নিশুতি রাতের অলিন্দে দাঁড়িয়ে,
আমি শুনি, কৃষ্ণচূড়ার ডালে বসে থাকা কাকটির হঠাৎ থেমে যাওয়া কণ্ঠ,
চাঁদের আবছায়া আলোয় ঝলমলে হয়ে ওঠে
সেই পুরনো মফস্বল শহরের স্মৃতি:
ঝড়ো চুলের গন্ধমাখা দিন, ধুলোয় মোড়ানো বিকেল,
আর একজোড়া কাজল লেপ্টানো চোখ,
যার দিকে তাকিয়ে আমি বুঝেছিলাম,
ভালোবাসা নিছক কল্পনা নয়।
তুমি ছিলে না, তবুও ছিলে
পরে যাওয়া রোদের আলোয় কোন
পলেস্তার খসা শহরের ছায়া হয়ে,
কিংবা কাকের সেই ডাকে ছড়িয়ে থাকা
অভিমানী অনুরোধে:
আর একবার ফিরে এসো,
অন্তত একটা বিস্মৃত সন্ধ্যা নিয়ে।
এখন শহরের এই কংক্রিটে,
আমি বুকে চেপে ধরি ফোনের স্ক্রিন
তোমার নাম নেই, নম্বর নেই,
আছে শুধু ক্লাউডে জমা এক ঝাঁক অবয়বহীন মেঘের মতো স্মৃতি।
তবু মাঝেমধ্যে, আবর্জনার স্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে
ক্ষুধার্ত কাকের দিকে তাকিয়ে মনে হয়
এই শহরেরও একটা হৃদয় আছে,
যেখানে কাকেরা অভিমান করে না,
কেবল অপেক্ষা করে।
আর আমি?
আমি এখন শুধু শব্দ গেঁথে যাই কবিতায়,
যেন কোনো এক প্রাচীন শহরের
চিলেকোঠায় তুমি হঠাৎ পড়ে ফেলো এই পঙ্ক্তিগুলো
আর একটিবার, শুধু একটিবার
কাঁপা গলায় বলো, ভালো থেকো।
Mozaddid Al Fasani jadid এর লেখা থেকে অনুপ্রাণিত।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০২৫ রাত ৩:১২