somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২৬শে জুন ২০১৮

সকাল থেকে ভয়ানক বৃষ্টি হচ্ছে তারপরেও আদালত পাড়ায় আজ প্রচুর লোক জমা হয়েছে। চিৎকার চ্যাঁচামেচিতে কান ঝালা পালা হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। জজ দেলয়ার হোসেনের কোর্টে আজ একটা হত্যা মামলার রায় হবে। দেলোয়ার সাহেব প্রচন্ড বিরক্ত নিয়ে আসামীর দিকে তাকিয়ে আছেন। লোকটা সেই প্রথম থেকে মুখ ভর্তি পান চিবুচ্ছে, জর্দার গন্ধে তার মাথা ধরে যাচ্ছে, তিনি আশে পাশে তাকিয়ে উসখুস করছেন।

দুই পক্ষের আর্গুমেন্ট শেষ। দুই পক্ষই প্রচন্ড মারমুখী ছিল, বেশ কয়েকবার তাকে দুই এডভোকেট কে তার খাস কামড়ায় ডেকে বকা দিতে হয়েছে। মামলাটা বেশ অপ্রতিকর, সাত বছরের এক মেয়ে শিশুকে ধর্ষন এবং হত্যা। মানুষ এত নির্মম কি করে হয় এটা তিনি বুঝতে পারছেন না। দেলোয়ার সাহেব গলা খাকড়ি দিয়ে ইশারায় সবাই কে চুপ করতে বললেন, কিন্তু কে শোনে কার কথা, সবাই যে যার মত চিৎকার করে যাচ্ছে। তিনি কিছুটা নিরুপায় হয়ে আসামির দিকে তাকিয়ে বললেন, দেলোয়ার আপনার কিছু বলার আছে?

- জ্বি না জিনাব, হাসতে হাসতে বলল আসামি। তারাতারি কাজ সারেন বেলা বাইরা গেছে, জেলে আইজ খিচুরি রানবে শুনছি, তারাতারি ছারলে গরম গরম খাইতে পারি আরি কি ।

দেলোয়ার সাহেব রাগে ফেটে যাচ্ছেন , একেতো এই লোকের মুখ ভর্তি পান যার গন্ধে তার মাথা ব্যাথা করছে তার উপরে এমন সব কথা,

-দেলোয়ার আপনি কি জানেন কোর্টে পান খাওয়া নিষেধ।

-জ্বি না জনাব জানতাম না , এখন জানলাম, পান কি ফেলে দিবো ? পাঁচ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম, অনেক সুস্বাদু পান, ফেলতে মায়া হচ্ছে।

- আপনি কোর্টের সাথে অশোভন আচরন করছেন এর জন্য আপনার কঠিন শাস্তি হতে পারে এটা আপনি জানেন

-জ্বি জনাব জানি, ফাসির উপর আর কোন শাস্তি থাকলে দিবেন, আলহামদুলিল্লহা!!

দেলোয়ার সাহেব, গভীর একটা নিঃশ্বাস ছাড়লেন, কোন এক অপদার্থ ডাক্তার নাকি বলেছে গভীর নিঃশ্বাস ছাড়লে রাগ কমে যায়, কিন্তু তার রাগ কিছুতেই কমছে না। তিনি মনে মনে উলটা করে দশ থেকে এক পর্যন্ত গুনলেন একশত পর্যন্ত গোনার সময় নাই। তিনি সরাসরি আসল কথায় ফিরে এলেন।

-দেলোয়ার, আপনি কি আপনার অপরাধ স্বীকার করছেন,

-জ্বি না জনাব, মেয়ের বয়স আঠারো ছিলো , সে মোটেও নাবালিকা ছিলো না।

-কিন্তু ডাক্তার তো বলছে মেয়ের বয়স সাত ।

-জনাব ডাক্তার সঠিক বলেন নাই, ছুড়ি দেখিয়ে নকল করে পাশ করেছেন, মেয়ের বয়স আঠার ছিল, আমি তারে খুন করি নাই সে গলায় দড়ি দিছে।

-কিন্তু সকল প্রমান তো বলে আপনি তাকে ধর্ষন করেছেন এবং খুন করেছেন।

-জনাব এই সব শরমের কথা কেমনে বলি, তারে খুন করি নাই, কি করবো বলেন বোউ গেছে বাপের বাড়ি, বেডির আওনের নাম নাই, আমার উঠলো বেজায় চাপ। শাকচুন্নি বেডিরে ফাঁসি দেন, বাপের বাড়ি গেলে আইতেই চায় না।

-তাইলে আপনি বলছেন আপনি নির্দোষ

-শতভাগ নির্দোষ, স্যার, আপনার নাম কি দেলোয়ার ?

দেলোয়ার সাহেব থতোমত খেয়ে গেলেন, কাপা হাতে এক গ্লাস পানি খেলেন, টিস্যু খুজে পাচ্ছে না, পকেট হাতালেন, কাজের সময় কিছু না পেলে তিনি প্রচন্ড বিরক্ত হন, তিনি গলা ঝেড়ে আসামি কে বললেন, আদালত যা যা জিজ্ঞাসা করে আপনি ঠিক সেই প্রশ্নের উত্তর দিন, অতিরিক্ত কথা বলবেন না।

-জ্বি আলহাদুলিল্লহা, অবশ্যই বলবো না। নামে নামে জমে টানে শুনছিলাম

দেলোয়ার আপনার নামে আনিত সকল অভিযোগ প্রমানীত, আপনার পক্ষে কোন রকম প্রমান আপনি দেখাতে পারেন নাই যে আপনি এই খুন ও ধর্ষন করেন নাই। তাই আদালোত আপনাকে ফাঁসির হুকুম দিচ্ছে। সেই সাথে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করছে।

-জ্বি জনাব আল্লাহ ভরসা, তিনি চাইলে ফাঁসি হবে না চাইলে না। আপনি আমি কেউ না। জনাব একটা কথা বলতে চাই যদি অনুমতি দেন।

-হ্যা বলো, আগ্রহ নিয়ে তাকালেন আসামির দিকে দেলোয়ার সাহেব।

-আপনার মেয়ের বেলাড ক্যান্সার এটা আমি সারায় দিতে পারবো, আমি ফুক দিয়া একটা তাবিজ দিব, ইনশাআল্লাহ মুশকিল আসান।

দেলোয়ার সাহেব উঠে দাঁড়ালেন এবং মাথা ঘুরে পরে গেলেন। লোকজনের হইচই বেড়ে গেলো, বেহুশ হতে হতে তিনি ভাবছিলেন এই লোক গুলো কি সারাক্ষন এমন চ্যাঁচ্যাঁয়, শান্তি মত কোন কাজ করতে দেবে না নাকি।

১২ই অক্টবর ২০২০

গতকাল দেলোয়ার সাহেব তার কর্ম জীবন শেষ করলেন, সহকর্মিরা অনেকেই মুখে মুখে বেশ দুঃখ দুঃখ ভাব দেখালেও তিনি বেশ ভালো করে জানেন বদ গুলা বেশ খুশিই হয়েছে। উপহার দিছে একটা জায়নামাজ আর কোরান শরিফ, আর একটা হাটার লাঠি, তিনি কি বৃধ্য, তিনি কি অথর্ব? তোরা এত দিলি হুইল চেয়ার দিতি, হুইল চেয়ারে বসে সারাবিশ্ব ঘুরে বিশ্ব রেকর্ড করতাম, ফাজিলের ফাজিল সব। তিনি তার সহকারী মোশারফ কে সব গুলা ফেলে দিতে বলেছেন কোরান শরিফ বাদে। তিনি ঠিক করেছেন এই জীবনে তিনি আর এদের মুখ দেখবেন না। মোশারফ ছেলেটা ভালই যা বলেন সব মেনে নেয়। কি এক বিচিত্র কারনে তার ড্রাইভার মোসারফ কে মশা বলে ডাকে। তিনিও একদিন ভুল করে মশা বলে ডেকেছিলেন।

স্ত্রী কন্যা ছাড়া তিনি দির্ঘ বারো বছর কাটালেন, মনয়ারা তার স্ত্রী, ভদ্রেমহিলার ধারনা তিনি উন্মাদ, তাই মনয়ারা তাকে ছেরে তার ভাইয়ের কাছে চলে গেছেন বারো বছর আগে। স্ত্রীর জন্য কষ্ট হচ্ছে না। মহিলা তার জীবন কয়লা কয়লা করে এখন সেই কয়লা দিয়ে দাত মাজার জন্য কানাডা চলে গেছেন। আরুশির জন্য কষ্ট হচ্ছে, আরুশি সবার ছোট, মেয়ে টা অনেক দিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছে। একবার কানাডা যেতে হবে , আরুশি তাকে যেতে বলেছে। তিনি অবশ্যই জাবেন, কিন্তু তিনি ঠিক করেছেন তিনি মাস্ক ও সান গ্লাস পরে থাকবেন যাতে মনয়ারা নামের বদ মহিলা তাকে দেখতে না পায় তাকে একটা ভালো শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন আছে। তার বোঝা উচিৎ স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহস্ত, সে বেহস্ত না খুজে কানাডা গিয়ে বসে আছে।

-স্যার একজন আপনার সাথে দেখা করতে চাচ্ছেন, মোশারফ এসে বললো।

-মশা তুমি অনেক যন্ত্রনা করো। সাত সকালে কে আসবে, বল যে আমি নেই।

-স্যার বলছে আপনি তা কে চেনেন।

-আমি তো অনেক পাগোল ছাগোল চিনি তাই বলে কি আমাকে তাদের সবার সাথে দেখা করতে হবে নাকি। যাও বলে দাও দেখা হবে না, আমি ব্যাস্ত আছি।

মোশারফ মাথা ঝাকিয়ে চলে গেলো, এই সব লোক নিয়ে হইয়েছে মহা ঝামেলা, এদের দিয়ে কোন কাজ্ও হয় না আবার এদের ছাড়া চলেও না। এক কাপ চা হলে ভালো হত, চা খাওায়ার জন্য গলা টা খুসখুস করছে। মোশারফ মাথা নিচু করে আবার ফিরে এলো।

-কি কিছু বলবা ? বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন

-স্যার বলছে আপনার সাথে দেখা না করে যাবে না।

-কে দেখা না করে যাবে না।

-স্যার নাম বলল দেলোয়ার আপনি নাকি তার মিতা হন, মাথা নিচু করে বললো মোশারফ

বড় বড় নিঃশ্বাস ছাড়তে লাগলেন দেলোয়ার সাহেব, চোখ লালা করে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলেন, ঠোঁট চেপে পায়ের আঙ্গুল মোচারতে লাগলেন, ইচ্ছা করছে ঠাস করে একটা থাপ্পর মারেন কিন্তু পারছেন না কারন বয়ষ্ক একলোক কে থাপ্পর মারাটা অভদ্রতা। সকালে এক কাপ ও চা খাওায়া হয় নাই এর মধ্যে এই যন্ত্রনা।

-আচ্ছা যাও আসতে বলো। আর এই লোক যতক্ষন থাকবে আমার সামনে তুমি আসবা না যত সব মূর্খ্যের দল আমি দুধ কলা দিয়া বেকুব পালি, লোক জন পালে সাপ আমি পালি বেকুব। দুই তিনটা সাপ পুষলেও কাজে দিত, যে গাধাটা আসছে তারে দংশন করতো।

-জনাব ভালো আছেন, ময়লা অতি ব্যাবহারে সাদা পাঞ্জাবী কালো রঙের হয়ে গেছে এমন এক পাঞ্জাবী পরা এক লোক ঘরে ঢুকলো, সারা ঘর জর্দার গন্ধে ভরে গেছে।

দেলোয়ার সাহেব নাক কুচকে বললেন, এই কে আপনি , পান খেয়ে আমার সামনে কেন আসছেন, মোশারফ এই লোক কে বিদায় কর। তারপর মনে হল তিনি তো মোশারফ কে থাকতে মানা করেছেন।

-জ্বী জনাব মনে হয় আমাকে চিনতে পারেন নাই , আমি দেলোয়ার, ওই যে বজ্জাত মেয়ে ছেলে টা গলায় ফাস নিলো দোষ হইলো আমার। আমি সেই দেলোয়ার।

-হ্যা কি চাই বলেন, যদিও তিনি মনে করতে পারছে না, কোন দেলোয়ার।

-তোমাকে আমি কি সাজা দিয়েছিলাম

-জনাব ফাঁসি দিয়েছিলেন সেই সাথে জরিমানাও ,

-তো তুমি মুক্তি পেলে কি করে ? সুপ্রিমকোর্ট কি তোমায় খালাস দিছে?

-জ্বী জনাব একে বারে খালাস, বলে পান খাওয়া দাত দেখালো।

দেলোয়ার সাহেব মনে মনে গাধা গাধা গাধা তিন বার গাধা বললেন, তার সহকর্মিরা কি করে একজন ফাঁসির আসামিকে বেকসুর খালাস দিলো এটা নিয়ে তিনি মানতেই পারছেন না। দেশে কি আইন কানুন সব উঠে গেছ নাকি। একজন দাগী আসামিকে বেকসুর খালাস, যত্তসব , দাতে দাত পিষে তিনি আগন্তুক কে দেখতে লাগলেন।

-তো বল্লা না কি চাই তোমার।

-কিছু চাই না , আপনাকে দেখতে মন চাইলো তাই আসলাম।

-হাতে কি তোমার।

-জনাবের জন্য উপহার , রাজশাহির খাঁটি মিস্টি পান সেই সাথে চমন বাহার জর্দা, অতি উপাদেয় খাদ্য। মুখে দিবেন মোমের মত গইলা যাবে। আমার দাদী খুব পছন্দ করতো, জনাবের জন্য খালি হাতে আসবো তাই বাজার থেকে এক বিড়া পান আর এই জর্দা আনলাম।

-তোমাকে কে বললো আমি পান খাই।

-আজ না হয় কাল খাবেন, একটা পান খাইলে কিন্তু জনাবের ফাঁসি হবে না। হাসতে হাসতে বললো আগন্তক।

দেলোয়ার সাহেব ঠোঁট কামড়ে নিজেকে সামলাচ্ছেন, তিনি হাত নেড়ে বললেন , আচ্ছা ঠিক আছে এই বার বিদায় হও।

-জ্বী জনাব অবশ্যই যাবো , আমার সময় হয়ে গেছে। আপনার ছোট মেয়ে আরুশি মায়ের কি ক্যান্সার ভালো হইছে, খোজ নিতে আসলাম। আসি জনাব, বেলা বেড়ে যাচ্ছে এত্তক্ষন বাহিরে থাকা ঠিক হবে না। গন্ধ হয়ে যাবে। তাবিজ টা কি রেখে যাবো ?

দেলোয়ার ফিরে এসে আবার জিজ্ঞাসা করলো, একটা কথা বলতে ফিরে এলাম জনাব, ফাঁসি তো দিলেন ফাঁসির পরে জরিমানা ক্যামনে দিব এটা তো বললেন না,ব্যাপারটা নিয়ে অনেক চিন্তায় আছি, দায় রাখা ঠিক হবে না।

দেলোয়ার সাহেব মাথা ঠান্ডা করার চেস্টায় আস্থির, লোকটা ধির পায়ে চলে গেলো , মৃদু স্বরে গান ও গাইছে চক্ষে আমার তৃষ্ণা । তিনি চাচ্ছেন কেউ এসে তাকে শান্ত করুক, মোশারফ কে ডাকবেন কি না ভাবছেন , না ডাকা যাবে না, এই অপদার্থ তার মেজাজ আরো খারাপ করে দেবে। তার থেকে পেপার পড়া ভালো, পেপারে আজকাল অনেক হাসির সংবাদ দেয়। আমাদের অর্থমন্ত্রী নাকি যাকে তাকে চুপ শুয়ারের বাচ্চা বলছে, একজন বয়ষ্ক লোক কি করে এমন বলে ভাবার বিষয়। পেপার খুলে প্রথম পাতা পড়ার চেস্টা করলেন সব মজা আসলে শেষের পাতার আগের পাতায় বিনদনের পাতা কিন্তু তিনি চাচ্ছেন মজা টা ধিরে ধিরে গ্রহন করতে। প্রথম পাতার এক কর্নারে সংবাদ, চাঞ্চল্যকর ধর্ষন ও হত্যা মামলার আসামী দেলয়ারের ফাঁসি কার্যকর গতকাল রাত বারোটা টা এক মিনিটে। তার নিকট আত্মীয় না থাকায় তার লাশ আঞ্জুমান মুফিদুলের কাছে হস্তান্তর পাশে ক্যাপশানে আসামির হাস্যজ্জল একটা ছবি। দেলোয়ার সাহেব শেষবারের মত জ্ঞ্যান হারালেন। জ্ঞ্যান হারানর সময় তিনি ভাবছিলেন মোশারফ কে প্লেনের টিকেট কাটতে বলতে হবে। আরুশি কে অনেক দিন দেখি না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×