কেয়ামতের পূর্বে ঈমাম মাহাদী এবং ঈসা (আঃ) পৃথিবীতে আসবেন । তারা ও তাদের অনুসারীগণ অশ্বে চড়ে ঢাল, তলোয়ার ইত্যাদি দিয়ে যুদ্ধ করবেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এই আধুনিক মারনাস্ত্রের যুগে তারা অশ্বে চড়ে ঢাল, তলোয়ার দিয়ে কেন যুদ্ধ করবেন ? এগুলো দিয়ে যুদ্ধ করে কি তারা শত্রুকে পরাজিত করতে পারবেন ? যদি পরাজিত করতে না পারেন, তাহলে মনে কৌতুহল জাগে, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ অত্যাধুনিক মারনাস্ত্র বাদ দিয়ে কেন অশ্ব, ঢাল, তলোয়ার ইত্যাদির কথা বলেছেন ?
বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কবে নাগাদ শুরু হতে পারে’ ? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কবে নাগাদ শুরু হতে পারে আমি তা’ জানিনা, তবে আমি এটা বলতে পারি যে, চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধে মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে যুদ্ধ করবে”।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে যেকোন সময় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ (ভয়াবহ পামানবিক যুদ্ধ) বেঁধে যেতে পারে। তাতে মানব জাতির সিংহভাগই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।এই ধ্বংস এতোটাই ভয়াবহ হতে পারে যে, পৃথিবীতে কোন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি এমনকি আধুনিক প্রযুক্তি বা মারনাস্ত্র তৈরী করার মতো কোন মানুষও বেঁচে থাকবেনা !!!!!!! তখন আইনস্টাইনের তথাকথিত ‘লাঠিসোটা’ অর্থাৎ অশ্ব, ঢাল, তলোয়ার ইত্যাদি দিয়ে যুদ্ধ করা ছাড়া আর উপায় কি ? অর্থাৎ কেয়ামতের পূর্বে মুসলমানদের যুদ্ধাস্ত্র সম্পর্কে কোরআনের আয়াতের সত্যতা প্রমানিত হবে।
বিজ্ঞানী আইনস্টাইন কোরআন পড়ে ঐ মন্তব্য করেছিলেন না-কি গাণিতিক হিসাব-নিকাশ করে শুধুই ভবিষ্যৎ বানী করেছিলেন, আমি সেই বিতর্কে যাবনা। আমি শুধু এতটুকুই বলবো, তাঁর ভবিষ্যৎ বানী যদি সঠিক হয়, তাহলে মানব জাতির জন্য কেয়ামতের পূর্বেও আরেকটি কেয়ামত (তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ) অপেক্ষা করছে এবং যুক্তি অনুযায়ী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত না হওয়া পর্যন্ত ঈমাম মাহাদী এবং ঈসা(আঃ) পৃথিবীতে আসবেন না। তাহলে মনে প্রশ্ন জাগে, ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে ঈমাম মাহাদী এবং ঈসা (আঃ) এর যুদ্ধ ই কি চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ, যেটির কথা বিজ্ঞানী আইনস্টাইন আগেই বলে গেছেন ??????? !!!!!!!
(বিঃ দ্রঃ- আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা অনুধাবন করেছি, তা-ই লিখেছি। ভুল-ত্রুটি আল্লাহ্ ক্ষমা করুন, আমিন)।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩