মনে করো হারিয়ে যাবার পরে আমি এলাম
তোমার অজান্তে কোন এক অলস দুপুরে
যে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তুমি চুল শুকাতে শুকাতে
নিতান্ত অবহেলায় অর্কিডের যে পাতা তুমি ছিড়ে ফেলে দিতে
সেই ছেড়া পাতার উপর সুর্যের তির্জক রোদ হয়ে।
আমায় কি তুমি চিনে নেবে বা রোদের কোমলতায়
আমার স্পর্শ কি অনুভব করবে?
মনে করো আমি এলাম বসন্ত বেলার অশান্ত হাওয়ার ঝোক হয়ে
ফুলের সুবাস মেখে নতুন পল্লবের গায়ে রোদের ঝিলিক হয়ে
চোখের কোনায় শত তারার ঝিলিক দিয়ে চাপা হাসির আমন্ত্রণে
আমায় কি টেনে নেবে তোমার ঠোঁটের উগ্র কামনায়?
ধরো আমি ঝড় হলাম, হাজার পাখির বাসা উড়িয়ে
গ্রাম কে গ্রাম পায়ে দলেমলে ধ্বংসের চুড়ান্ত শিখরে দাঁড়িয়ে
ঘূর্নীঝড়ের ঘূর্নী হয়ে যদি আলিংগন করি
আমায় কি তুমি জড়িয়ে নেবে সেই ছেলে বেলার মতো করে।
আমার বড্ড একা লাগে এখানে।
এখানে রোদ আসে না মেঘ হয় না ষড়ঋতুর দৌড় ঝাপ নেই
বড্ড এক ঘেয়ে এক সময়।
পায়ের ডগায় হঠাৎ চুলকে উঠলে চেয়ে দেখা ছাড়া কিচ্ছু করার নেই আমার।
কিচ্ছু করার নেই, একদম না, শুধুই আলসেমি আর নিশব্দের গাঢ় নিঃশ্বাস
শীতল অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৩