somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশেষ শিশুদের সামাজিকতা শেখানোর ১২ টি উপায়

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশেষ শিশুদের বেড়ে উঠা নিয়ে খুব একটা আলোচনা সচরাচর হয় না। অন্যান্য অনেক স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় বিষয় নিয়ে আমরা সচেতন হলেও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই এড়িয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাড়তি জনসংখ্যার সাথে সাথে সারা বিশ্বে বিশেষ শিশুদের সংখ্যায়ও বাড়ছে। বাংলাদেশেও আজ অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা কম নয়। এই বিশেষ শিশুদের আর ১০ জন শিশুর মত বেড়ে উঠার জন্য হেলথপ্রায়র২১ গত কয়েকদিন ধরে প্রকাশ করছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় টিপস। বিশেষ শিশুদের প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। আর সমাজের সবাই যদি তাদের প্রতি একটু একটু করে যত্ন ও ভালবাসা দেখায় তাহলে তারাও আর ১০ টি শিশুর মত সমাজে বড় হতে পারবে।
আজকে আমাদের নিবন্ধে আমরা উল্লেখ করছি বিশেষ শিশুদের সামাজিকতা শেখানোর ১২ টি উপায়। বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে আপনি আপনার শিশুকে আরও সামাজিক করে গড়ে তুলতে পারেন।
১) চোখের পলক না ফেলে তাকিয়ে থাকার খেলা
আপনার শিশুকে বলুন আজ একটি মজার খেলা খেলবেন। তার সাথে চোখের পলক না ফেলে তাকিয়ে থাকার খেলা খেলুন। এই খেলার মাধ্যমে তার অন্যের চোখের দিকে তাকানোর অভ্যাস হবে।
২) কপালের দিকে তাকিয়ে থাকার খেলা
আপনার শিশুর সাথে যখন সময় পার করবেন তার সাথে বিভিন্ন গঠনমূলক খেলায় মেতে উঠুন। কোন একটি খেলনা বা স্টিকার নিয়ে আপনার কপালে বসিয়ে দিন। আপনার সন্তানকে বলুন আপনার কপালের দিকে তাকিয়ে থাকতে। এতে তার কোন একটি নির্দিষ্ট জিনিসের দিকে সঠিকভাবে তাকানোর অভ্যাস হবে।
৩) দোলনায় চড়া
যখন আপনার শিশু দোলনায় চড়ে তখন যতটুকু সম্ভব তার চোখের দিকে তাকানোর চেষ্টা করুন। কখনো কখনো খেলার নতুন নতুন নিয়ম করুন, যেমন প্রতি দোলায় আপনার শিশুর পা আপনার পায়ের সাথে লাগবে। এতে তার কোন নির্দিষ্ট কাজের প্রতি মনোযোগিতা বাড়বে।
৪) মজার মজার ভাষা শিখার বই
আমরা প্রতিনিয়ত ভাষায় অনেক বাগধারা উপমা ব্যবহার করি। আপনার শিশুকে পূর্ণ ভাষার ব্যবহার শিখাতে বাগধারার ব্যবহারও শেখাতে হবে। মজার ভাষার কোন বই নিয়ে আসুন। তাকে পড়ে শোনান। বিভিন্ন আনন্দদায়ক কথায় এই বাগধারা বা উপমাগুলি ব্যবহার করুন। যেমন - তার সাথে কোন কাজ করার সময় তাকে বলুন "এই কাজটি পানির মত সোজা"। পড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন কাজে কর্মের মাধ্যমে তাকে ভাষা শিক্ষায় আরও দক্ষ করে তুলুন।
৫) ইন্টারনেটের ব্যবহার
ইন্টারনেট ঘেঁটে বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার ওয়েবসাইট বের করুন। এই সব ওয়েবসাইটে বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে মজাদার শব্দ কথা শেখান হয়। আপনার শিশুকে সাথে নিয়ে এই ধরণের গেমসগুলি খেলার চেষ্টা করুন।
৬) বুদ্ধি খাটানোর খেলা
বিভিন্ন শব্দ অথবা বাগধারার প্রশ্ন এবং অর্থ আলাদা আলাদা কার্ডে লিখুন। এরপর আপনার শিশুর সাথে বসে এই কার্ডগুলি মেলানোর খেলা খেলুন।
৭) খেলার মাধ্যমে অনুভূতি শেখা
কার্ড মেলানোর খেলায় সবসময় বাগধারা, উপমা বা শব্দ ব্যবহার না করে মাঝে মাঝে বিভিন্ন অনুভূতির শব্দ লিখুন। এরপর সেই অনুভূতি অভিনয় করে দেখান। তাকে আপনার দেখানো অনুভূতির সাথে কার্ডে লেখা অনুভূতির শব্দ মেলাতে বলুন। মাঝে মাঝে তাকেও অভিনয় করে দেখাতে বলুন। এই ধরণের খেলায় শিশু যখন কোন অপরিচিত মানুষের সাথে পরিচিত হবে তখন সে অন্য মানুষের বিভিন্ন আচার আচরনও দ্রুত বুঝতে পারবে।
৮) অনুকরণ করার খেলা
মাঝে মাঝে শিশুর সাথে খেলতে পারেন একজন একজনকে অনুকরণ করার খেলা। কখনো নিজের নাক চেপে ধরে, মজার মজার হাস্যকর চেহারা বানিয়ে আপনার শিশুকে দেখান। তাকে বলুন আপনাকে পারলে নকল করে দেখাতে। কখনও আপনি তাকে বিভিন্ন হাস্যকর উপায়ে নকল করুন। এতে শিশুর সামাজিকতা অনেকটাই বেড়ে যায়। সে মানুষের সাথে আরও দ্রুত মিশতে শেখে।
৯) কার্ড মেলানোর খেলা
বিভিন্ন মজাদার প্রশ্ন যেমন - সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন, দেশ বিদেশের নানা প্রশ্ন এবং উত্তর বিভিন্ন কার্ডে লিখে তা মেলানোর খেলা খেলতে পারেন। এটি আপনার শিশুর বুদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
১০) কোন একটি নির্দিষ্ট টপিকের উপর খেলা
আপনার শিশুকে একটি নির্দিষ্ট প্রসঙ্গের উপর ফোকাস রাখতে একধরণের বিশেষ খেলা খেলতে পারেন। যেমন - ইংরেজি প্রতিটি অক্ষরের সাথে সাথে একটি করে ফলের নাম বলা।
১১) শিশুর সাথে আলোচনা করা
কোন একটি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করা বিশেষ শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সাথে তাদের মত করে আলোচনা করতে হবে যেন তারা বিরক্ত না হয়, ঘাবড়ে না যায়। তার সাথে উপরোক্ত বর্ণিত পদ্ধতিগুলিতে খেলার সময় আলোচনাও ধরে রাখুন। কোন কার্ড মেলানোর পর বা কার্ড ভুল মেলালে তার সাথে মজাদার শিক্ষণীয় আলোচনা করুন। বিভিন্ন কথা এবং তার জবাবে তাকে ব্যস্ত রাখুন। এতে তার কথা বলার জড়তা দূর হতে পারে।
১২) গল্প বলার খেলা
বিভিন্ন ছবি সম্বলিত কার্ড, খেলনা সামনে রাখুন। তারপর প্রতিটি জিনিস ব্যবহার করে একটি গল্প বলার চেষ্টা করুন। প্রথমে আপনি গল্প বলার পর আপনার শিশুকে বলতে বলুন। গল্পকে মজার করে তুলতে বিভিন্ন মজার মজার ছবি খেলনা ইত্যাদি সামনে রাখুন।
(Healthprior21.com থেকে সংগৃহীত)
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×