somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চা শিল্পে উজ্জ্বল সম্ভাবনা

২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

# চাহিদা ও দাম বাড়ছে : উৎপাদন স্থবির : রফতানি মাত্র ১.৮৫ ভাগ
# মৌসুমের প্রথম নিলামে ৩২ ভাগ চা অবিক্রিত
# বছরে সাড়ে ৫ কোটি কেজি চা লেনদেন : গড়মূল্য বৃদ্ধি কেজিপ্রতি ৩৭ টাকা
# উত্তরাঞ্চল ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বিস্তৃত হচ্ছে চায়ের আবাদ

শফিউল আলম ও এম সাইদুর রহমান তালুকদার
অর্থকরি চা শিল্প এখন ফিকে। অনেকটাই অবহেলিত। ঐতিহ্যবাহী ও প্রচলিত রফতানি এই পণ্য আর বিদেশে যায় না। তবে সময়োপযোগী উদ্যোগ নেয়া হলে বনেদি চা শিল্প অচিরেই ঘুরে দাঁড়াবে। জাতীয় অর্থনীতিতে রাখবে আরও ব্যাপক অবদান। এমন উজ্জ্বল সম্ভাবনা ধারণ করে আছে চা শিল্পখাত। অতীতে এদেশের মসলিন কাপড় কিংবা নিকট অতীতে পাট, চামড়া শিল্পের মতোই সুপ্রাচীন খাত চা। এতে রয়েছে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ। কালের বিবর্তনে চা শিল্প হারাচ্ছে সুখ্যাতি। দীর্ঘদিন এ খাত উপেতি। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সামান্যই। দেশ-বিদেশে চা পানের চাহিদা বাড়লেও বাংলাদেশে বাড়ছে না উৎপাদন। রফতানি সংকুচিত হতে হতে এখন প্রায় শূণ্যের কোটায়। রফতানি পণ্যের তালিকা চা বাদ যেতে বেশীদিন বাকি নেই। বাংলাদেশী চায়ের বাজার নীরবে আয়ত্ত করে নিয়েছে অন্যান্য দেশ। স্থানীয়ভাবে চা পানের চাহিদা বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদন খরচ ও চাহিদা বৃদ্ধির সমানুপাতে অভ্যন্তরীণ বাজারদর সারাবছরই থাকে বেশ চাঙ্গা। কিন্তু চায়ের আবাদ ও উৎপাদনে স্থবিরতা কাটেনি। তাছাড়া চা উৎপাদন কম-বেশী সাড়ে ৫ কোটি কেজিতে সীমিত রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী প্রচলিত পণ্যটির রফতানি ক্রমাগত হ্রাস পেয়ে এখন মাত্র ১.৮৫ ভাগে নেমেছে। আর ৯৮.১৫ শতাংশ চা কিনছেন স্থানীয় ভোক্তাগণ।
এদিকে ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে দেশের একমাত্র ও পৌনে একশ’ বছর ধরে চলমান এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন আন্তর্জাতিক চা ইন্ডেন্ট ট্রেডিং মার্কেটে চলতি মৌসুমের প্রথম নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে আনীত মোট ১১ হাজার ৪৪১ ব্যাগ পাতা চা এবং ১ হাজার ৩৮৯ ব্যাগ গুঁড়ো চায়ের মধ্যে শতকরা ৬৮ ভাগ চা ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। অবিক্রিত থেকে যায় ৩২ ভাগ চা। ট্রেডে পুরনো মৌসুমের ৪৮৬ ব্যাগ গুঁড়ো চা বিক্রির জন্য ফের আনা হয়। শুরুর সেলে চায়ের গুণগত কিছুটা নিম্নমানের কারণে প্রত্যাশিত দরের চেয়ে কেজিতে গড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হয়। স্থানীয় পাইকার, প্যাকেটিয়াররা এবারও ট্রেডিংয়ে ছিলেন তৎপর।
কিন্তু বিদেশী আমদানিকারক কিংবা তাদের প্রতিনিধিরা কেউই অংশ নেননি। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরান, রাশিয়ার মতো বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের প্রধান সবক’টি ক্রেতাদেশ দীর্ঘদিন বাজার থেকে প্রায় উধাও। এর পেছনে প্রধানত চারটি কারণকে দায়ী করা হয়। তা হলো- চায়ের স্থানীয় বাজার দর চড়া থাকা, হাইব্রিড জাতের চায়ের আবাদ প্রসার আধুনিক যুগোপযোগী প্রযুক্তি ও গুণগত মানের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির (রঙ, ঘ্রাণ ও স্বাদ) অভাব, উৎপাদনে স্থবিরতা এবং বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের আন্তর্জাতিক বাজারে আকর্ষণ বা ভাল অবস্থান তৈরি ল্েয ‘ব্রান্ড নেইম’ (যা রফতানিমুখী গার্মেস্টস খাতের অনুরূপ) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রফতানি মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সমন্বিত উদ্যোগের অভাব। এেেত্র বাংলাদেশ চা বোর্ড সম্পূর্ণ নির্বিকার। তদুপরি চায়ের রাজধানীখ্যাত বৃহত্তর সিলেট তথা শ্রীমঙ্গলকে পেছনে ফেলে চা শিল্পখাতের প্রধান এই প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামে রাখার কারণে কাজ-কর্ম চলে ঢিমেতালে। কর্তাব্যক্তিদেরও গাছাড়া ভাব। চট্টগ্রামে চাবোর্ডের হেডঅফিস আদৌ বাস্তবসম্মত ও যৌক্তিক কিনা তা নিয়েও সঙ্গতভাবেই প্রশ্ন রয়েছে সংশ্লিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তাদের মাঝে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর নিয়ন্ত্রিত চা বোর্ডের সার্বিক অদতা, অব্যবস্থাপনা ও নির্লিপ্ততা এবং দীর্ঘ উপোর শিকার হচ্ছে দেশের অন্যতম প্রধান শ্রমনিবিড় খাত চা শিল্প। বোর্ডের আওতায় চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) চাশিল্পের আধুনিকায়নে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করলেও লোকবল স্কংটে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। যদিও এককালে বিটিআরআই উদ্ভাবিত উন্নততর চা বিক্রি হয় সর্বোচ্চ দু’ হাজার টাকা কেজিতে। তাছাড়া বিশ্বের বেশক’টি দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত চায়ের প্রায় ৫০ বছরের পুরনো ও স্থায়ী বাজার এখন প্রায় হাতছাড়া হয়ে গেছে। কারণ হিসেবে মান সম্মত চা উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব, লিজকৃত ভুমিতে নতুন প্ল্যান্টেশন না করা, ছায়াবৃ নিধন সর্বোপরি সরকারী বাগান গুলোর আভ্যন্তরিন সমস্যা নিরসন না করা ইত্যাদি। এছাড়া দেশের ৪৩টি চা বাগান লিজ নবায়ন না করায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত। এদেশের শতাব্দী প্রাচীন চা শিল্পখাত টিকে আছে এর সাথে জড়িত বনেদি উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা ও পেশাদারী উদ্যমী মনোবলের পাশাপশি কয়েক লাখ চা শ্রমিকের হাঁড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের বিনিময়ে।

বাকি অংশ পড়তে হলে প্রবেশ করুন :- http://www.dailyinqilab.com
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×