অনেক মুর্খ আজকাল উপজাতি দের আদিবাসী বলে। কারণ আদিবাসী বলা হলে ষড়যন্ত্র করতে অনেক সুবিধা। সম্প্রতি এই উপজাতি দের সরকার ১২০০ কোটি টাকার জমি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ২ ব্রিগেড সেনা বাহিনী সরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। এরপরেও এই উপজাতিরা তাদের ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে, গত দুই দিন আগেও জাতিসঙ্ঘের সভা চলা কালে তারা বাহিরে বিক্ষোভ করে।
সব সময় দেখবেন, মুত্রমনা রা এবং দালাল সিএইচটি কমিশন তাদের আদিবাসী বলে প্রচার করে।
আসুন দেখি পাহাড়ের আওয়ামী লীগ ভাইদের মতামত কি??
‘সন্তু লারমা ও চাকমা রাজা দেবাশীষ বলেছিলেন বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নাই, এখানে সবাই উপজাতি’
- রাঙামাটিতে শোক দিবসের আলোচনা সভায় সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেছেন, সন্তু লারমা ও চাকমা রাজা দেবাশিষ রায় ইতোপূর্বে বলেছিলেন বাংলাদেশে ও পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন আদিবাসী নাই, এখানে আছে উপজাতী এবং কিছু ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী। কিন্তু এখন তারা আদিবাসীর দাবীতে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেছেন, আমি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে যখন প্রথম আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন করেছিলাম, তখন সন্তু লারমা বলেছিলেন এই দেশে কোন আদিবাসী নাই। এখানে আমরা সবাই উপজাতী। জুম্ম জনগনের আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আদিবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের সময়ে আমি সন্তু লারমাকে বলেছিলাম এসময়ে উপজাতীর পরিবর্তে আদিবাসী বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে ফেলি, তখনও সন্তু লারমা রাজি হননি। তখনও সন্তু লারমা বলেছিলেন আমরা আদিবাসী নই, আমরা উপজাতী। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে প্রচলিত উপজাতী শব্দটি বহাল রাখা হয়।
অপরদিকে, বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন কালে চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যরিস্টার দেবাশিষ রায় রাষ্ট্রীয় ভাবে অফিসিয়ালি লিখেছেন বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নাই। কিছু জনগোষ্ঠি আছে উপজাতী। তাহলে এখন কেন আদিবাসী দাবীতে সংগ্রাম সংঘর্ষের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটি কোন দেশের ষড়যন্ত্রের আলামত ?
http://dbincht.blogspot.com/2015/06/blog-post_32.html
যেখানে পাহাড়ের অধিবাসীরাই বলছেন তারা উপজাতি সেখানে আমাদের দালাল গোষ্ঠী কিসের স্বার্থে এদের আদিবাসী বলে প্রচার করছে ?
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হোলও উপজাতীদেরকে ‘আদিবাসী’ বলে তারা সংবিধানের ২৩(ক) ধারা তথা সংবিধান অবমাননা করেছে।
সংবিধানের ২৩ (ক) ধারায় আছে -
" ২৩ক। রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। "
এছাড়া ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তিতে (ক) সাধারণ অংশে ১নং উপধারাতে বলা হয়েছে, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল বলা হবে।’ (খ) নং ধারার ১নং উপধারায় বলা হয়, ‘উপজাতি শব্দটি বলবৎ থাকিবে।’ সেখানেতো আদিবাসী শব্দটি একবারও উল্লেখ করা হয়নি।
সুতরাং উপজাতি দের আদিবাসী বলা মানে সংবিধান লঙ্ঘন করা এবং তাদের নিজেদের আচরণের নিজেরাই বিরোধীতা করা।
সরকারের উচিৎ অবিলম্বে নিরাপত্তা বাড়ানো। নতুবা অচিরেই চরম মুল্য দিতে হতে পারে!
সুত্রঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:১৬