সাম্প্রতিক ইরানের একটি শহরের ঘটনা এটি। বাংলাদেশের সকল মিডিয়াই এসেছে।এসব শুধু ছবিই নয়। শেখার আছে অনেক কিছু।
১/ ফাঁসির মঞ্চ তৈরি হচ্ছে উম্মুক্ত স্থানে।
২/ ফাঁসির আসামীকে নেয়া হচ্ছে মঞ্চে।
৩/ ফাঁসির আসামীকে নেয়া হচ্ছে মঞ্চে, সাথে আছে উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা।
৪/ সতর্ক অবস্থায় বিশেষ পুলিশ।
৫/ উপস্থিত জনতার একাংশ ক্ষমা পার্থনা করছেন আসামির পক্ষ নিয়ে সাথে আছেন ইরানের জাতীয় ফুটবল দলের প্রখ্যাত খেলোয়ার আলী দ্যাই। ( একটু পিছনে)
৬/ আসামীকে ফাঁসির মঞ্চে উঠানো হচ্ছে।
৭/ আসামির মায়ের শেষ আকুতি।
৮/ ঠিক তখন দৌড়ে আসলেন নিহত সন্তানের মা। আসামির গালে মারলেন চড় এবং কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন '' যা আমি তোকে ক্ষমা করে দিলাম''।
৯/ খুনির ফাঁসির দড়ি খুলে দিচ্ছেন নিহত সন্তানের পিতা।
১০/ একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন দুই ''মা''। একজন সন্তান হারানোর বেদনায় অন্যজন সন্তানকে জীবিত ফেরত পাবার আনন্দে
১১/ ঘটনাস্থল থেকে অশ্রুসজল চোখে চলে যাচ্ছেন প্রায় মহীয়সী এই ''মা'' এবং রেখে যাচ্ছেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত '' ক্ষমাই মহত্তের লক্ষন''
পুনশ্চঃ
১/ ইরানে জনসম্মুখে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বেশ আগে একটি ভিডিও দেখেছিলাম যেখানে দুই বা তিনজন ধর্ষককে ট্রাফিক সিগন্যালের খাম্বার সাথে লটকিয়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
কেন?
কারন জনসম্মুখে তা কার্যকর করলে অপরাধ কমে আসবে।
যদিও একশ্রেণীর দেশ এবং সস্থার আপত্তি আছে এতে কেননা মানব অধিকার নাকি লজ্ঞন হয়।
২/ একজন আশি নব্বই বছরের দন্তহীন মানুষকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় দাঁত কি জিনিষ? তাহলে সে ভালো উত্তর দিতে পারবে তুলনামুলক ভাবে যার দাঁত আছে তাঁর থেকে কেননা দন্তহীন মানুষটি দাঁত হারিয়ে তা অনধাবন করতে পারছে।
তাই আমরা যেন হারিয়ে না বুঝি ''মা'' কি। হারানোর আগেই যেন বুঝি মায়ের ভালোবাসা এবং তাঁর প্রতি যেন যত্নবান হই অধিক পরিমানে।
কিছুদিন আগে পত্রিকার ভিন্ন দুইটি খবরের কথা বলে শেষ করছিঃ
দুই সন্তান অতি বুড়ো মাকে আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে বলে মাকে নিয়ে শহরে আসে এবং যথারীতি রেল স্টেশনে ''বোঝা'' রেখে বা ফেলে চলে যায়।
আর এক মায়ের অতি দরিদ্র সন্তান টাকার অভাবে গাড়িতে করে মাকে ডাক্তারের কাছে নিতে পারে না তাই ফলের টুকরিতে মাকে বসিয়ে মাথায় করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।
সবাই ভালো থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




