ছেলেটি হোস্টেলে থাকে, ঢাকায় । রাত আট টা বাজে, সেই ছেলেটি বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা মারতেছে চা দোকানে । হঠাৎ ফোনে কল আসলো, মা কল দিতেছে, তখন বন্ধুদের চুপ থাকতে বললো । কল ধরলো ছেলেটি, হ্যালো মা ।
মা: কী করতেছো?
ছেলেটি :বই পড়তেছি, কাল কুইজ আছে তাই ।
মা:ও, খাওয়া-দাওয়া করছো?
ছেলেটি :না, এখনো পড়া শেষ হয়নি তাই খাওয়া হয়নি, কিছুক্ষণ পরে কামু ।
মা:ঠিক আছে খেয়ে নিও, পড়ো তাহলে ।
এই রকমি চলতেছে এখনো । মাসে মাসে টাকা পাঠানো হচ্ছে ছেলেটির পিছনে, অথচ সেই টাকার অর্ধেকের বেশি খরচ হচ্ছে সিগারেটের পিছনে । মাথা ঘাম পায়ে ফেলে বাপ-মা দিতেছে টাকা আর ছেলেটি উড়াইতেছে টাকাগুলো শুধু । ছেলেটির কোনো হুস নেই এখনো, বাপ-মা কেমনে টাকাগুলো পাঠায়তেছে ।
এটি কিন্তু সত্য ঘটনা ॥
এই রকম আসলে ঠিক না, বুঝা উচিত বাপ -মার কস্ট একটু । আমি তো যখন টাকার জন্য মাকে কল দিই, কেমন কেমন লাগে কারণ আমার বাপ -মার টাকা কোনো ঘুসের টাকা না যে উড়াই চলমু, মাথার ঘাম ফেলে অর্জিত টাকা এগুলো । আসলেই তারাই জানে, আমাগোরে তারা কত কস্টে কেমনে মাসে মাসে টাকা পাঠায় ।আর আমাগো একটু বুঝা উচিত, ঢাকায় আমাগোরে কী জন্য পাঠানো হয়েছে, আমি অন্য দের নিয়ে আর নাক গলাতে চাই না, আর কেউ যদি আমার কথায় খারাপ ফিল করলে আমি তাদের হতে ক্ষমা চাই । তবে এটা আমি বলতে পারি, আমাকে পাঠানো হয়েছে ভালো কিছু করার জন্য, না হলে এলাকায় ও তো আমি পড়তে পারতাম ॥