আপাতঃদৃষ্টিতে মনে হতেই পারে সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতি এবং প্রসিত বিকাশ খীসার ইউপিডিএফ পরস্পর প্রবল প্রতিপক্ষ। যেহেতু গত ১২ বছর ধরে তারা পারস্পরিক হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত রেখেছে পাহাড়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। পাহাড়ে স্বায়ত্ত্বশাসন এবং পরে স্বাধীনতা,ওদের দুটি দলেরই মূল লক্ষ্য।
সন্তু লারমা মুখে সবসময় শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের কথা বলে,কিন্তু তার দলের সশস্ত্র শাখা বন্ধ করেননি। তার সশস্ত্র এবং রাজনৈতিক দল,দুটিই নিয়মিতভাবে চাঁদা সংগ্রহ করছে। আর ইউপিডিএফ চাঁদাবাজিতে তে তো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
নেতৃত্ব দিয়ে বিরোধ হলেও জেএসএস-ইউপিডিএফ সম্পর্ক কখনোই খুব বেশি দুরের নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য নানাভাবে কাজ করছে তারা। আর উভয় দলের কিছু পেইড বুদ্ধিজীবি,সাংবাদিক আছে,যার দেশের বারোটা বাজিয়ে পাহাড়ী মদে মুগ্ধ হয়ে স্রেফ দালালি করে। একাত্তরের দেশদ্রোহীদের সাথে এদের কোন অমিল নাই।
তাই সন্তু-প্রসিতের ফাঁদে পা দিয়ে,পাহাড়ে আসুন---৫/৭ দিনের জন্য নয়,অন্ততঃ ছয়মাসের জন্য। তারপর দেখবেন এখানে বাঙালীরা কতটা অসহায় ।।