দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান পরিস্থিতিতে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে অংশ নিচ্ছে না ২৪ টি দল। আর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১২টি রাজনৈতিক দল অংশ নিলেও দুটি দল সরে দাঁড়ানোর কারনে শেষ পর্যন্ত ১০ টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন তড়িঘরি করে ১০ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় দেশের ৩০টি রাজনৈতিক দলই নির্বাচনের বাইরে থেকে গেছে। ১৪ দলের শরিক হিসেবে ৬টি দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আর নির্বাচনের অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েও শেষ মুহুর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছে ইসলামী ফ্রন্ট ও বিএনএফ (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি। বিএনএফ এবছরই নিবন্ধন লাভ করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ২৮জন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। অন্যদিকে ইসলামী ফ্রন্টের ্একজন প্রার্থী মনোণয়ন প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে এখন আটক রয়েছেন। জাতীয় পার্টির ২৯৮ জন প্রার্থীর মধ্যে এখন মাত্র ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জেপি ১০ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নির্বাচনে ৫ জানুয়ারি তরিকত ফেডারেশন, ওয়ার্কাস পার্টি, জাসদের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এরমধ্যে ওয়ার্কাস পার্টি ও জাসদের ৪ জন করে ৮ জন প্রার্থী এবং তরিকত ফেডারেশনের দুজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাকিগুলোর মধ্যে চারটি দল সিদ্ধান্ত জানায়নি আর সিদ্ধান্ত নেয়নি একটি দল। আর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ছাড়াও কৃষক বিকল্প ধারা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, এলডিপি, বাংলাদেশের জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় দেশে –বিদেশে নির্বাচনের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এবং নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাত রূপ নিতে পারে গৃহযুদ্ধে। এব্যাপারে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার যুগান্তর ডটকমকে জানান, ১০ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের এক তৃতীয়াংশ রাজনৈতিক অংশ নেয়নি। ফলে ১০ জাতীয় সংসদ এখন জগাখিচুরীর নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্য পাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।