somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং প্রাসঙ্গিক আইনের বিশ্লেষণ ( ৩য় পর্ব )

১৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(প্রকাশসত্ব সংরক্ষিত)

প্রথম পর্ব

২য় পর্ব

এখন ফিরে আসি The International Crimes (Tribunals) Act 1973 এর খুটিনাটি বিষয়ে। ১৯৭৩ সালের এই আইনটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন।

The International Crimes (Tribunals) Act 1973 এর Jurisdiction অর্থাৎ বিচারের এখতিয়ার আলোচিত হয়েছে আইনটির ৩(১) ধারায়। সেখানে বলা হয়েছে-

“ A tribunal shall have the power to try and punish any person irrespective of his nationality who, being a member of any armed, defence or auxiliary force commits or has committed, in the territorry of Bangladesh, whether before or after the commencement of this Act, any of the following crimes.”
উপরিউক্ত ধারাটির দুটি কি লক্ষ্য করি।বলা হয়েছে any person irrespective of his nationality আবার বলা হয়েছে whether before or after the commencement of this Act; অর্থাৎ যেকোন দেশের নাগরিককে এই আইনের মাধ্যমে বিচার করা যাবে। পাশাপাশি অপরাধ এই আইন প্রণয়নের আগে কিংবা পরে যে সময়ই হোক না কেন, অপরাধের বিচার সম্ভব এই আইনের মাধ্যমেই।

৩(২) ধারায় বেশ কিছু ধরনের অপরাধের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর জন্য এই আইন অনুযায়ী Jurisdiction রয়েছে। এগুলো হলো (a) Crimes against Humanity (b) Crimes against Peace (c) Genocide (d) War crimes (e) Violation of any humanitarian rules applicable in armed conflicts laid down in the Geneva Convertion of 1949 (f) any other crimes under international law (g) attempt, abetment on conspiracy to commit any such crimes (h) complicity in our failure to present commission of any such crimes.

১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এবং তাদের সহযোগী বাহিনীরা এর প্রতিটি অপরাধ করেছে। সুতরাং এই আইনের অধীনে তাদের বিচার হতেই হবে।

লক্ষ্য করা যাক সংবিধানের ৪৭(৩) ধারা এবং The International Crimes (Tribunals) Act 1973 দুই জায়গাতেই auxiliary forces এর কথা বলা হয়েছে। এই auxiliary forces এর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে 1973 সালের আইনের 2(a) ধারায়। সেখানে বলা হয়েছে-

“auxiliary forces” includes forces placed under the control of the Armed Forces for operational, administrative, static and other purpose.

সংজ্ঞার control of the Armed Forces কথাটি মনে রাখি এবং পরবর্তীতে রাজাকার বাহিনী গঠনের দিকে দৃষ্টিপাত করি। ১৯৭১ সালের ২ আগস্ট রাজাকার বাহিনী গঠিত হয় The East Pakistan Razakars Ordinance, 1972 এর মাধ্যমে। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি গেজেট নোটিফিকেশনের ( No. 4852/583/PS-1y/3659/D-2A) মাধ্যমে রাজাকার বাহিনীকে সরাসরি পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অধীনে আনা হয়। গেজেট নোটিফিকেশনের (b) clause টি লক্ষ্য করি-

The officer of the Pakistan Army under whose command any member of the Razakarsis placed shall exercise the same powers in relation to that mwmber as he is authorized to exercise under the side Act in relation to a member of the Pakistan Army place under his command.

সুতরাং আমরা বলতে পারি ১৯৭৩ সালের আইনটির মাধ্যমে রাজাকার বাহিনী, আল বদর বাহিনী এবং আল শামস বাহিনীর সদস্যদের বিচার করা সম্ভব। এবং শিগগিরই এই বিচার কাজ শুরু করা উচিত।



(চলবে)

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৫৮
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×