ম্যালা কবিতা হইছে। এইবার খড়খড়ে গদ্য ইট ভাঙ্গার মত
ছুইড়ে দেয়া যাক।
একটার পর একটা দেয়াল, অগনিত মানুষের পোড়া শরীর,
আফিমাক্রান্ত মন-মস্তিষ্কে যখন বিস্ফোরণ ঘটায় না!
তখন চিৎকার কইরা, গলার রগ ফাটাইয়া
আবৃত্তির কোন মহিমা নাই।
তার চাইতে আমার পকেটে জমাইন্না
রাস্তা থেকে টোকানো যত ইট ভাংগা
এইবার ছোড়া যাক!
প্রতিদিন রাবার বুলেট-টিয়ার-গরম পানি খাইয়া
এখনো ফুলবাড়ীতে পায়ে শেকড় গাইথা
মাটিতে খাড়াইয়া আছে যারা;
প্রতিদিন বারো/চোদ্দ ঘন্টা ফ্লেরে খাড়াইয়া
রক্ত আর ঘামের শ্রম ব্যাচে যারা আর সময় সময়
আগুনের জ্বালানী হইয়াগ্যাস কি তেলার সংকট মেটায়;
প্রতিদিন খুন হইয়া হইয়া, ভীড় বাসে ঝুলতে ঝুলতে
যে নাগরিক ভবিষ্যৎ বন্ধক রাইখা
জীবনটারে কচ্ছপের মত খোলস বন্দি করে;
তাগো কবিতা যদি লেখতে না পারি,
তাইলে রাস্তা-ঘাট থিকা ইট ভাঙ্গা কুড়াইয়া পকেট ভর্তি
করাই আসল কাম। যদি সুযোগ মত পাই শালাদের,
ঢিল মাইরা মনের জ্বাল তো মিটাইতে পারমু!