somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইভটিজিংএর প্রতিকারে করনীয়

২৭ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইভটিজিংএর বাংলা অর্থ হচ্ছে= উওক্ত করা (শারিরীক ও মানুষিক ভাবে যৌন হয়রানি করা )উত্তক্ত করাটা হতে পারে বিভিন্ন ভাবে যেমন অশ্বালীন কথা বলে, শারিরীক লাঞ্চনা করে, যা কিনা শুধু ছেলেরাই মেয়েদেরকে করেনা বরং কখনো কখনো মেয়েরাও ছেলেদেরকে করে।এবং আমরা প্রায় সকলেই এ সম্পর্কে জানি| আজকাল আমাদের দেশে ইভটিজিং মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেছে এবং এর বলি হতে হয়েছে অনেক গুলো তাজা প্রাণ। শুধু শিক্ষার্থীই নয় এর আরো বলি হতে হয়েছে অনেক শিক্ষক এবং অভিবাবকরাও যা বলার অপেক্ষা রাখেনা ।
ইভটিজিং যে শুধু বাংলাদেশের সমস্যা তা নয়, সারা পৃথিবীতে এ সমস্যা আছে। তবে তা আমাদের দেশের মতো মাত্রা অতিরিক্ত নয়। ইভটিজিং কখনোই পুরোপুরী বন্ধ করা যাবে না, তবে একে সর্বনিন্ম পর্যায়ে রাখা সম্ভব । বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভাল লাগাথেকে শুরু হয় ভালবাসা এবং ভাল বাসার বহির প্রকাশ করতে গিয়ে বাধা পেয়ে জন্ম হয় ইভটিজিং, তবে এর ব্যাতিক্রম ও আছে। যাক সে সব কথা, ইভটিজিং এর জন্ম হয় কি ভাবে আমরা সামান্য ধারনা নেওয়ার চেষ্টা করলাম মাত্র। এখন আসি কি ভাবে এর প্রতি কার করতে পারি(যা একান্ত আমার নিজের মতামত, এতে অনেকেরেই ভিন্ন মত থাকতে পারে, যা স্বাভাবিক)
ইভটিজিং প্রতিরোধ ও প্রতিকারে যা করনীয় তা হতে পারে নিন্মরূপ:
১)সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন মজবুত করা। (পারিবারিক বন্ধন মজবুত হলে ছেলে মেয়ে কি করছে তা মা বাবার জানা থাকবে, ছেলে বা মেয়ে কখন কি করছে ,কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে যাচ্ছে, তার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা ইত্যাদি মা –বাবার জানা থাকবে, এবং এসব জানা থাকলে তারা সন্তানকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবে।) আর সমাজের বন্ধন মজবুত হলে এক পরিবারের সাথে অন্য পরিবারে বন্ধন ও মজবুত হবে, এতে করে একে অপরকে চিনবে জানবে এবং চেনা জানা থাকলে,কার সন্তুান কি করছে তা জানা যাবে এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে অনেক সহায়ক হবে। এবং ছোট ছোট সমস্যা সামাজিক ভাবে সমাধান করা যাবে।
২) ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে।সকল ধর্মে নারি কে সম্মান দেওয়া হয়েছে, ইভটিজিংকে নিষেধ করেছে।এতে করে ইহকাল ও পরকালে শান্তি থাকবে।
৩)মেয়েদেরকে পোশাক এর ব্যপারে সচেতন করতে হবে। কারন মেয়েদেরকে এমন পোষাক পরিধান করতে দেয়া যাবে না, যা কিনা দৃষ্টি কটু এবং যৌন আবেদন সৃস্টি করে।(এক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন যথেষ্ট)।
৪)সচেতনতা সৃষ্টি করে(মানে এর ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে সকলকে জানাতে হবে, যা হতে পারে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গির্জায় ধর্মীয় সভা সমাবেস এবং রাজনৈতিক সমাবেশে ও উঠান বৌঠকের মাধ্যমে সকলকে একটি কথা স্বরণকরিয়ে দিতে হবে যে আমার ও তো মা-বোন আছে, আমার ও তো ভাই আছে)
৫)আইন করে, কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে,এবং আইন এর প্রয়োগ করা।(আইন এমন ভাবে করতে হবে যাতে মেয়ে ইভটিজার এর ও শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে)
৬) ভিনদেশী অপসংকৃতী হাত থেকে যুব সমাজ কে রক্ষা করার মাধ্যমে(যেমন বাংলাদেশে কেবল এর মাধ্যমে আমরা অনেক বিদেশী টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ আছে। এর মধ্যে শত করা ৯০ ভাগ চ্যানেল ই যুব সমাজকে ধ্বংশ করার জন্য যতেষ্ট, কারন এসব চ্যানেলে যে সকল চলচিত্র, মিউডিক ভিডিও, গান, এবং বিভিন্ন নাটক ও সিরিয়াল দেখানে হয়, যার অধিকাংশ পরকিয়া ও ইভটিজিং এ ভরপুর।এ সব টিভি চ্যান্যেল এর জন্য সেনসর আরোপ করা। এবং প্রয়োজনে বন্ধ করে দেয়া।
৭) নীল ছবি এবং নীল গল্পের বই কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রন করা।
৮)ইন্টারনেটে সেনসর বা ফিল্টার সিস্টেম চালু করা , যাতে নীল সাইটে কেহ ভিজিট করতে না পারে। যা হতে হবে মোবাইল ও কম্পিউটার এর জন্য। বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেট ইদানিক অনেক জনপ্রিয় হলে ও এর কোন নিয়ন্ত্রন এখন ও করা হচ্ছেনা এবং মোবাইল সহজ লভ্য ও কম্পিউটার এর তুলনায় দাম কম ও বহনে সুবিধা । মোবাইল ইন্টারনেট এ ফিল্টার না থাকার কারনে নীল সাইটে বিজিট করা অতি সহজ হওয়াটাই ইভটিজিং এর অন্যতম কারন।
৯) রাজনৈতিক বিবেচনায় ইভটিজারকে ক্ষমা না করে এদের বিচার করা এবং রাজনীতিবিদদের নিজের স্বার্থে এদের ব্যবহার এবং আশ্রয় ও প্রশ্রয় না দেওয়া ।
১০) বেকারত্ত্ব ইভটিজিং এর জন্য দায়ী কারন গুলোর মধ্যে অন্যতম, কারন একজন কর্মজীবি মানুষ তার কর্মে ব্যস্ত থাকার কারনে সে ইভটিজিং এর জন্য সময় ও শ্রম পাবে না। আর বেকার মানুষের হাতে সময় থাকার কারনে সে ইভটিজিং এর জন্য সময় ব্যয় করতে পারে। কথায় আছে অলস মস্তিক শয়তানের কারখানা।
১১)সন্তান বিবাহের উপযুক্ত হলে তার বিবাহের ব্যবস্থা করা ।
১২)যুব সমাজকে খেলাধুলার দিকে মনোযোগী করে তাদের অলস সময় কাজে লাগানো, এতে করে যুব সমাজ ইভটিজিং থেকে দূরে থাকবে।
১২)মাদক থেকে যুব সমাজকে দুরে রাখা যা হতে পারে প্রতিরোধের অন্যামত হাতিয়ার।
১৩)স্কুল কলেজ ইভটিজিং এর ব্যপারে ছাত্র-ছাত্রী দেরকে ধারনা দেওয়া এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করা এবং স্কুল কলেজের সামনে অভিবাবক ছাড়া কাউকে অবস্থান করতে না দেওয়া । স্কুল কলেজ চলাকালে ও ছুটির সময় স্কুল কলেজের আশেপাশের কোন এলাকার মোড়ে কাউকে বিনা কাজে অবস্থান করতে না দেওয়া।
উপসংহারে বলা যায় যে, উপরে উল্লেখিত কর্মসূচীগুলো বাস্তবায়ন হলে আমাদের দেশে ইভটিজিং নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×