স্বস্তিকর জার্নি : অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা
তখন ঘড়ির কাটায় বেলা ৩টা ।
হঠাৎ করেই যেতে হবে , ফোন আসল, ঘনিষ্ট এক আত্নীয় মারা গেছেন যেতেই হবে ।
সঙ্গে সঙ্গে বাসায় জানালাম যে গাড়ীটি আসবে তাতে যেন কিছু কাপড় দেয়, আমি আর বাসায় যাব না
অফিস থেকেই রওয়না হবো অন্যান্য আত্নীয়সহ ।
গুলশান থেকে ৫টায় গাড়ী ছাড়ল, কথা ছিলো এক ঘন্টার মধ্যে পল্টন আসবে এবং আমি সহ রওনা দেবো তাহলে
জানাজায় অংশ নেয়া যাবে। ঢাকা শহরের যানজটের কথা সকলের জানা, সেই গাড়ী এল ৭টায়, রওনা হলাম, দিনটি
বুধবার সুতরাং অত যানজট হবার কথা নয়, কিন্ত কিছুতেই গাড়ী চলছে না, পল্টন থেকে ফ্লাইওভার উঠতে সময় নিলো
দেড় ঘন্টা,ভাবলাম বাচাঁ গেল সাঁই সাঁই করে গাড়ী ছুটছে, ওদিকে ফোন আসতে শুরু করল এখন কোথায় ? এখন কোথায় ?
রাত হচ্ছে, আর কতক্ষন লাশ নিয়ে বসে থাকা যায় ??? গ্রামের লোকজন আট্টার মধ্যে ঘুমাতে যায়, বড়জোর ১০ পর আর কোন
লোক থাকবে না জানাজার জন্য ।
গাড়ীতে বসে উত্তর দিচ্ছি এইতো এসে যাব, ১০টার আগেই । দ্রুত মেঘনা ব্রীজ পার হলাম, হঠাৎই গাড়ী থেমে গেল, আর চলছে না,
কেন কি হয়েছে ? এক্সিডেন্ট ? মারামারি ? কিছুই বুঝতে পারছি না । একটু চলে থেমে যায়, আবার একটু চলে থেমে যায়, কিছু গাড়ী রিস্ক নিয়ে সাইডের মাটির রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, যেন এটাই নিয়তি । ড্রাইভার কে বল্লাম তাই কর, কিন্ত সে রাজী না,
আবার ফোন আসতে শুরু করল এখন কোথায় ? এখন কোথায় ? বল্লাম চিন্তার কোন কারন নাই এসে পড়ব ।
অলক্ষ্যে বোধহয় বিধাতা অট্টহাসি দিল ! কানের কাছে কেউ যেন উপহাস করল, এখনও রাজনীতিবিদ দের কথায় বিশ্বাস করিছ,
ঈদ যাত্রায়, কোন এক মন্ত্রীর কথায়, রেডিও টিভিতে , বক বক করছিল এবার ঈদ যাত্রায় ঢাকা - চিটাগং রোডে কোন কষ্ট
নাই, চার লেন রাস্তায় স্বস্তিকর জার্নি হবে সকলের ।
কিছুক্ষন পর একটা রেকার আসল, ভাবলাম আল্লাহতালায় সহায় হয়েছেন , এই বুঝি মুক্ত হবো এই যন্ত্রনা থেকে ।
আবার ফোন আসতে শুরু করল এখন কোথায় ? এখন কোথায় ? ঘড়ির কাটা দেখলাম, রাত ৯.৫০ মি: , চিন্তা করলাম
এভাবে এত লোকজন এবং লাশের কষ্ট দেয়া যায় না, তখন উপস্হিত সকল আত্নীয়সহ মেনে নিলাম এটাই আমাদের
এই মর্হুতের নিয়তি ।
আমরা অনুমতি দিলাম, রাত ১০ টায় জানাজার ঘোষনা ছিল ঐ সময়েই জানাজা হবে, আমরা আসলাম
কিনা , তার জন্য অপেক্ষা করা যাবে না । পরদিন আসার সময়ে একই সমস্যায় পড়লাম এবং ভালোভাবে লক্ষ্য করে বুঝলাম, এখানে যানজট প্রতিদিন হচ্ছে যা আমাদের মনুষ্য সৃষ্টি ।
তাহলে তথ্য কি বলে একটু জেনে আসি :..................................
যদিও কুমিল্লা পয়েন্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গ্রিডলকটি কমেছে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটারে, তবে এখনও মানুষ বিভিন্ন পয়েন্টে লেভেলব্যাকগুলিতে ভুগছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, দাউদকান্দি মহাসড়ক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধৃত করে আমাদের কুমিল্লার সংবাদদাতা দাউদকান্দি টোল প্লাজা ও শহীদনগরের মধ্যে ট্রাফিক সংকোচন হ্রাস পেয়েছে।
কুমিল্লার অংশে মহাসড়কের ট্রাফিক জ্যামটি সহজে চলতে শুরু করেছে, তবে যানবাহন খুব ধীর গতিতে চলছে।
এই অবস্হা আর কতদিন চলবে আর মানুষ কিভাবে প্রতিদিন অতিষ্ট হয়ে ভাগ্যর উপর দোষ দিয়ে নিজের কপালের দোষ দিবে ?