প্রথমেই বুঝতে হবে পাসপোর্ট করা কোন ঝামেলার কাজ না। ধাপে ধাপে কাজগুলো আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি। আমি যেহেতু উত্তরা থাকি তাই প্রসেস গুলা উত্তরা বাসিদের জন্য দেয়া হচ্ছে। আরেকটা বিষয় উত্তরা পাসপোর্ট অফিসে ভিড় একদমই থাকে না এটা প্লাস পয়েন্ট।
১. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র -
ক. NID (যদি থাকে)
খ. জন্ম নিবন্ধন (আসলটা সাথে রাখতে হবে)
গ. নাগরিক সনদপত্র (ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে নিতে হবে, সাথে বাসার Utility বিলের কপি, বাবা অথবা মার NID এর কপি অথবা নিজের NID যদি থাকে সেগুলা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনে গেলেই সেটা পেয়ে যাবেন )
২. কাজের ধাপ -
ক. টাকা জমা - ঢাকা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক আরো কিছু প্রাইভেট ব্যাংক পাসপোর্ট এর টাকা নেয়, আর সোনালী ব্যাংক তো টাকা নিচ্ছেই। প্রাইভেট ব্যাংকে জমা দেয়া সুবিধা, সাধারন পাসপোর্ট ৩৪৫০, জরুরি পাসপোর্ট ৬৯০০ (আমি প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১১ নং সেক্টর ব্রাঞ্চে জমা দিসি, এই ব্রাঞ্চটা ফ্রি থাকে তাই ঝামেলা নাই। স্লিপে নিজের নাম সাবধানে লেখবেন)
খ. http://www.passport.gov.bd/ এই লিংকে Apply করতে হবে, নামের বানান লক্ষ করে ঠিক করে লেখবেন, ব্যাংকের অংশে ব্যাংকের নাম আর স্লিপ নাম্বার টা ঠিক করে লেখতে হবে। মোট কথা সব ইনফো সঠিক ভাবে সময় নিয়ে লেখবেন। সব শেষে ফাইনাল কপি যেটা পাবেন সেটা ২ কপি প্রিন্ট করুন। আপনার ছবি আঠা দিয়ে ফর্মে সঠিক স্থানে লাগান। ব্যাংকের পেমেন্ট স্লিপ টা যেকোন একটা ফর্মে আঠা দিয়ে ফর্মের প্রথম পাতায় একদম উপরে ডানে আঠা দিয়ে লাগাতে হবে, স্লিপের পেছনের অংশের উপরের দিকে ১ সেমি অংশে আঠা লাগাবেন।
গ. সাথে প্রতি ফর্মের সাথে ১ টি জন্মনিবন্ধন পত্রের কপি, নাগরিক সনদপত্র, যদি NID থাকে তাহলে সেটা পিন করুন।
ঘ. ফর্মের শেষ পাতায় যারা ফর্ম সত্যায়িত করতে পারেন তাদের লিস্ট দেয়া আছে, নিজের কাছের কাউকে দিয়ে করালে ভালো হয় কারন তার NID নাম্বার, ফোন নাম্বার দিতে হয়। ফর্ম + যা কাগজ দিবেন সব সত্যায়িত করান। ফর্মের শেষ পাতায় সত্যায়িত করার ঘর আছে, প্রথম পাতায় ছবি আর ফর্ম নিয়ে সিল দিবেন যেন ফর্ম + ছবি দুটিতেই সিল পরে।
৪. সব নিয়ে চলে যান উত্তরা পাসপোর্ট অফিসে, নিচতলাতেই গেটের বামে ২ জন বসে থাকে, তাদের কাছে ফর্ম গুলি দিলে তারা চেক করে সাইন করে দিবে সেগুলা নিয়ে সোজা ৫ তালাতে বায়ো এনরোলমেন্ট এর রুমে ঢুকবেন সেখানে আপনার ছবি তুলবে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে একটা স্লিপ প্রিন্ট করে দিবে এবং আপনার কাজ শেষ।
৫. তারপর পুলিশ ভেরিফিকেশান করবে, তারা আপনাকে কল করবে আপনার দেয়া নম্বরে, তাদের সাথে সব ক্লিয়ার করার আনুমানিক ২০-৩০ দিন পর আপনার নাম্বারে মেসেজ আসবে যে আপনার পাসপোর্ট রেডি তখন সেই স্লিপটা নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে গেলেই পেয়ে যাবের আপনার MRP....