পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে সমানতালে নাইট শিফটে কাজ করা একুশ শতকের মহিলাদের কাছে কোনো নতুন ঘটনা নয়। তা সে কলসেন্টারের কাস্টমারকে হ্যান্ডেল করাই হোক, কিংবা সাংবাদিকের রাতভর পার্টি অ্যাটেন্ড অথবা ডাক্তারের রোগীর পাশে রাতভর সেবা।
সব পেশাতেই নাইট ডিউটি এতদিন সাবলীলভাবে সামলেছেন মেয়েরা। কিন্তু দিল্লি গণধর্ষণে ২৩ বছরের প্যারা মেডিক্যালের ছাত্রীর মৃত্যু ও ভারতজোড়া বিক্ষোভ, আন্দোলন নাড়িয়ে দিয়েছে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন পেশার মহিলাদের। এই ঘটনার পর ভারতের বেশিরভাগ মেয়েরাই রাতে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন।
এমনকি নাইট শিফট করতে না চাওয়ায় এদের মধ্যে অনেকেই চাকরি ছাড়তেও বাধ্য হয়েছেন। অ্যাসোচেমের এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এই সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, কর্মরতারা বেশিরভাগই বিকেলের মধ্যে বাড়ি চলে যেতে চাইছেন। আইটি বা বিপিওতে চাকুরিরতাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনকি মহিলাদের মধ্যে ভয় কাজ করায় কর্মক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রায় চল্লিশ শতাংশ কমে গিয়েছে বলে অ্যাসোচেমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
নয়া দিল্লির প্রায় ২৫০০ আইটি এবং বিপিও কোম্পানিতে লক্ষাধিক মহিলা কর্মী কাজ করেন। চাকরির জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতে নারাজ এই কন্যেরা। ৮৯ শতাংশ মহিলা কবুল করেছেন, বেশি রাত করে যাতে বাড়ি ফিরতে না হয় সেজন্য যতটা সম্ভব আগেভাগে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়ছেন তারা। দিল্লি ও নয়ডার ২৫০০ বিপিও এবং আইটি সংস্থায় কর্মরত মহিলারা দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের পর প্রচণ্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নাইট শিফটে কাজ করার মতো ঝুঁকি তারা নিতে নারাজ। এদের ৪০ শতাংশের মধ্যেই ফিয়ার ফ্যাক্টর কাজ করছে।