somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

(বিষয়ঃ যুদ্ধবন্দীদের প্রতি আচরণ) স্বয়ং আল্লাহপাক যা হালাল করে দিয়েছেন, তাকে হারাম মনে করা গর্হিত কাজ এবং ঈমান ধ্বংসের কারণ-২

২১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইয়াহুদি-নাসারা-কাফের-নাস্তিকদের ওয়াসওয়াসায় বিভ্রান্ত হয়ে আল্লাহপাক কর্তৃক হালাল ঘোষিত অনেক বিষয়কে মন্দ মনে করে অনেক মুসলিম ভাই ঈমান হারানোর মত অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হন। স্বয়ং আল্লাহপাক যাকে হালাল করে দিয়েছেন, তাকে নিন্দনীয় মনে করা গর্হিত অপরাধ। অথচ, ইয়াহুদি-নাসারা-কাফের-নাস্তিকদের প্ররোচনায় সাধারণ মুসলিম এমনকি মুসলিম রাষ্ট্রের সরকারও অনেক হালাল বিষয়কে নিন্দনীয় বলে মনে করে, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে নিষিদ্ধও করে। এরকম বহু বিষয় থাকলেও আজ শুধু একটা বিষয়ের ওপরই আলোচনা করব, যাকে ইয়াহুদি-নাসারা-কাফের-নাস্তিকরা ঘৃণাভরে যুদ্ধবন্দী নির্যাতন/যুদ্ধাপরাধ নামে অভিহিত করে।

যুদ্ধ মানবসমাজের এক অলঙ্ঘনীয় ঘটনা। পৃথিবীতে সবসময়ই ভাল এবং মন্দ এই দুইটি বিষয়ের অস্তিত্ব থাকবে এবং এদের মধ্যে লড়াই চলবেই। সাধারণ মানুষ অনেক সময় ভাল এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে না পারলেও জ্ঞানী ব্যাক্তিরা ঠিকই পার্থক্যটি করতে পারেন। এককথায় বলা যায় যে, যারা ইসলামের নিকটবর্তী রয়েছেন, তারা সঠিক এবং ভালর পথে রয়েছেন। আর যারা ইসলাম হতে দূরে রয়েছেন, তারা নিশ্চিতভাবেই ক্ষতির মধ্যে রয়েছেন, মন্দের মধ্যে রয়েছেন, ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন।

যেহেতু, ইসলাম তথা ভাল এবং ইসলাম বিরোধী ইয়াহুদি-নাসারা-কাফের-নাস্তিক-সেক্যুলার-প্রগতিশীল চক্র তথা মন্দের মধ্যে বিরোধ অবশ্যম্ভাবী, এবং সেই বিরোধ বর্ধিত হয়ে হয়ে একসময় যুদ্ধে পরিণত হতে পারে, সেহেতু, প্রত্যেক মোমিনের উচিৎ যুদ্ধের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা এবং যুদ্ধকালীন তাদের কর্তব্যসমূহ সম্পর্কে সচেতন থাকা।

যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ হচ্ছে যুদ্ধবন্দী। যুদ্ধবন্দীদের সাথে কীরূপ ব্যবহার করতে হবে তার অত্যন্ত মানবিক এবং যৌক্তিক নির্দেশনা ইসলামে দেয়া আছে। বর্তমান সময়ে দেখবেন, ইয়াহুদি-নাসারা নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধবন্দী বা যুদ্ধে পরাজিত জনগোষ্ঠীর ওপর নির্বিচার নির্যাতনে মেতে ওঠে, যা সামগ্রিক মানবজাতির জন্য কল্যাণকার নয়। বরং ইসলামেই রয়েছে সঠিক বিচার। ইসলামে যুদ্ধবন্দীদের নির্বিচারে হত্যা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যেহেতু তারা সত্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছে, তাই তাদের সংশোধনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একারণে ইসলাম যুদ্ধবন্দীদেরকে মুসলিম ভাইদের সাথে থেকে, তাদের সেবা-শুশ্রুষা করে, সার্ভিস দিয়ে সৎ পথে আসার সুযোগ দান করেছে, যা নাস্তিকীয় যুদ্ধবন্দী নীতিতে সম্ভব নয়। এই অসাধারণ ব্যবস্থাকে নাস্তিকগণ দাসপ্রথা বলে প্রচার করে থাকে। কিন্তু দাস লাভ করা মোমিনদের যুদ্ধের প্রেষণা হতে পারে না, বরং তাদের সঙ্গ লাভ করে ইসলাম বিরোধী লোকেরা যাতে সৎ পথে আসতে পারে, তার জন্যই এই চমৎকার ব্যবস্থা।

অনেক সময় অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, যুদ্ধবন্দীরা এতটাই কলুষিত থাকে যে, এদের পক্ষে সত্য পথে ফিরে আসার আর কোন উপায় থাকে না। কোন আলেম যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, বন্দীরা আর কখনোই ইসলামের পথে আসবে না, সেক্ষেত্রে তাদের বাঁচিয়ে রেখে গুনাহের পাল্লা ভারী করার সুযোগ দেয়া উচিৎ নয়। তারা বাকি জীবন যে ইসলামবিরোধী অপরাধ সমূহ করবে, তার দায়ভার কিছুটা তাদের বন্দীকারীদের ওপরও পড়বে। এছাড়া এই বর্ধিত অপরাধসমূহের কারণে আখেরাতে তাদের সাজার পরিমাণও বাড়বে। তাই উভয়পক্ষের স্বার্থেই এই কলুষিত লোকগুলোকে কতল করা অপরিহার্য। দুনিয়াবী হিসাবে এটাকে অমানবিক বলে মনে হলেও, আখেরাতের সাজার কথা চিন্তা করলে এটা অনুধাবণ করা সম্ভব যে, এদের প্রতি বরং সুবিচারই করা হয়েছে। স্বয়ং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বনী কুরাইযার পাপিষ্ঠ যুবকদের ব্যাপারে এই কঠোর কিন্তু ন্যায়পরায়ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

সর্বশেষে, নারী যুদ্ধবন্দীদের প্রতি ব্যবহার নিয়েও নাস্তিকদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত অনেক মুসলিম ভাই তাদের স্বগোত্রীয় মুসলিমদের আচরণের সমালোচনা করে থাকেন। যেহেতু আল্লাহপাক নারীদের পুরুষদের তুলনায় সীমাবদ্ধ এলেম এবং তাগদ দিয়ে তৈরী করেছেন, সেহেতু বিরোধপূর্ণ অবস্থায় তারা তাদের পুরুষদের পথই অনুসরণ করে থাকেন। একারণে তাদের কতল করা অন্যায়। ইসলামের সৈনিকদের হাতে বন্দী হওয়াটা ইয়াহুদি-নাসারা-কাফের-নাস্তিক নারীদের জন্য সৌভাগ্যের চাবীকাঠি। কোন মুসলিম পরিবারের অন্দরমহলে যায়গা পেলে এরাও হয়ে উঠতে পারে পাক্কা ঈমানদার মকবুল নারী। আর এসকল নিরুপায়, অসহায় নারীদেরও রয়েছে স্বাভাবিক যৌনতার অধিকার, যা তাদের পাপিষ্ঠ পুরুষ সঙ্গীদের নেই। একারণেই এদের যৌনতার দায়িত্ব মুসলিমদের হাতেই অর্পণ করাই যুক্তিযুক্ত। আল্লাহপাক নারীদের নরম হৃদয় দিয়ে তৈরী করেছেন, এবং এরা সদাসর্বদাই সত্য পথের অনুসারী এবং বীর পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। মুসলিম সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী নারীরা তাদের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। আল্লাহপাক তাদের জন্য আশির্বাদস্বরূপ, হেদায়েতের সম্ভাবনায় এবং জৈবিক তাড়না নিবৃত্তির স্বার্থে মুসলিম পরিবারের হেরেমে যায়গা লাভের সুযোগ প্রদান করেছেন।

আল্লাহপাক ইয়াহুদি-নাসারা-নাস্তিক-কাফেরদের অপপ্রচার হতে মোমিন ভাইদের রক্ষা করুন, আমিন!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:০৯
৩১টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×