ওর কথা ভাবলেই আমার মনটা ভাল হয়ে যায়।
মন খারাপ চলে গিয়ে আমি হয়ে যাই ঘাসফড়িং। ডানায় ছুটির রেণু মেখে আমি উড়ে বেড়াই দুঃখ থেকে ছুটি, কষ্ট থেকে ছুটি... ছুটি নাগরিক নি®প্রাণতা থেকে। আমার সেই মন ভালো করা ব্যক্তিটা হচ্ছে গায়ক সুমন। ওর এই কবিতাটার আবৃত্তি যখন শুনি আমার মনটা ভালো যায়, এরই মধ্যে ভাল হয়ে গিয়েছেও। যাই হোক, আমার ব্লগার বন্ধুদের জন্য তাই কবিতাটি দিয়ে দিলাম। মনটা যাদের ভালো নেই, তারা কষ্ট থেকে ছুটি পাক এই শুভকামনায়
ঘাসের সাগরে ফড়িং এর ডিঙ্গি নৌকো
খেলে রৌদ্দুর বৃত্ত, ত্রিভুজ, চৌকো
ফড়িং এর ডানা আঁকড়ে সূর্য খেলে
প্রজাপতি হওয়া শুয়োপোকা পাখা মেলে
ঘাসফুল দোলে
দোলে মোরগের ঝুটি
শালিকের চোখে দুলছে আমার ছুটি।
ছট ফট করে ছাগলের ছানাগুলো
চড়–ই মাখছে ছুটির পথের ধুলো
মাটি খুঁড়ে কেঁচো উঠে এল এই সত্য
ছুটির সকাল লিখছে ছুটির পদ্য।
টুনটুনি তার সঙ্গীকে ডাকে জোর
এমন সকালে ঘুম ভাঙলো না তোর?
ডাক শুনে পাখি এগুচ্ছে গুটি গুটি
তার পায়ে পায়ে ঘুরছে আমার ছুটি।
পুকুরে ছলকে উঠলো মাছের লাফ
ব্যাঙাচি দেখেই চনমনে ঢোড়া সাপ
সবুজ শ্যাওলা যথারীতি উদাসীন
তার কাছে সারা বছর ছুটির দিন
শামুকের মুখ খোলস পেরোলো সবে
অনেকটা পথ এবার পেরুতে হবে।
আমারও এখনও কিছুটা রাস্তা বাকী
তোমাকে বলছি...
সঙ্গে আসবে নাকি?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



