ইয়াহুদি-নাসারা-কাফের-নাস্তিকদের ওয়াসওয়াসায় বিভ্রান্ত হয়ে আল্লাহপাক কর্তৃক হালাল ঘোষিত অনেক বিষয়কে মন্দ মনে করে অনেক মুসলিম ভাই ঈমান হারানোর মত অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হন। স্বয়ং আল্লাহপাক যাকে হালাল করে দিয়েছেন, তাকে নিন্দনীয় মনে করা গর্হিত অপরাধ। অথচ, ইয়াহুদি-নাসারা-কাফের-নাস্তিকদের প্ররোচনায় সাধারণ মুসলিম এমনকি মুসলিম রাষ্ট্রের সরকারও অনেক হালাল বিষয়কে নিন্দনীয় বলে মনে করে, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে নিষিদ্ধও করে। এরকম বহু বিষয় থাকলেও আজ শুধু একটা বিষয়ের ওপরই আলোচনা করব, যাকে ইয়াহুদি-নাসারা-কাফের-নাস্তিকরা ঘৃণাভরে বাল্যবিবাহ নামে অভিহিত করে।
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া প্রত্যেক ঈমানদার নারী-পুরুষ-শিশুর জন্মগত অধিকার। যেহেতু আল্লাহপাক নিজ হাতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন, তাই অল্প বয়সে বিবাহ করা ভাল নাকি মন্দ সেটা তিনিই সবচে ভাল জানেন। অথচ আল্লাহপাক পবিত্র কোরানের কোথাও বিবাহের জন্য বয়স নির্ধারণ করে দেন নাই। তিনি সুরা নিসায় যেসকল রমণীকে বিবাহ করা যাবে না তার একটি লিস্টও দিয়েছেন। সেখানেও অল্পবয়সী যুবতীদের বিবাহ করতে বারণ করা হয়নি। সুরা ত্বালাক এ মহান রাব্বুল আলামিন কীভাবে ত্বালাক করতে হবে তার নিয়ম বর্ণনা করেছেন। সেখানে অন্যান্য নারীদের ত্বালাক দেয়ার পদ্ধতির সাথে যেসকল যুবতী এখনো রজঃস্বলা হওয়ার বয়সে পৌছায়নি তাদের ত্বালাক দেয়ার বিধানও বর্ণিত আছে। সর্বোপরি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব, সর্বযুগের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ, যাকে সৃষ্টি না করলে এই মহাবিশ্বই সৃষ্টি করা হত না, সেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ ) হযরত আয়েশা (রাঃ ) কে ছয় বছরে বিবাহ করে নয়বছর বয়সে ছহবত মুবারক সম্পন্ন করেন। এই থেকে বোঝা যায় যে, তথাকথিত বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ করার ইচ্ছা মহান রাব্বুল আলামিনের কখনোই ছিল না।
অথচ, নাস্তিকদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে ৯৭% মুসলিমের দেশ বাংলাদেশে আজ কমবয়সীদের বিবাহ নিষিদ্ধ। এদেশের এক তৃতীয়াংশ মুসলিমই ১৮ বছরের কম বয়সী এবং ১৮ বছরের অধিক বয়সী অধিকাংশ মুসলিমই বিবাহিত। তাই বলা যায়, যেসকল মুসলিম নাগরিকের জন্য বিবাহের জরুরত রয়েছে, তাদের সিংহভাগই নাস্তিকীয় আইনের কারণে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার অধিকার হতে বঞ্চিত। প্রায় ছয় কোটি সংখ্যক মোমিন বান্দাকে কোরান সুন্নাহ পরিপন্থী রাষ্ট্রীয় আইন দ্বারা বিবাহ করার অধিকার হতে বঞ্চিত রাখা জুলুম ছাড়া আর কিছুই নয়।
জানি অনেক ইয়াহুদি-নাসারা-কাফের-নাস্তিক আমার এই পোস্টে এসে গালাগালি করে যাবে। কিন্তু মুসলিম ভাইদের ঈমান-আক্বিদা রক্ষার্থে সাহসী না হয়ে উপায় নাই। আমি বলছি না, সকল মুসলিমকে কম বয়সে বিবাহ করতে হবে। কিন্তু কোন মুসলিমের যদি অল্প বয়সে বিবাহ করার জরুরত থাকে, তবে মুসলিম ভুমিতে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের অধিকার নাই তাকে আল্লাহপাক কর্তৃক প্রদত্ত অধিকার হতে বঞ্চিত করার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



