়ার মত, বারবার অনুভূতিকে নাড়া দেবার মত যৌক্তিক উপাদান। কবিতা শুধু কথার আঁকি-বুঁকি না হয়ে অনুভূতি প্রকাশের সূক্ষ্ণ নিয়ামক হয়ে আমাদের কাছে-পাশে থাকবে।...

‘কবিতার পাঠক কমে গেছে’
‘কবিতা এখন শুধু কবিদের হয়ে গেছে’
‘কবিতা বুঝা যায় না’
এ রকম অনেক অভিযোগ শোনা যায়। প্রশড়ব হচ্ছে কবিতার পাঠক কখন বেশী ছিল? আর দুর্বোধ্যতার অভিযোগ তো থাকবেই। সমাজের সব মানুষ তো আর সূক্ষ্ণ অনুভূতি নিয়ে জন্মায় নি! তাই বটতলা বলতে চায়- ‘আমাদের’ কবিতা আম-জনতার জন্য নয়। কবিতা কখনো গিয়ে কাউকে বলে নি আমাকে পড়ো, আমাকে পড়ো।
আর বলবেও না।”


স্বতন্ত্রতার বয়ান; অপরাধী আতড়ব-প্রলাপঃ
আমরা অন্যধারার কবিতার কথা বলতে চাই। আমরা বলতে চাই কবিতার বিচারে অনুভূতি-ই হবে প্রধান নিয়ামক। নিউরণের প্রতিটি সেল কাজে লাগিয়ে কবি’র কবিতা আবিস্কার করতে হবে। যে কবিতায় আবিস্কার করার মত কিছু থাকবে না, সে ধরণের কবিতা-চর্চায় আমরা নেই।

ঢুলি, বাদক ও অন্যান্য সমাচারঃ
নিজের ঢুল... ব্যাপারটা এমনই দাঁড়ায়। তবু নিজস্ব পথ ও মতের ব্যাখ্যা সময় ঠিকই দাবী করে। আমরা বাদক হলেও সময়কে এড়িয়ে যেতে চাই না। তার হাতেই ছেড়ে দিতে চাই তার হিসেব-নিকেশ।

অথৈ জল, জলঢেউ ও তরী প্রসঙ্গঃ
এই বাজারে মধু বেঁচতে যাওয়ার চেয়ে বিষ বিক্রি উত্তম। আমরা কোন বিক্রেতা হব জানি না। তবে বড় বড় ঢেউ দেখলে তরীর কথা মনে পড়ে। আর মনে পড়ে অগ্রজ মাঝিদের কথা।

একই পথে; ভিন্ন পথিকঃ
আমরা কবিতার পথেই হাঁটছি।
তবে প্রত্যেকে কিন্তু ভিনড়ব পথিক। ‘পথ কে পাবে’ অথবা ‘কাকে পথ পাবে’- সেই ব্যাপারে আগ্রহী হলেও উদগ্রীব নই। ‘বটতলা’ আপাত দৃষ্ঠিতে গোষ্ঠিবাদী প্রয়াস হলেও সেই দায় ‘সূচনা সংখ্যা’ এই অজুহাতের উপর চাপিয়ে দিলাম। এই সংখ্যায় হবিগঞ্জের তরুণরা, মূলত মধ্যশূন্যদশক (’০৫) থেকে যারা সচেতন ভাবে লেখালেখির সাথে জড়িত তারাই তালিকাভুক্ত হলেন। আর তালিকাভুক্তির তালিকাটি বটতলা খোলা রাখল সবার জন্য।

এ সংখ্যায় আমরা পূর্বজ কবি ও কবিতায় জানতে চেষ্ঠা করেছি সত্তর দশকের হবিগঞ্জের কবি, পার্থ সারথি চৌধুরী সম্পর্কে। আরো আছেন এক অনালোচিত মরমী সাধক, বাউল ছেগেন শাহ। ইংরেজ কবি ওয়াল্ট হুইটম্যান এর কবিতা অনূদিত হল মুলত তাঁর কবিতার বাঁক বদলে বিশেষ অবদানের কথা মনে রেখে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী বটতলা’য় কবিতার পাণ্ডুলিপি অংশে রনি হাসান এর কবিতা মুদ্রিত হল।
আমরা কবিতার পথেই হাঁটতে চাই। তবে গতানুগতিক পথে হেঁটে গিয়ে চিহ্ন রাখার কোনো মানে নেই। আসুন, মেধা ও মনন মিলিয়ে নাড়া দিই কবিতার ভিন্ন দিগন্তে; সুপ্ত অনুভূতির রাজ্যে।

কবিতার ভুবনে স্বাগতম।

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৩১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×