এক ব্যক্তি শখ করে একটি ঘোড়া কিনলো।। ঘোড়ার রক্ষনাবেক্ষনে সে এক লোক নিযুক্ত করলো।। যা হোক দুই মাস পর ঘোড়ার খোঁজ-খবর নিতে এসে সে দেখলো ঘোড়ার অবস্থা কাহিল!! বুঝলো সে ঘোড়ার খরচের জন্য যা দিচ্ছে তা খরচ হচ্ছেনা।। এবার ঘোড়ার রক্ষনাবেক্ষককে রক্ষনাবেক্ষন করার জন্য আরো একজন লোক নিয়োগ করলো।। দুই মাস পরে ঘোড়ার মালিক এসে দেখলো ওটার অবস্থা আরো খারাপ।। বুঝলো ঘোড়ার খরচ যাচ্ছে দুই রক্ষকের পেটে।। এবার সার্বিক বিষয়ের পর্যবেক্ষনের জন্য আরো এক লোক নিয়োগ দিয়ে দুই মাস পর মালিক এলো ঘোড়া দেখতে।। যা দেখলো তা হলো ঘোড়া প্রায় মৃত্যুপথযাত্রী।। শেষ পর্যন্ত ঐ একজনের কাছে ঘোড়ার দায়িত্ব দিয়ে তার প্রান রক্ষার সিদ্ধান্ত নিল মালিক।।।
আমাদের রাষ্ট্র নামক ঘোড়াটাকেও "গণতন্ত্রের" মুকুট পড়িয়ে সর্বস্তরে শাসক নামক রক্ষকদের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।। যদি বাংলাদেশকে নমুনা হিসাবে নেই বিষয়টা অনেক পরিষ্কার হয়ে যায়।। গণতন্ত্রের নামে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে।।। আসলে এটা কিসের উন্নয়ন?? এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থায়...একদিকে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলকে ভাগ করে ৩০০ সংসদ সদস্য বানানো হলো।। এতেও হলো না।। বানানো হলো উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, কমিশনার।। এরপর ইউনিয়ন নির্বাচন,,আসবে চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বার।। সিটি কর্পোরেশনে মেয়র, কমিশনার।। আরো কিছু থাকলেও জ্ঞানের স্বল্পতার জন্য নাও জানা থাকতে পারে।। এর সঙ্গে রয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সবচেয়ে স্বৈরাচার প্রশাসনযন্ত্র।। ইউএনও, জেলা-প্রশাসন ইত্যাদি।। কথা হলো--সাধারন মানুষের জন্য যে বরাদ্দ তা এতো হাত ঘুরে তলানীতে কি থাকে তা সবাই জানে।।
এখন কথা হলো---" জনগনের দ্বারা, জনগনের জন্য" তথা গণতান্ত্রিক ভাবাধারায় এই চোর-বাটপারির রাজনৈতিক আদর্শের বুলি দিয়ে জনগণকে শোষনে কি মানে আছে??
রাষ্ট্র কোন জীবিত প্রানী না।। একটা বৃহৎ প্রতিস্ঠান।। এখানে গণতন্ত্র হোক একনায়কতন্ত্র হোক--আমরা চাই কল্যান-সুখ।। "বিড়াল সাদা-কালো তা বিবেচ্য নয়,,ব্যাপারটি হলো বিড়াল ইদুর মাড়তে পারে কিনা"।। আমার দেশ বা প্রতিষ্ঠান যদি একটি কুকুর দ্বারাও পরিচালিত হয়....কিন্তু সুখে থাকতে পারি....এতে আপত্তি কিসের?
গণতন্ত্রের লেবাস ঝুলিয়ে মুলা দেখানোর কোন মানে আছে কি?? পৃথিবীর অসভ্য সভ্যতা থেকে শুরু করে সভ্য ও আধুনিকতার পথে কোন কালেই গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিলনা ,,, থাকবেওনা।। গণতন্ত্র মানে ভন্ডামী।।
আমি চোর হলেও কেউ যদি আমাকে চোর বলে তবে আমার খারাপ লাগবেই।। যারা আমাকে ভোট দেয়নি,,আমার পার্টি করেনা তাদের সহ্য না করাটাই স্বাভাবিক।। ভদ্রতা করার জন্য গণতন্ত্রের বুলিতে" আমি সবার সরকার" বললেও পৃথিবীর কেউ নিরপেক্ষ নয়।।।
শিশু ও পাগলকে নিরপেক্ষ বললেও আমার ভিন্নমত রয়েছে।। একটা শিশু যখন কান্নাকাটি করে তখন একমাত্র মায়ের কোলই তাকে অনেকটা শান্ত করে।। শিশু যদি নিরপেক্ষ হতো তাহলে তার মায়ের কোলকে পক্ষ হিসেবে টেনে নিতনা। আর পাগল বলতে বুঝি মানসিকভাবে বিকৃত।। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি কোন পাগল রাস্তার মাঝ দিয়ে হাটেনা।। ঠিকই ফুটপাতে থাকে।। মরার ভয় তারও আছে!! ফুটপাতের পক্ষে সেও।।
সুতরাং গনতন্ত্র-- শিশু ও পাগলকেও মন্ত্রমুগদ্ধ করে আবদ্ধ করতে পারেনি।। অযথা আমাদের মতো বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের কিভাবে গিলে খাচ্ছে তাই বুঝতে পারছিনা।।।
সামাজিক বিজ্ঞান কিংবা রাষ্ট্রনায়কদের বুলিতে সমসাময়িক সময়ে গণতন্ত্রের প্রশংসার মুখস্ত বুলি শুনতে শুনতে বিরক্ত লাগে।।।বারবার নিজ মনেই প্রশ্ন জাগে " হট ইজ ডেমোক্রেসি"।।
আগামি পর্বে এসম্পর্কে আরো কিছু তাত্ত্বিক বিষয়ের ব্যাখা দেবার চেষ্টা করবো।। ধন্যবাদ.....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





