somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুরানো লেখার নতুন পাঠ: বারবার তেল গ্যাস বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি থেকে বের হওয়ার পথ কী? by আনু মুহাম্মদ

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকার তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম একের পর এক বৃদ্ধি করছে। বাজেট প্রক্রিয়ার বাইরে, বাজেট ঘোষণার আগে ও পরে এরকম উপর্যুপরি দাম বৃদ্ধি পুরো বাজেট প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তদুপরি এসব দাম বৃদ্ধির প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াও সরকার যথাযথভাবে অনুসরণ করছে না। এসব দাম বৃদ্ধির কারণে অর্থনীতি ও জনগণের ওপর যে বোঝা তৈরি হচ্ছে, তা টেনে নেয়া একক পরিবার ও দেশ কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।

প্রতিবারই যুক্তি দেয়া হচ্ছে ভর্তুকির কথা, লোকসানের কথা। কিন্তু এই ভর্তুকি আর লোকসানের কারণ নিয়ে সরকারের কোন ব্যাখ্যা নেই, তা সমাধানেরও কোন চেষ্টা নেই। উল্টো এখনও গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে তাতে সামনে ভর্তুকি, লোকসান আরও বৃদ্ধির পথই প্রশস্ত হচ্ছে।

এসব উদ্যোগের মধ্যে বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে গ্যাস রফতানিমুখী চুক্তি, তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির অনুমতি দিয়ে চুক্তি, রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ প্লান্ট নবায়ন ও মেরামতের সহজ কাজ না করে উচ্চ দামে বিদ্যুৎ ক্রয়ের জন্য রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনের চুক্তি, নতুন আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার পাঁয়তারা ইত্যাদি অন্যতম। সংক্ষেপে এ বিষয়গুলোই এখানে আমি উপস্থাপন করতে চাই।

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১০ তারিখে জ্বালানি মন্ত্রণালয় কেয়ার্ন এনার্জি ও হেলিবার্টনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তৃতীয় পক্ষের কাছে এই কোম্পানিগুলোকে স্বাধীনভাবে গ্যাস বিক্রির অনুমতি প্রদান করার জন্যই এ চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। এই চুক্তি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরেকটি আÍঘাতী সিদ্ধান্ত। কারণ :
০১. এর ফলে গ্যাসের দাম বেড়ে যাবে। গ্যাসের দাম বাড়লে অন্যান্য পণ্যেরও দাম বেড়ে যাবে।
০২. একবার এই চুক্তি সম্পাদন হলে আগামীতে উৎপাদন বণ্টন চুক্তি সংশোধন/লংঘনের এই ধারা অনুসরণ করতে চাইবে অন্য বহুজাতিক গ্যাস কোম্পানিগুলো।
০৩. গ্যাসসম্পদের পর এবার গ্যাসভিত্তিক অর্থনীতির ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব লাভ করবে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। ফলে দেশের গ্যাস দিয়ে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্যাসের চাহিদা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পূরণ করার ক্ষমতা রাষ্ট্র হারাবে।
০৪. এর ফলে দেশের শিল্প ও বিদ্যুৎ খাত আরও বড় প্রতিকূলতার সম্মুখীন হবে।

এরপর ১৬ জুন, ২০১১ শতকরা ৮০ ভাগ কোম্পানির মালিকানা ও শতভাগ গ্যাস রফতানির বিধান রেখে মার্কিন কোম্পানি কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। উল্লেখ্য, স্থলভাগে ও অগভীর সমুদ্রে পিএসসি স্বাক্ষরের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের রয়েছে। ১৯৯৩-৯৪ থেকে শুরু করে সম্পাদিত চুক্তিগুলোর ফলাফল এখন আমাদের সামনে পরিষ্কার। পুঁজি ও সক্ষমতার অভাবের কথা বলে বিদেশী কোম্পানির হাতে একের পর এক গ্যাসব্লক তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ পুঁজি হলে জাতীয় সংস্থা এক-দশমাংশ দামে গ্যাস সরবরাহ করতে পারত সেই পুঁজির সংস্থান করা হয়নি; কিন্তু তার দশগুণ বেশি পাচার হয়েছে। সেই অর্থ এখন প্রতি বছর ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। প্রযুক্তির অভাবের কথা বলে বিদেশী কোম্পানির হাতে গ্যাসব্লক তুলে দেয়া হলেও তাদের কারণে মাগুরছড়া ও টেংরাটিলা ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে, আমাদের প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস নষ্ট হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, সেখান থেকে এই পরিমাণ গ্যাস কিনতে এখন ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। ন্যূনতম এ পরিমাণ টাকা শেভরন ও নাইকোর কাছে আমাদের পাওনা, যা আদায়ে কোন উদ্যোগ এ যাবৎ কোন সরকার নেয়নি।

তেল আমদানির ওপর বাংলাদেশের কঠিন নির্ভরশীলতার কথা আমরা সবাই জানি। গ্যাস না থাকলে এ নির্ভরশীলতা আরও বহুগুণ বেশি থাকত। এ প্রসঙ্গে আমাদের স্মরণ করতে হবে, উল্লিখিত চুক্তিগুলোর কারণেই বছর দশেক আগে গ্যাস রফতানির প্রবল চাপ তৈরি হয়েছিল। ‘বাংলাদেশ গ্যাসের উপর ভাসছে’ এই প্রচারণা চালিয়ে গ্যাস রফতানির আয়োজন করেছিল দেশী-বিদেশী যে মহল তাদের রাহুগ্রাস থেকে বাংলাদেশ এখনও মুক্ত হয়নি। জনগণের প্রতিরোধের কারণে সে সময় তারা সফল হয়নি, হলে তেল আমদানিতে আরও ২০ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় করতে হতো। তেলের বিশ্ববাজারে চরম অনিশ্চয়তার কারণেই তাই আমাদের নিজস্ব জ্বালানি সম্পদের ওপর শতভাগ জাতীয় মালিকানা নিশ্চিত ও তার রফতানি নিষিদ্ধ করা অপরিহার্য। সে সময় রফতানি ঠেকানো গেলেও চুক্তি এখনও আছে, সেজন্য বহুগুণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে আমাদেরই গ্যাস। বিদেশী কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বেশি দামে গ্যাস কেনার কারণে ভর্তুকি বাড়ছেই। এসব চুক্তির কারণে বহুগুণ বেশি দামে গ্যাস কেনায় গত কয়েক বছরে ১৪ হাজার কোটি টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে। ভর্তুকির টাকা জোগান দেয়ার জন্য জাতির ওপর ঋণের বোঝা বাড়ছে, বাড়ছে করের বোঝা। অন্যদিকে ভর্তুকির চাপ কমানোর জন্য বারবার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর কারণে উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে সব দ্রব্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি তৈরি হচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। নতুন করে দারিদ্র্য বাড়ছে। শিল্প ও কৃষি উৎপাদনে ব্যয়বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রয়োজনের সময় গ্যাস ও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। শিল্প, কারখানা, কৃষি সবকিছুতে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে পুরো অর্থনীতি বিপর্যস্ত হচ্ছে। কমিশনভোগী দুর্নীতিবাজদের সর্বক্ষেত্রে দাপট বাংলাদেশকে ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

পুঁজির অভাবের কথা বলে কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে চুক্তি করা হল অথচ কনোকো ফিলিপস আগামী ৫ বছরে যে বিনিয়োগ করবে তার পরিমাণ মাত্র ১১০ মিলিয়ন ডলার বা বছরে গড়ে ২২ মিলিয়ন ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এর পরিমাণ ১৬৫ কোটি টাকা প্রতি বছর। সরকার এক বছরের বিলাসিতা, নতুন গাড়ি কেনার বরাদ্দ বাতিল করলেই এ টাকা পাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় এ পরিমাণ অর্থ প্রয়োজনের নিরিখে অতিশয় তুচ্ছ। উপরন্তু দক্ষতা-প্রযুক্তির অভাবের যুক্তিও দেয়া হয়। কিন্তু কনোকো ফিলিপস বর্তমানে বিশ্বের ১৪টি স্থানে সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধান করছে, যেখানে রিগ ভাড়াসহ নানা কাজে নানা প্রতিষ্ঠানকে সাবকন্ট্রাক্ট দিয়ে কাজ চলছে। বঙ্গোপসাগরেও তারা তাই করবে। এই একই কাজ বাংলাদেশ নিজের মালিকানা রেখে করতে পারত।

জাতীয় সংস্থার কর্তৃত্বে প্রয়োজনে সাবকন্ট্রাক্ট দিয়ে এ গ্যাস অনুসন্ধানে নিয়োজিত হলে যে পার্থক্যটি দেখা দিত তা বিশাল :
১. গ্যাসসহ সব সম্পদের পূর্ণ তথ্য জনগণের কাছে থাকত এবং তার ওপর শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত হতো।
২. দেশের অর্থনীতির প্রয়োজন অনুযায়ী গ্যাস উত্তোলন নিশ্চিত হতো।
৩. অনেক কম দামে গ্যাস প্রাপ্তি অর্থাৎ শিল্প, কৃষিতে সুলভে গ্যাসের ব্যবহার নিশ্চিত হতো।
৪. রফতানির ঝুঁকি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকা যেত।
৫. মুনাফার তাড়নায় যেসব দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে কনোকো ফিলিপস সেসবের ঝুঁকি অনেক কমে যেত।
৬. বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকায় জাতীয় কর্তৃত্বের ওপর হুমকি সৃষ্টি হতো না।
অর্থাৎ ৭. জ্বালানি নিরাপত্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত হতো।
এবং ৮. একের পর এক দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হতো না।

গত বছর সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলা দুটির সীমানা ধরে বিরাট গ্যাস মজুদ ধারণক্ষম একটি ভূতাত্ত্বিক কাঠামো চিহ্নিত করেছে বাপেক্স। দুই জেলার নামের অংশ নিয়ে এ গ্যাসক্ষেত্রের নাম দেয়া হয়েছে ‘সুনেত্র’। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে প্রায় ৪-৫ টিসিএফ বা সারাদেশের বর্তমান মজুদের অতিরিক্ত শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ মজুদ আছে। সুনেত্র গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করার পর ২০১০ সালেই বাপেক্স সুনেত্র গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়ন করার জন্য ঝঁহধসমড়হল-ঘবঃৎধশড়হধ (ঝঁহবঃৎধ) ঙরষ/ধেং ঊীঢ়ষড়ৎধঃড়ৎু ডবষষ উৎরষষরহম চৎড়লবপঃ (এটি সম্ভবত কোন একটি ইংরেজী বাক্য, যেটের ফন্ট হাড়িয়ে গেছে) নামে তিন বছরের একটি পরিকল্পনা জমা দেয়। এ প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০১০ সালের জুন থেকে জুন ২০১৪ পর্যন্ত এ কাজ শেষ করতে ব্যয় হবে মাত্র ২৭৯ কোটি টাকা। এই একই কাজ সিলেটের বিবিয়ানায় করতে গিয়ে মার্কিন কোম্পানি শেভরন ব্যয় দেখিয়েছে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা, আর তা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের কাছ থেকে। অথচ বাপেক্সের প্রকল্প এখনও পুঁজির অভাবের অজুহাত দিয়ে পুরোপুরি অনুমোদন দেয়া হয়নি। এই বিশাল গ্যাসক্ষেত্র পিএসসি বা জয়েন্ট ভেঞ্চার বা পিপিপির মাধ্যমে বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার চক্রান্ত চলছে, ‘পিএসসি ২০১১’ করার প্রক্রিয়া চলছে।

স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বাংলাদেশের জাতীয় সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। বাংলাদেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান এবং দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনশক্তি গড়ে উঠেছে। কিছুদিন আগেই বাপেক্সের একটি তরুণ বিশেষজ্ঞ দল রশিদপুরে আন্তর্জাতিক মানের থ্রিডি সিসমিক সার্ভের কাজ সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেছে, সেখানেও একটি বড় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। আবারও প্রমাণিত হয়েছে, সুযোগ ও আর্থিক বরাদ্দের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করলে জাতীয় সক্ষমতা আরও বিকশিত হতো এবং বাপেক্স ভারত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করত। বহুদিন থেকেই বাপেক্স বা জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা এবং তাদের পরিশ্রমলব্ধ তথ্যাদি বিদেশী কোম্পানির স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাবকন্ট্রাক্টর হিসেবে জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে আটকে রেখে, তার কাজের চাপকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে সম্পদ তুলে দেয়ার ইচ্ছা বিদেশী কোম্পানির হাতে। সাবকন্ট্রাক্টর হিসেবে নয়, স্বাধীন জাতীয় সংস্থা হিসেবেই বাপেক্সকে বিকশিত করতে হবে। সুনেত্র রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে অবিলম্বে গ্যাস উত্তোলনের কাজ শুরু করলে :
১. দেশে কোন গ্যাস ও সেইহেতু বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না।
২. নিজেদের দেশের গ্যাস তুলতে বা কিনতে গিয়ে আর্থিক চাপে পড়তে হবে না। ভর্তুকির চাপ তৈরি হবে না।
৩. মাগুরছড়া বা টেংরাটিলার মতো ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের সম্ভাবনা থাকবে না।
৪. সুলভে ও নিশ্চিতভাবে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে।
এবং ৫. এর অব্যাহত দামবৃদ্ধির নতুন চাপ তৈরি হবে না।

জাতীয় মালিকানায় জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে এসব গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে খুব দ্রুতই তা শুরু করা সম্ভব। প্রয়োজন অনুযায়ী গ্যাস প্রাপ্তির পথে বাধাও তখন দূর হবে। এটা করলে বারবার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণও দূর হবে। তেলের ওপর নির্ভরশীলতাও হ্রাস পাবে। একইভাবে বিদ্যুৎ খাতেও মৌলিক পরিবর্তন আনা সম্ভব। তবে সরকার নির্বিশেষে যে নীতিকাঠামো জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ওপর বিদেশী কোম্পানি ও দেশী কমিশনভোগীদের আধিপত্য তৈরি করেছে, তার আমূল পরিবর্তন ছাড়া এ সহজ কিন্তু অত্যাবশ্যকীয় কাজটি সম্ভব হবে না

সূত্র: Click This Link target='_blank' >বারবার তেল গ্যাস বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি থেকে বের হওয়ার পথ কী?

১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×