somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অভিনন্দন বাকের ভাই

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অভিনন্দন বাকের ভাই
হাসান কামরুল
অবশেষে গঠিত হলো আওয়ামী নেতৃত্বাধিন নতুন সরকার। তৃতীয় বারের মতন প্রধানমন্ত্রী হলেন শেখ হাসিনা। নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এ সরকারের যাত্রা শুরু হলো। কেমন হলো মন্ত্রী পরিষদ? এ নিয়ে আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। নতুন সরকার নিয়ে উচ্ছ্বাসিত দেশবাসি। বর্ষিয়ান নেতাদের সম্মিলনে নতুন মন্ত্রিপরিষদের কলোবর বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুনে। অগ্রজ সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনে লিখেছেন ’ বর্ণহীন নির্বাচনে বর্ণময় সরকার”। নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা ও নির্বাচনের দিন দেশজুড়ে বিরোধিদলের নৈরাজ্য দেখেছে দেশবাসি। তারপরও একটা সফল নির্বাচন করার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছেছে শেখ হাসিনা ও তার দল। শুধু তাইনা, বিরোধিদলের অব্যাহত হুমকি ধামকির মধ্যে দিয়ে নব নির্বাচিত এমপিদের শপথ ও নতুন মন্ত্রিসভা গঠন সব মিলিয়ে বিরাট এক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে যেতে হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবারের সরকার কাঠামো নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশ বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। এমন মেধা ও অভিঙ্ঞতার সম্মিলন খুব কম মন্ত্রিসভাই দেখা মিলেছে । বাদ পড়েছেন অনেক হেভিওয়েট রাজনৈতিক বিশেষ করে যারা নবম সংসদে খুব দাপুটে মন্ত্রি ছিলেন। সৈয়দ আশরাফ বলেছেন এ মন্ত্রিসভা হবে দুর্নীতিমুক্ত।
রাংলাদেশের রাজনীতির লিজিন্ডারিরা এবারের মন্ত্রিসভায় স্হান পাওয়ায় নতুন সরকারের প্রতি মানুষের আস্হা ও আকাঙ্খা বাড়ছে। বাংলাদেশের নাট্যজন জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্হানকারী ব্যক্তিত্ব বাকের ভাই ’আসাদুজ্জামান নূর’ এবারের মন্ত্রিসভায় স্হান পাওয়ায় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। কোটি মানুষের প্রাণের চাওয়া এবার পুরণ হলো।। সঠিক লোককে সঠিক মন্ত্রনালয়ে বসিয়ে বাংলাদেশের সাংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেয়া হলো বলেও সাংস্কৃতিকমনস্ক ব্যক্তিরা মনে করছেন।
অমর কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নাটকের মধ্য দিয়ে বাকের ভাইয়ের যাত্রা। জোনাকি জ্বলে নাটকটির চরিত্র মানুষের মনের গভিরে আজও দাগ কেটে আছে। মনে পড়ে যেদিন বাকের ভাইয়ের ফাসি হয়ে গেল, সেদিন সারা দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে শ্লোগান তুলেছিল। স্কুল পড়–য়া ভাইবোনদের নিয়ে সেদিন আমরাও বাড়ির রাস্তার সামনে প্রতিবাদ মিছিল করেছিলাম। একটি নাটক যে এভাবে মানুষের মনে দাগ কাটতে পারে তা ছিল ভাবনাতীত।। শুধুই কি বাকের ভাই? অয়োময় নাটকটির সেই মীর্জা সাহেবের অভিনয় শৈলি দেখে যারপর নাই মুগ্ধ হয়েছে এ দেশের মানুষ। বিটিভি’তে শুক্রবার ৮ টার সংবাদের পর অয়োময় নাটকটি দেখানো হতো। তাই আগেভাগে সন্ধ্যার পড়া শেষ করে নাটকটি দেখার জন্য মন লুটিপুটি খেতো।।
বহুগুনে গুনান্বিত এ মানুষটি। শুধুই কি অভিনয়? অভিনয়ের বাইরেও রয়েছে অকৃত্রিম ভরাট কন্ঠের আবৃতি। তার আবৃতি মানেই শ্রুতিমধুর। এখনো সকাল বেলায় আসাদুজ্জামান নূরের কন্ঠে আবৃতি না শুনলে যেন সকালটি মিষ্টি হয়না। রাজনীতিতে এসে পর পর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তার নর্বাচনি আসনে গিয়ে আসাদুজ্জামানের সুখ্যাতির খবর নিতে গিয়ে জানলাম তারা নূরকে তাদের ঘরের পোলা হিসেবে জানে। তার প্রতিপক্ষের লোকজনও ব্যক্তি আসাদুজ্জামান নূরকে রাজনৈতিক আসাদুজ্জামান নূর থেকে আলাদা করতে পারেননা। দল মত নির্বিশেষে তার প্রতি রয়েছে মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা।
যদিও এবারের নির্বাচনের সময় তার উপর বর্বোরোচিত হামলা করেছে জামাত শিবিরের ক্যাডাররা। নিজের জীবন বিপন্ন জেনেও তিনি ঢাকায় না ফিরে দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি মানুষকে ভালোবাসেন কর্মে চিন্তায় ও স্পৃহায়।। যে কেউ আসাদুজ্জামান নূরের কাছে তার ভালো মন্দের কথা বলতে পারেন। ছোট্র একটি ঘটনা মনে পড়লো’ ”একদিন দেশ টিভির কার্যালয়ের সামনে আসাদুজ্জামান নূর দাড়িয়ে আছেন। আমিও ঔ পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম তাকে কাছে পেতেই কুশলাদি জিঙ্ঘেসা করলাম। উনি আমাকে দেখে বললেন কি ব্যাপার আপনার কোন খবর নাই কেন? সেই যে জাহাঙ্গীরনগর দেখা তারপরতো আর কোন খবর নাই।। আমি কিছুটা ইস্তত হলাম, বছর পাচেক আগে জাহাঙ্গীরনগর নাট্য পার্বনে অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সে অনুষ্ঠানেই উনার সহিত প্রায় ঘন্টাব্যাপি অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় মুগ্ধ হয়েছিলাম। পাচ বছর পরও তিনি মনে রেখেছেন। এ হলো আসাদুজ্জামান নূর।।” তিনি মন্ত্রী হওয়ায় দেশের মানুষ খুশি। আশা করি নিজস্ব প্রঙ্ঘা ও মেধার মননে সাংস্কৃতি মন্ত্রনালয় তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে। কালচারালি বাংলাদেশ আরো অনেক বেশি এগিয়ে যাবে। এবং উনার মন্ত্রনালয় হবে সংস্কৃতি কর্মীদের জন্য উম্মুক্ত। এ আশা ব্যক্ত করে উনার নতুন কর্মক্ষেত্রের উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।। এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি রইলো শ্রদ্ধা এমন সুন্দর ও যুগোপযুগি মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য।






০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×