somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্র্যান্ড সাকা, সুযোগের সাকা!

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে ‘সাকা’ একজন ব্র্যান্ড। কিন্তু কিসের ব্র্যান্ড? এমন প্রশ্নের উত্তরে আপনি ভড়কাতেই পারেন। তিনি হলেন ইডিয়ট, বেয়াদপ এবং কুৎসিৎ মানুষদের ব্র্যান্ড। তাকে দেখিয়ে বলে দেওয়া যায়, ‘ওই ব্যাটা সাকার মতো ইডিয়ট, বেয়াদপ এবং কুৎসিৎ’।

এই কুৎসিৎ লোকটার ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এই ফাঁসির রায় কিন্তু কম কথা না। তার যে উদ্ধতপূর্ণ আচরণ, চিৎকার চেচামেচি, ক্ষমতার দম্ভ সবকিছুর প্রতি আঘাতও বটে। যুদ্ধাপরাধ করেও বুক উচিয়ে সে বলে বেড়িয়েছে- এই দেশের পতাকা তার গাড়িতে উড়েছে তো! কে কি করতে পেরেছে?

বিচার প্রক্রিয়ার সময়ে বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায় ‘নটরিয়াস আর উদ্ধত সাকা’ শিরোনামের রিপোর্টে। এমনকি রায়ের সময় (একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।) ট্রাইব্যুনালে বিচারক যখন রায়ের শুরুর অংশ পড়ছিলেন তখন কাঠগড়া থেকেই উচ্চস্বরে সালাউদ্দিন বলে ওঠেন, ‘রায়তো কাল ইন্টারনেটেই পড়ে ফেলা গেছে, এখন আর এসব পড়ে কী হবে। চলেন বাড়িত যাই।’

আবার ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার সময় এক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের কথা বলা হলে সাকা কাঠগড়া থেকেই বলে, ‘মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মারা গেছে। তার মধ্যে ২০ লাখ আমি মারছি বলে দিলেইতো হয়।’

এভাবেই নিজেকে বেপরোয়া হিসেবে তুলে ধরেছে সাকা।

সে যেন কাউকেই ভয় পায় না, তার ভাবখানা এমন যে, এই দেশের কারও সাহস নেই তাকে কিছু করার কিংবা বলার। আর এই ধূর্ত সাকাই নাকি আজ নিজের রায় শুনে হতবাক হয়ে গেছেন। (সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন- ‘বিটিভিতে রায় দেখে নির্বাক সাকা’)

কিছুদিন আগে সাকার তান্ডব নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনে কলামও লেখেছেন বখতিয়ার নামে এক ব্যক্তি। যার শিরোনাম ‘মৃত্যুর মুখোমুখি ফকা-সাকার বন্দিশালায়’। অত্যন্ত ভয়াবহ সেই বর্ণনা। পড়লে যেন গা শিউরে ওঠে।

সাকার ফাঁসির ভবিষ্যৎ:

সাকার রায়ের সঙ্গে জামাত নেতাদের রায়ের কার্যকরের ক্ষেত্রে কিছুটা নাটকীয়তা আসতে পারে। কারণ, অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের অধিকাংশই জামাত নেতা। তারা মার্সি পিটিশন করতে পারেনি। প্রথমত, তারা জানে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলেও মিলবে না। দ্বিতীয়ত, তারা যদি ক্ষমা চায় তবে জামাতের রাজনীতি সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে। তরুণ শিবিরকর্মীদের কাছে তাদের রাজনীতি সম্পূর্ণ পরাজিত হবে। কিন্তু সাকার বিষয়টি ভিন্ন।

পল্টিবাজ সাকা মার্সি পিটিশন চাইতেও পারে। কারণ তার কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। এমনকি খোদ বিএনপিও তাকে নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নয়। যদিও সংবাদমাধ্যম থেকে দেখেছি ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার নাকি এই রায়ে খুব হতাশ হয়েছেন। (সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন ‘এই রায়ে আমরা হতাশ, দুঃখিত ও মর্মাহত’)

যাইহোক, এই সাকা যেন কোনও সুযোগ না পায় সেদিকে জাতিকে চোখ রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের ভেতর তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের দেখা মেলে। তারা যেন কোনও ক্রমে লবিংয়ের সুযোগ না পায় সেদিকে জাতিকে সজাগ থাকতে হবে।

আমরা সবাই জানি মাননীয় রাষ্ট্রপতি একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি। রাষ্ট্রপতির বাইরেও তিনি একজন সৎ রাজনীতিবিদ। তিনি সততায় অটুট থাকবেন নিশ্চয়ই। কিন্তু কোনও কালো হাত যেন তার দিকে ধেয়ে না আসে। মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে বলে দিতে চাই, বাংলার জনগণ আপনার সঙ্গে আছে। শুধু রাষ্ট্রপতি নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সেটা জানে।

এই ইডিয়ট ব্র্যান্ডেড সাকা যেন কোনোক্রমেই সুযোগ না পায়। তার দম্ভকে ভেঙেচুরে দিতে হবে। তাকে বলে দিতে হবে- সাকা, তুমি এবার নিজের ফাঁসি উপভোগ করো। তোমার আর নিস্তার নাই। পাপ মানুষকে ছাড়ে না। বাঙালিও তোমাকে ছাড়বে না। ছাড়েনি।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×