পাখির কন্ঠে গান , পাতা কুড়ানির দলের ঝাড়ু বাদ্যযন্ত্রে যে ঐকতান, আমাদের সম্পর্কের মাঝেও ভোরের বেলায় ঘুমন্ত সবাইকে না জাগানোর মতো করেই একটা সুর সৃষ্টি হয় প্রতিটি মুহূর্তে ।
সূর্যের একেকটি আলোর ফোটন সবুজ পাতার ফাঁক গলে মাটির জড় কৈশিক কণায় যে প্রাণের সঞ্চার বইয়ে দেয় তা যেমন কেউ বুঝতে পারে না শুধু ওই মাটির সাথে জড়ানো উদ্ভিদের মূল ছাড়া , তেমনি তোমার ছোট্ট ছোট্ট শব্দে গড়া বাক্য গুলো আমার হৃদয়ে যে প্রাণোচ্ছ্বাস বইয়ে দেয় জানতে পারবেনা কেউ আমি ছাড়া ।
আমি তোমাতে বিলীন প্রিয়তমা, জীবনের এই বাঁকে এসে হঠাৎ করেই যে ধাক্কা খাবে আমার মেঘে ঢাকা মনটা তোমার তেরঙ্গা মনের সাথে, ভয়েও ভাবিনি কখনো ।
জানি না প্রিয়তমা কেউ তোমার মনে খবর টা জানিয়ে দেয় কি না, সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে প্রার্থনায় বসে একটা ছেলে তোমার নামে মানত করে স্রস্টার কাছে, তোমাকে চাইতে গিয়ে নিজের সর্বস্ব হারানোর মতো বিনিময় চুক্তি করে সে । প্রতি সকালে স্রস্টার সাথে কথপোকথনে তার চাওয়ার ফর্দে প্রথমে থাকে, তোমার জন্য একটা ভালো দিন ।
অভিযোগ অনুযোগের খেলায় এই ছেলেটার প্রতিযগিতা হেরে যাওয়ার । চোখ বন্ধ করতে পারে না সে, চোখ বন্ধ করলেই তুমি এসে তাকে হ্যাং করে দিয়ে যাও । প্রিয়তমা এতো ভালোবাসাবাসির খেলায় তবুও প্রেমকে নিকোটিন কেনো বলে , বলতে পার প্রিয়তমা ?? চাওয়া পাওয়ার খাতা খুলিনি প্রিয়তমা , হালখাতা খুলে দেনা পাওনার হিসাব কষা, কোনো কালেই হয়নি আমাকে দিয়ে । আমি এক চ্যারিটি মানব, দিতে দিতে শেষে থাকা আমার মনটা ও আজ কোনো এক রাজকণ্যার খেলার জন্য দেয়া । খেলুক না সে,খেলতে খেলতেই একদিন হয়তো প্রেমে পড়ে যাবে ।
তাহলে ?? ভালোবেসে আমি কি চাই ??
- কিচ্ছুনা , ভালোবাসি তাই, ভালোবেসে যাই । .....................