যুদ্ধাপরাধীগো দড়িতে ঝুলাইতে যাইয়া মনে হইতাছে আওয়ামিলীগ নিজেই দড়িতে ঝুইল্লা যাইবো।
বাংলার ইতিহাসে আওয়ামিলীগ হইলো সেই দল, যারা এই ভূখন্ডের মানুষের নানা আন্দোল-সংগ্রামের সফলতা চামে হাতাই নিছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এই অর্থে বেহাত হইছে। কেন ইতিহাসের নানান টাইমে এই রকম ঘটনা ঘটছে? ঘটছে এই কারণ যে, আন্দোলন-সংগ্রাম করছে জনগণ; আর সেইটা নিয়া আওয়ামিলীগ করছে রাজনীতি। ফলে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে দিয়া যে রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জিত হইছে, তা গেছে এই দলের হাতে। আর তারা সেইটারে কুক্ষিগত কইরা আমরা জনগণের আর এই ভূখন্ড আমাদের কইয়া কইয়া দল ও ব্যাক্তির ফয়দা হাসিল করছে। বুঝা দরকার আন্দোলন-সংগ্রাম যতই তুঙ্গে উঠুক না কেন, রাজনীতি হইলো তার আসল নির্জাস। সেই রাজনীতিটার কর্তৃত্ব যদি জনগণের হাতে না থাইকা আওয়ামিলীগ কি বিএপি কি এই ধরনের মেরুদন্ডহীন দলের হাতে থাকে, তাইলে সেই আন্দোলন-সংগ্রাম তাদের খপ্পর পরে পথ হারাবে; বলা যায় তার ফলাফল বেহাত হবে।
৯৫/৯৬ সালের দিকে যখন এই ইস্যুতে দেশব্যাপি আন্দোলন চাঙ্গা হইছিলো, তখন আওয়ামিলীগ বেঈমানি করে জামাতের সাথে একজোট হইয়া কেয়ারটেকার সরকারের আন্দোলন কইরা ক্ষমতার মসনদে হাসিল করছে। এরপর ফেইল মাইরা ২০০১ থিকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার আর রাজাকারগো বিচারের ইস্যুতে নির্বাচনের মাঠ গরম কইরা ক্ষমতায় আইছে। এখন তারা বিচার করতে গিয়া তালগোল পাকইয়া ফালাইছে। তারা যে অন্তর থিকা বিচার চায় না, বরং বিচার লাইয়া রাজনীতি করতে চায়, সেইটা পরিস্কার। সেই সাথে এইবার আশা করি তাদের রাজনীতিটাও বেশির ভাগ মানুষের কাছে পরিস্কার হইবো।
শাহাবাগে যা হইতাছে, ওইটা যদি আওয়ামিলীগের দলীয় রাজনীতি, আর জনগণের আন্দোলন-সংগ্রাম--এই দুইয়ের ভেদ রেখা অভেদ/স্পস্ট করতে পারে এবং তারে শিকড় বানাইয়া যদি জনগণের পক্ষের নয়া রাজনীতি দাড় করাইতে পারে, তাইলে আমাগোর মুশকিলে আহসান সম্ভাবনা আছে। আন্দোলন-দাবী-সংগ্রামে'র সাথে জনগণের রাজনীতিরে যুক্ত করাটা হইবো আসল কাজ