somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইউএসবি স্টোরেজ ডিভাইস- পেনড্রাইভ

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পেনড্রাইভ আঙ্গুলাকৃতির ক্ষুদ্র একটি ইউএসবি স্টোরেজ ডিভাইস । কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের প্রতিনিয়ত এর দরকার পরে । এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ফাইল , ছবিসহ
যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদান করা যায় । এতে ইউএসবি (ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস) সংযোগ রয়েছে । যার মাধ্যমে মূলত এত সুযোগ-সুবিধা এর ব্যবহারকারীরা পায়। আর এটি ক্ষুদ্র এবং সহজে বহনযোগ্য বলে প্রতিনিয়ত এর চাহিদা বাড়ছে । এক যুগ আগেও যেখানে মানুষ এইরকম ডিভাইসের স্পর্শ পায়নি আজ তা অতি সহজলভ্য একটি ডিভাইসে পরিণত হয়েছে ।

যেভাবে পেনড্রাইভের সৃষ্টিঃ

পেনড্রাইভ ডিভাইসটি সৃষ্টি করেন মালয়েশিয়ায় জন্মগ্রহণকারী পুয়া কেইন সেঙস । তিনি তাইওয়ানের চিয়ো টুয়াং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিকয়াল কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে তার স্নাতক সম্পন্ন করেন । এরপর স্নাতক সম্পন্ন করে করে ১৯৯৯ সালে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন । সেখানকার কয়েকজন প্রকৌশলীকে নিয়েই পরবতীতে তিনি ‘ ফিজন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করান । ২০০০ সালে ‘ ফিজন ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন’ নামে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে । আর এই প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই ইউএসবি টেকনোলজি নিয়ে কাজ করছে । মাএ ছয় মাসের প্রচেষ্টায় এই প্রতিষ্ঠান তাদের প্রথম আবিষ্কার ইউএসবি স্টোরেজ ডিভাইস-‘পেনড্রাইভ’ বাজারে আনতে সফল হয় । ২০০১ সালের জুন মাসে অবশেষে আঙ্গুলাকৃতির এই ক্ষুদ্র ডিভাইসটি ‘ ফিজন ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন ’ বিশ্ব বাজারে ছাড়তে সমথ হয় । আর এর মাধ্যমেই কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা অতি সহজে তাদের প্রয়োজনীয় ফাইল পএ,ছবিসহ যাবতীয় সকল তথ্য বহন করতে পারছে । বিশ্বে প্রথম পেনড্রাইভ তৈরি করে চমক দেওয়া ‘ ফিজন ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন ’ এর কল্যাণে তাইওয়ান ৩০ বিলিয়ন ডলারের উপর আয় করেছে । আর প্রতিনিয়ত এই প্রতিষ্ঠান তাদের ডিভাইসের গুণগত পরিবর্তন করে যাচ্ছে ।

পেনড্রাইভের মাধ্যমে বিভিন্ন ফাইল-পত্র অতি সহজে আনা-নেওয়া ও বহন করা যায় ।এর একটি বড় সুবিধা হচ্ছে যে এতে অনেক তথ্য সংরক্ষণ করা যায়, বাইরের ক্ষতি থেকে যা সহজে রক্ষা পায় ।এর উদ্দেশ্য ও প্রয়োজন নিয়েই এটি মূলত তৈরি করা হয়ে থাকে।

Pen-drive inventor
পরিচিতি
পুরোনাম- পুয়া কেইন সেঙস
জন্ম-১৫জুন,১৯৭৪
জন্মস্থান-মালয়েশিয়া
শিক্ষা জীবন -ইলেক্ট্রিক্যাল কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং, চিয়ো টুয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বাস-তইওয়ান
নাগরিকত্ব-মালয়েশিয়া
সিইও-ফিজন ইলেক্ট্রনিক্স কর্পোরেশন

পেনড্রাইভ যখন RAM:
ইউএসবি স্টোরেজ ডিভাইস পেনড্রাইভকে ইচ্ছে করলেই আমরা র‍্যাম বা RAM( Random Access Memory) হিসেবে ব্যবহার করতে পারি । এতে করে কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা কিছুটা বাড়বে । মাইক্রোসফট উইন্ডোজে কাজের জন্য দুই ধরণের মেমোরি ব্যবহৃত হয় । একটি হল - ‘ফিজিক্যাল মেমোরি’, যা র‍্যাম হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত । আর অন্যটি হল ‘ ভার্চুয়াল মেমোরি ’, যা হার্ডডিস্কে সংরক্ষিত থাকে । ‘ফিজিক্যাল মেমোরি’ সম্পন্ন হয়ে গেলে ‘ভার্চুয়াল মেমোরি’কে ইচ্ছে করলে ‘ ফিজিক্যাল মেমোরি’ হিসেবে ব্যবহার করা যায় । এতে করে কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যাবে । উইন্ডোজে-৭ এর ক্ষেত্রে পেনড্রাইভকে র‍্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে নূন্যতম ২-গিগাবাইট বা ৪-গিগাবাইট এর পেনড্রাইভ হলেই চলবে । এরপর পেনড্রাইভটিকে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ দিতে হবে । এরপর মাই কম্পিউটারের ওপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে ধরে রেখে Properties অপশনে যেতে হবে । এরপর Control Panel Home নামে একটি পেজ আসবে ।সেখান থেকে Advanced system settings এ যেতে হবে । এরপর System Properties এর Performance এর সেটিংসে (Settings) যেতে হবে ।সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে settings > Advanced >Change- অপশনে যেতে হবে । এখন ভার্চুয়াল মেমোরি ( Virtual memory) তে automatically থেকে ক্লিক তুলে নিতে হবে । এরপর Drive (Volume label)অপশনের মেনু থেকে পেনড্রাইভটি সিলেক্ট করতে হবে ।এরপর custom size অপশন সিলেক্ট করে Initial size এবং Maximum size বক্সে পেনড্রাইভের জন্য যতটুকু জায়গা রাখতে চান তার সংখ্যা লিখতে হবে । উইন্ডোজে ৫ মেগাবাইট খালি জায়গার প্রয়োজন হয় । তাই পেনড্রাইভে যত জায়গা আছে তার থেকে ১০-১৫ মেগাবাইট জায়গা কম ধরে সেখানে লেখতে হবে ।এরপর Apply বা ok দিয়ে কম্পিউটারটিকে রিস্টার্ট দিতে হবে । এবার পেনড্রাইভটি র‍্যাম হসেবে কাজ করবে । এভাবেই প্রয়োজনের সময় খুব সহজেই ‘ ইউএসবি স্টোরেজ ডিভাইস- পেনড্রাইভটি’কে র‍্যামে পরিণত করে সহজেই কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বাড়ানো যাবে । এতে করে কম্পিউটারটি আগের থেকে অনেকটা দ্রুত কাজ করবে এবং আপনিও কম্পিউটারে কাজের জন্য আপনার কাংখিত গতি পাবেন ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×