রহস্য ভালবাসে না এমন মানুষ দুনিয়াতে নাই। অতি প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ পৃথিবীর প্রাচীন রহস্য এর পিছনে ছুটছে। কিছু রহস্য মানুষ উদ্ধার করতে পারে, কিছু রহস্য মানুষ কখনোই উদ্ধার করতে পারে না। আজ তেমনি কিছু রহস্যের কথা বলবো। চলুন আপনাদের ঘুরিয়া আনি কিছু বহুল প্রচলিত রহস্যময় দুনিয়া থেকে।
১) The Lost City of Atlantis
পৃথিবীর প্রাচীন রহস্য
হলিউড মুভিতে “সিটি অফ আটলান্টিস” এর কথা অসংখ্য বার এসেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন রহস্য এটি। সময়ের হিসাবে তা প্রায় ১১,৫০০ বছরের প্রাচীন। এতো প্রাচীন রহস্য তাও মানুষ এটি সমাধান করতে পারে নি, তাহলেই বুঝেন কেমন রহস্য এটি।
এই রহস্য উদ্ধারের একটি সুএ আছে, যদি আপনারা কেও আটলান্টিস খুজতে আসলেই যান তারা খুব সহজেই আটলান্টিস পেয়ে যাবেন কারন এটি “in front of the Pillars of Hercules” অবস্থিত। এর আয়তন ছিল লিবিয়া আর এশিয়ার মিলিত আয়তনের সমান। এতো বিশাল একটা শহর মাএ একদিনেই ধ্বংশ হয়ে গেছে লেখকের ভাষায় “in a single day and night of misfortune”। কোন লেখকের কথা বলছি? জী তিনি বিখ্যাত এক্সপ্লোরার প্লোটো/প্লাটো
২) The Bog Bodies
আচ্ছা বগ বডিস জিনিসটা কি আগে তা বলে নেই। মমি আর বগ বডিস কিন্তু এক না। মমি হলো সেই সব বডি যেগুলো বিভিন্ন ক্যামিকালের সাহায্য বিভিন্ন প্রক্রিয়ার প্রিজার্ভ করা হয় আর বগ বডি হলো প্রাকৃতিক ভবে যে সব বডি প্রিজার্ভ হয়ে থাকে।
Damendorf Man, Dätgen Man, Husbäke Man, Jührdenerfeld Man ইত্যাদি নামের হাজারের উপর বগ বডিস ছিল কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অনেক গুলো নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া মাটির নিচে যেখাবে প্রিজার্ভ ছিল আবিস্কারের পর সেভাবে আর প্রিজার্ভ করা হয় নাই। ফলে বর্তমানে মাএ ৪৫ টা বগ বডিস টিকে আছে।বগ বডিস মুলত জার্মানী, ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড ও ডেনমার্কে পাওয়া যায়।
৩) Jack the Ripper
“দ্য ফিফথ মোষ্ট অ্যামেজিং ক্রাইমস অভ দ্য লাষ্ট ফিফটি ইয়ারস” বইতে এক মাত্র জ্যাক দ্য রিপারের কোন ছবি নাই, অন্য সব অপরাধীদের ছবি আছে। জ্যাকের ছবির জায়গায় একটা বড় প্রশ্ন বোধক চিহ্ন দেয়া, এই একটা মাত্র কারনই আমকে কৌতুহলী করার জন্য যথেষ্ট। কে ছিলেন জ্যাক দ্য রিপার? অন্য সিরিয়াল খুনীদের চেয়ে এই একটা মাত্র প্রশ্নই জ্যাক কে করেছে রহস্যময়ী চরিত্র। জ্যাক কি ছিল কোন রাজপুরুষ? কোণ ছিচকে চোর? কোন পন্ডিত? এই না জানাই অন্য গনহত্যাকারীদের থেকে রিপার কে আলাদা করে রেখেছে।সে কতগুলো হত্যা করেছিল? এমন কি এটাও বিতর্কের বিষয়। আমরা কেবল এইটুকু জানি যে ১৮৮৮ সালের শেষ ভাগে সংগঠিত হয়েছিল অন্তত পাচঁটি নৃশংস খুন।তার মধ্যে চারটে লন্ডনের হোয়াইটচ্যপেল জেলায়, রাতের বেলায়, শিকারদের সবাই ছিল দেহপপোজীবি, যদিও তারা কেঊ পেশাদার ছিল না। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল পুরো লন্ডনে, রাস্তায় রাস্তায় মিটিং বসল, হোয়াইট চ্যাপেল রাত পাহারা দেবার জন্য দল গঠন করল নাগরিকরা। হাজার হাজার মানুষকে জেরা করে অবশেষে ছেড়ে দেয়া হল, কালো ব্যাগওয়ালা অনেকের ওপর জাপিয়ে পড়ল জনতা, চাকুরীতে ইস্তাফা দিল পুলিশ কমিশনার।
এক মাসের ও বেশি শান্ত থাকার পর আবার আঘাত হানল রিপার, বিশ পেরুনো একটি মেয়েকে কেটে টুকরো টুকরো করে সারা রুমে এমন ভাবে ছড়ানো হল যেন জিগস স পাজল। পরবর্তী বছর ১৮৮৯ সালে হোয়াইট চ্যাপেল এলাকায় আরো দুটি খুন হল দুজনেই পতিতা, কিন্ত আমরা কোনদিনই জানতে পারব না এই দুই হত্যার জন্য রিপার দায়ী কিনা।
১৮৮৮ সালে জর্জ বার্নার্ড শ সাংবাদিকদের কাছে একটা চিঠি লেখেন যে আসলে হত্যাকারী একজন সমাজ সংস্কারক যে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চায় ইষ্ট এন্ডের সামাজিক অবস্থার ওপর। চুপি চুপি বলে রাখি আমদের এই বার্নার্ড শ কিন্ত রিপার সন্দেহে অনেক গবেষকের তালিকায় আছে।
ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
আজ এ পর্যন্তই .........