somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তাজউদ্দীন আহমদের রাজনৈতিক ভূমিকা

২৩ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তাজউদ্দীন আহমদ একবার তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, আমি এটাই দেখাতে চাই যে, একজন সত রাজনৈতিক কর্মী কোন রকমের অন্যায় বা কোন রকমের দুর্নীতি বা কোন রকমের স্বজনপ্রীতি তোষণবাদ এগুলো না করে শুধুমাত্র নিজের কাজ, নিজের চরিত্র এবং নিজের জনসংযোগের মাধ্যমে রাজনীতিতে সার্থক হতে পারে।
বাংলাদেশের ইতিহাসের মহান এই নেতা সারাজীবন ন্যায়ের পথে রাজনৈতিক ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব প্রেক্ষাপট, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তাজউদ্দীন আহমদের রাজনৈতিক ভূমিকা খুবই স্পষ্ট। এই মানুষটি আজীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে গেছেন।
ছাত্র অবস্থাতেই রাজনীতিতে তাজউদ্দীন আহমদের হাতেখড়ি হয়। ১৯৩৭ সালে মাত্র চতুর্থ শ্রেণীতে পড়েন তিনি। সে সময় তিন শিক্ষিত রাজবন্দিকে কাপাসিয়া থানার কর্তৃত্বে রাখা হয়েছিল। ১৩ বছরের তাজউদ্দীন আহমদ তাদের অনেক প্রশ্নের জবাব দেন। তাকে ইতিহাস, ভূগোল, যুদ্ধ, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং মনীষীদের জীবনী সম্পর্কিত অনেক বই পড়তে দেন। তারপর সেখান থেকে পরীক্ষা নেন। তাজউদ্দীন আহমদ সব বিষয়ে পাস করেন। তবে রাজনীতিতে পান সর্বোচ্চ নাম্বার। রাজবন্দিরা তাকে ভবিষ্যতে রাজনীতি করার কথা বলেন। সেই থেকেই তাজউদ্দীন আহমদের রাজনীতির ইচ্ছা হয়।
১৯৪৩ সালে তাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গীয় মুসলিম লীগের প্রগতিশীল অংশের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৯৪৪ সালে তিনি মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে ইনডিয়া বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী যতো আন্দোলন হয়েছে তাজউদ্দীন আহমদ তার প্রতিটিতেই নিজ চিন্তা ও কর্মের স্বাক্ষর রেখেছেন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ গঠিত হয়েছিল। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার বসিরের রোজগার্ডেনে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। তাজউদ্দীন আহমদ এর মূল উদ্যোক্তাদের অন্যতম একজন ছিলেন। কিন্তু তিনি তখন সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত হননি। তখন তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র। লিয়াকত আলির মূলনীতি কমিটির রিপোর্টের বিরুদ্ধে ১৯৫০ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় মহাসম্মেলন হয়। তাজউদ্দীন আহমদ তার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকির আবদুল মান্নানকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে এমএলএ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৫৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই সময় শেখ মুজিবের অবর্তমানে কিছুদিন দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং এর জন্য কারাবরণ করেন। ১৯৬৪ সালে তাজউদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী দলীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুক্তির সনদ বলে বিবেচিত ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। সে সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদও গিয়েছিলেন। নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা ও একনিষ্ঠতার গুণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ১৯৬৬ সালেই তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছয় দফা প্রচার অভিযানের সময় ১৯৬৬ সালের ৮ মে তিনি গ্রেফতার হন এবং গণঅভ্যুত্থানের ফলে ১৯৬৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তিলাভ করেন।
১৯৭০ সালে সেই সময়ের পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এবং পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তাজউদ্দীন আহমদ সে নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচনের পর জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে গড়িমসি করে সামরিক সরকার। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আকস্মিকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। এ অসহযোগ আন্দোলনে সাংগঠনিক দিকসমূহ পরিচালনা ও জনগণের কর্তৃত্বের পরিপ্রকাশক নির্দেশাবলি প্রণয়নে তাজউদ্দীন আহমদ নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন। অসহযোগ আন্দোলন চলার সময়টিতেই পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের সঙ্গে ঢাকায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আলোচনা শুরু হয়। ১৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া আলোচনায় শেখ মুজিবুর রহমানের আস্থাভাজন সহযোগী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ অতুলনীয় বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতার পরিচয় দেন।
২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তানিরা বর্বরোচিত হামলা চালায়। সে রাতেই শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তার অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বের মূল দায়িত্ব পালন করেন তাজউদ্দীন আহমদ। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে নিয়ে তিনি ইনডিয়ায় যান। ইনডিয়ার সরকারের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা চান। তাজউদ্দীন আহমদ ইনডিয়ার প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। সে আলোচনায় তাজউদ্দীন আহমদ বেশ স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, এটা আমাদের যুদ্ধ। আমরা চাই ইনডিয়া এতে জড়াবে না। আমরা চাই না ইনডিয়া তার সেনা দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে আমাদের স্বাধীন করে দিক। এ স্বাধীনতার লড়াই আমাদের নিজেদের এবং আমরা এটা নিজেরাই করতে চাই। এ ক্ষেত্রে আমাদের যা দরকার হবে তা হচ্ছে আমাদের মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলার জন্য আপনাদের দেশের আশ্রয়, ট্রেইনিংয়ের সব রকম সুবিধা এবং সে ব্যাপারে আপনাদের সাহায্য সহযোগিতা ও অস্ত্র সরবরাহ। এসব আমাদের জরুরি প্রয়োজন হবে। আর আমরা যে রকম পরিস্থিতি দেশে দেখে এসেছি তাতে মনে হয়, দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রচুর শরণার্থী এ দেশে ঠাই নেবে। তাদের আশ্রয় এবং আহারের ব্যবস্থা ইনডিয়া সরকারকে করতে হবে। বহির্বিশ্বে আমাদের স্বাধীনতার কথা প্রচারের জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও বিশেষ অবদান রাখবেন এটা আমরা আশা করি।
তাজউদ্দীন আহমদের এ বক্তব্যেই তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে প্রবাসে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৭ এপ্রিল এ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সাংগঠনিক রূপ দিতে কাজ করেছে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাস তাজউদ্দীন আহমদের যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার কলকাতার থিয়েটার রোড থেকে কার্যকলাপ চালিয়ে গেছে। সাংগঠনিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় অপরিসীম ভূমিকা রেখেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠনে কাজ শুরু করেন তাজউদ্দীন আহমদ। পরে শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে এলে তার কাছে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সমর্পণ করেন। অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এ সময় অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর একটি দেশের পুনর্গঠনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যান তিনি।
সে সময় ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রধান ম্যাকনামারা তাজউদ্দীন আহমদ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, একজন বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ না হয়েও তাজউদ্দীন আহমদের চিন্তার যে গভীরতা এবং সে চিন্তাকে চমতকারভাবে উপস্থাপন করতে পারার যে ক্ষমতা, তিনি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের খুব সফল অর্থমন্ত্রী হবেন।
ব্যক্তিগতভাবে তাজউদ্দীন আহমদ খুবই উদারনীতির মানুষ ছিলেন। মন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে নিজ এলাকায় গিয়ে বলেছিলেন, মনে রেখো, আমি শুধু এ এলাকার মন্ত্রী না, আমি পুরো বাংলাদেশের। এখন তোমাদের দায়িত্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ পুরো দেশের মানুষ তোমাদের কাপাসিয়ার এই মন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকবে। আমি স্বার্থপরের মতো আমার এলাকার উন্নয়নের কাজে হাত দিতে পারি না। আমাকে পুরো দেশে সব কিছু সমান ভাগ করে দিতে হবে।
তাজউদ্দীন আহমদ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যকার সুসম্পর্ক একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী সহ্য করতে পারতো না। তাই তারা সব সময়ই এ দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধানোর চেষ্টায় ছিল। তাজউদ্দীন আহমদ যখন অর্থমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন, তখন তার বিরুদ্ধে অনেক ধরনের কথা সুবিধাবাদী গোষ্ঠীটি শেখ মুজিবুর রহমানকে বলেছে। শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাজউদ্দীন আহমদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে। এ দূরত্ব যখন চরমে পৌছায় তখন জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ১৯৭৪ সালে ২৬ অক্টোবর তাজউদ্দীন আহমদ অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ দুই জাতীয় নেতার মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি না হলে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্য রকম হতে পারতো।
প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এবং তাজউদ্দীন সাহেবের মধ্যে যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছিল তার পরিণাম ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যরকম হতো যদি এ দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য, দূরত্ব বা বিচ্ছেদ না ঘটতো। এ দুজন ছিলেন পারফেক্ট কম্বিনেশান। এমন যদি হতো, দুজন মিলে কাজ করতেন, আলোচনা করতেন, সিদ্ধান্ত নিতেন তবে নিঃসন্দেহে আজকের বাংলাদেশ দীর্ঘ সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার চেতনার বাংলাদেশ হতো। কিন্তু এ দেশের দুর্ভাগ্য, দুজনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হলো, তাজউদ্দীন সাহেব চলে গেলেন, দেশের সর্বনাশ আরম্ভ হলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৫:৪০
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×