somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেয়েদের ব্রেক-আপ ন্যাকামির আগের ঘটনা।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত বছর ঠিক এই সময়, পাড়ার এক ছোট ভাই অর্কর সাথে অফিস থেকে আসার সময় দেখা হইলে অর্কের সাথে একটা খাবার দোকানে ঢুকি উদ্দেশ্য কিছক্ষন আড্ডা দেওয়া, এরপর ওকে জিজ্ঞেস করলামঃ
- এই তোমার কি হইছে? ফেসবুকে এইসব পোস্ট করো কেনো?
- ভাইয়া আমার ব্রেক-আপ হয়ে গেছে।
- কি বলো এইসব? এতো প্রশংসা করলা সেইদিন তোমার গ্রার্লফ্রেন্ডের! নাম কি ছিলো জানি তোমার জিএফ এর?
- নাম জ্যোতি, ভাইয়া। না ভাইয়া, তেমন কিছুনা সামান্য ঝগড়াটেই ব্রেক-আপ করে ফেলছে।
- হুম ।
- ৫ মাস হয়ে গেছে ভাইয়া, ৫ মাস ধরে আমার ফোনও ধরে না। অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু ওর সাথে ৫ মিনিটও কথা বলতে পারি নাই।
- বলো কি? ফোনে ধরলে কি হয় ওর?
- মানে ভাইয়া আমার ফোনই ধরে না। কোন যোগাযোগই নাই। ভাইয়া একটা ফোন করতে পারি আপনার মোবাইলটা দিয়ে?
- হ্যাঁ, করো।
আমার ফোনটা নিয়ে রেস্টুরেন্টের একটা কোনায় চলে যায় আর ঠিক ২ মিনিট পর আসে। আসার পর ওর চেহারা দেখে আমিতো অবাক, বলে "ভাইয়া থ্যাংকস, আপনার জন্য অনেকদিন পর ওর সাথে একটু কথা বললাম" ফোনে দেখলাম মাত্র ১:১২ সেকেন্ড কথা বলছে তাতেই ওর চেহারা অনেক উজ্জ্বল হয়ে গেছে। অনেক হাসি-খুশি লাগছিলো অর্ককে। যেনো মেয়েটা কোন জাদু করছে অর্ককে।
মনে মনে ভাবলাম জ্যোতি আসলেই অনেক লাকি। এরকম একজন ভালোবাসার মানুষ ওর জন্য পৃথিবীতে আছে। ও মনে হয় বুঝতে পারছেনা যে অর্ক ওকে কতটা ভালোবাসে। অর্কর কোন কিছুর অভাব নাই, বাবা-মা ভালো চাকরী করে, অর্ক নিজেও ভালো চাকরী করছে কিন্তু তারপরও অর্কের মধ্যে একটাই শূন্যতা! সেইটা হচ্ছে জ্যোতি। মনে মনে আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম “অর্ক যাতে জ্যোতিকে বিয়ে করতে পারে”।
ঠিক ১ মাসের একটু বেশিদিন পর অর্ক এক রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তন্ময় ভাইয়া একটু নিচে আসবেন? আপনার সাথে একটু কথা আছে।
- ভাইয়া কেমন আছেন?
- ভালো, তোমার কি খবর অর্ক?
- এইতো চলে যাচ্ছে। তন্ময় ভাইয়া আপনাকে একটা কথা বলার জন্য ডাকলাম।
- কি কথা বলো?
- ভাইয়া আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, ৪ দিন পরই বিয়ে।
- কি বলো? কংগ্রাচুলেসন! তোমার ওই জিএফ এর সাথে?
- না ভাইয়া এর‍্যাঞ্জ। মা ঠিক করছে।
- তোমার এক্স কি জানে?
- না ভাইয়া জানাই নাই। জানাবো কিভাবে? আমার তো ফোনই ধরে না। লাস্ট ও আমাকে ফোন দিয়ে সবকিছু মানা করে দিছে। আগে মাঝে মাঝে মেইল করতাম সেইটাও বন্ধ করে দিতে বলছে। তাই আর ওকে ফোন দিবার সাহসই হয় নাই ভাইয়া। ও বুঝে না, ও যখন আমার ফোন ধরে না তখন আমার কতটা খারাপ লাগে।
- হ্যাঁ তাইলে আর ফোন দিওনা ওকে।
- আমার বিয়ে ঠিক করার আগে আমার "মা" জ্যোতিকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছিলো? তখন আমার "মা" কে বলছে, যে আপনার ছেলেকে অন্য কোথাও বিয়ে দিয়ে দেন। বলেন এখন আমার আর কি করার আছে?
- না তুমি আর কি করবা? বাদ দাও ওইসব, এখন ভালো হয়ে থাকো। নতুন জীবন শুরু করো।
- ধ্যনবাদ ভাইয়া, দোয়া করবেন আমার জন্য।
- অবশ্যই দোয়া করবো।
আজকে অনেক দিন পর আজকে অর্ক আর অর্কের বউকে দেখলাম। পাড়ার অন্য মানুষের মুখে শুনা যে, অর্ক নাকি ভীষণ বউ পাগল। বউকে নাকি যমের মতো ভয় পায় অর্ক। ঠিক তখনই অর্কের এক্স গার্লফ্রেন্ডের কথা মনে পরলো আমার? কি জানি নাম ছিলো মেয়েটার? হ্যাঁ মনে পরছে জ্যোতি। নিজের চোখে দেখা যে, “অর্ক কি পরিমান জ্যোতিকে কে ভালোবাসতো।“ বোধহয় জ্যোতির একটু সুখের জন্য অর্ক সবকিছু করতে পারতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে অর্ক তার শেষ কথা গুলা ঠিক সময় জ্যোতিকে আর বলতেই পারলো না। আজকে ওদের ২ জনকে(অর্ক আর অর্কের বউকে) দেখে মনে হইলো মেয়েটা অর্ককে একটা সুযোগ দিলে অত্যন্ত ভুল করতো না। কারন পাগলের মতো করে কাউকে ভালোবাসা মনে হয় অর্কের পক্ষেই সম্ভব।

আগের পর্বঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০২
২টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×