somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বাধীনতাবিরোধীদের অশুভ তৎপরতা থেমে নেই

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৫ ও ২১ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। দুটি হত্যাকাণ্ডই ঘটিয়েছে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। তারাই আজকের জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করছে। সাংবাদিক, লেখক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তাঁর লেখা Bangladesh : A Legacy of Blood (বাংলাদেশ : রক্তের ঋণ)। বইয়ের একটি অংশে উল্লেখ করেছেন, ২০ মার্চ, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘাতক ফারুক মেজর জিয়াউর রহমানকে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে অবহিত করেছিলেন। মেজর জিয়া বলেছিলেন, অগ্রসর হও। তবে সরাসরি তোমাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে পারব না। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মেজর জিয়াউর রহমান হত্যাকারীদের বাঁচানোর জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামক কালো আইন তৈরি করেন। হত্যাকারীদের বিদেশে পালাতে সাহায্য করেন ও চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল নায়কই ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। অ্যান্থনি মাসকারেনহাস আরো বলেছেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণের পর তাঁর নির্দেশে স্বাধীনতার পক্ষের সৈন্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যার সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে চার হাজার। আমেরিকার সাংবাদিক ও লেখক লরেন্স লিফশুলজ (পুলিত্জার শান্তি পুরস্কার বিজয়ী) বলেন, জিয়াউর রহমান কর্নেল আবু তাহের, খালেদ মোশাররফসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার জন্য দায়ী। মূল কথা হলো, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আলবদর, আলশামস ও রাজাকার যতটা না ক্ষতি করেছে তার চেয়েও বেশি ক্ষতি করেছে জিয়াউর রহমান ও তাঁর পরিবারের মানুষগুলো। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায়। ফলে আইভি রহমানসহ ২৪ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং আহত হন পাঁচ শতাধিক। ওই সময়টা ছিল জামায়াত-বিএনপির শাসনামল। তারেক জিয়ার হাওয়া ভবন ছিল সব অপকর্মের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর মদদেই দুর্বৃত্তরা গ্রেনেড হামলা চালায়। ওই হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্য তারা বিচার তো দূরের কথা, দুঃখও প্রকাশ করেনি। রাজাকারদের মন্ত্রিত্ব দিয়ে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ দ্বারা জঙ্গি তৈরিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মদদ দিয়েছে। বিদেশে টাকা পাচার করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, দেশের উন্নয়নে বাধাদান, কুৎসা রটনা একটি সাধারণ বিষয় তাদের কাছে। বর্তমানেও তাদের মদদে ও যোগসাজশে এ দেশে অবস্থানরত দেশ-বিদেশের নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। যার উদাহরণ গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ২০ জনকে গুলি ও জবাই করে হত্যা এবং ঈদের দিন শোলাকিয়ায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে দুজন পুলিশসহ চারজনকে হত্যা। তা ছাড়া বিভিন্ন সময়ে মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেম, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ধর্মযাজক, বিদেশি ডাক্তার, গবেষক, আওয়ামী লীগ নেতাসহ বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের মানুষ আজ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই তাই সন্ত্রাস দমনে সরকারের পদক্ষেপগুলোকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছর অগণতান্ত্রিকভাবে দেশ চালানো, হত্যা, ক্যু, অগ্নিসংযোগ, অর্থপাচারসহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধীর। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পেয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ। তেমনি তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি এক লাখ ৩১ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সমুদ্র জলসীমা নিয়ে বিশাল ভূখণ্ড। এ ছাড়া প্রায় ৬৫ বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছেন ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দাদের। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উেক্ষপণের মধ্য দিয়ে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রবেশ করতে যাচ্ছে মহাকাশ যুগে। স্থান পাবে ৫৭তম সদস্যপদে। দ্রুতগতিতে আজ দেশ উন্নয়নের প্ল্যাটফর্মে ধাবমান। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরপরই বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত থেকে বের হয়ে আসতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বর্তমান সরকারকে। শুধু তাই নয়, নির্মাণকাজ বিলম্বিত হওয়ায় অতিরিক্ত খরচ হবে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। সব বাধা অতিক্রম করে আগামী ২০১৮ সালের শেষদিকে যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বহুমুখী পদ্মা সেতুটি, যার উভয় তীরে গড়ে উঠবে শত শত মিলকারখানা, হাটবাজার, বিমানবন্দর, রেলস্টেশনসহ অনেক কিছু। আমরা হব আরো সম্মানিত জাতি। সব সুযোগ ও সম্মানের দাবিদার এ দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় দেশপ্রেমিক বাঙালি জনগোষ্ঠী। এ সুযোগগুলো যাঁর নেতৃত্বে পেয়েছি তিনিই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে যে কুচক্রী মহল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছে, তারা বাঙালি জাতির চিরশত্রু। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান হতে হবে। এ দেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে কতটুকু—সেটিই বিবেচ্য বিষয়। এ দেশের শান্তি ও স্বাধীনতার পক্ষের সবাইকে দলমত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই অপশক্তিকে রুখতে হবে। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের এ দেশে কোনো ঠাঁই হবে না। - See more at: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×