কি আর করা যাবে? চৈত্রের শেষে ঝিম মারা দুপুরে যখন পরদিনের অসংখ্য কাজের লিস্টি হাতের কাছে তখন পালাতে কে না চায়? একারণে আবার দিলাম উড়াল, আবার দেখি স্বপ্ন। আজকাল সময় এমন পড়েছে স্বপ্নটাও ঠিকমতো দেখা যায় না। বলুন তো এভাবে আর কদ্দিন? বিরহী বসন্ত যখন বিগত প্রায় তখন যদি কবিতার খোঁজ করি তবে বাস্তববাদী বন্ধুদের উক্তি:রোমানস বেশি হলে নাকি মরা গাছের পাতাও ভালো লাগে..
কি করবো তবে? বড় বড় ভাবনা গুলো যখন অন্যের কোন কাজে না লাগে, তখন তার মূল্য কি? কবিতাও তাই আজ কলম দিয়ে বের হয় না, দুমুঠো স্বপ্নেরা তাই উধাও। হারিয়ে যাবার আগেই তার স্বপ্নদের একটা লিস্টি করা দরকার...
বলি কিছু স্বপ্নের কথা.... ছোট মুখে বড় কথা...
তবু স্বপ্ন দেখি...বড় নয়... একদিন এদেশের কিছু কিছু মানুষ কিছু কিছু করে ভাল কাজ করবে.. একদিন এই ভালো কাজ গুলো একটা পাহাড় হয়ে যাবে, আমরা আর টি আই এর লিস্টে একএ থাকবো না...দেশের নেতৃত্ব দেবে সুশিক্ষিত কিছু নাগরিক...শিক্ষা সাস্থ্য এসব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে ধীরে ধীরে..
অনেকে বলবেন দিবা স্বপ্ন... তবে ভেবে দেখুন স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত কিছুই কি পাইনি আমরা? সারা দেশে যে অসংখ্য কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র , শিক্ষক, পেশাজীবি কাজ করে যাচ্ছেন এর খুব কমই অসৎ, বাকিরা যদি চান , এক হয়ে এই অসংগতি টা দূর করা যায় না?
এক সময় কম্পিউটার কেবল বিত্তশালীর বিলাস উপকরণ ছিল আর আজ আমরা অনেকে নিজেদের মনের ভাবনা টুকু নিংড়ে দিচ্ছি সবার কাছে ওয়েবে!
কাজেই এখনো স্বপ্ন দেখি... আপনারাও দেখুন।
পুনশ্চ: দুপুরের কড়া রোদে চড়া বায়ুর বিলাপ পাঠাতে পারিনি, এখন রাতে পাঠাতে দ্্বিধা হচ্ছে। কি করা....উড়ুক বাণী
-স্বপ্নচারী
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




