somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাটগাঁর ডায়েরি -দ্বিতীয় কিস্তি

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের রাতে ঘুম বেশ ভাল হল । প্রচণ্ড গরমের ঢাকা থেকে ঘুরে এসে মীরসরাইরের এক পশলা বৃষ্টি বেশ শান্তি দিয়েছিল । সকাল সকাল ফুফুর বাসায় নাস্তা করলাম গরুর কলিজা দিয়ে পরোটা । বেশ ভাল লেগেছিল, হেহে । তারপর কোনরকমে তৈয়ার হয়ে বেরিয়ে পড়ি মহামায়ার উদ্দেশ্যে । রাবার ড্যামটা দেখা হয় নাই । তবে এখনকার সংরক্ষিত বনভূমিটা দেখা হয়েছিল । নৌকায় উঠতে মন চেয়েছিল, তবে পকেটে কুলোয় নি । দুজনকে দেখে আরও বেশি চেয়ে বসেছিল বোধহয় । মহামায়ার লেকে যদি না যাওয়া যায় তবে গিয়ে কোন লাভ নেই । আসলে পুরোটা বিনা কষ্টে দেখতে চাইলে লেকটা খুব সহজ উপায় । সমস্যা হল বেশ খরচ করতে হয় । খরচটাও বেশি না, আমাদের কাছে ছিল না । আগেও বলেছি আমার চেয়ে ফারহানের পকেট খুব বেশি ভারি ছিল না । যদিও সে ফুফুর দেয়া টাকাটা চাইলেই খরচ করতে পারত । নোয়াখাইল্যা তোহ, করে নাই । ফুফুর কথা মনে পড়তে আরেকটা কথা না বললেই না: আমার আসার সময় খুব করে বলছিলেন আরেকটা দিন থেকে যাইতে । ফারহানদের খুব আদর করেন বোঝা যায় । উনার কান্নাভেজা বিদায়টা সেদিনকার উল্লেখযোগ্য একটা ঘটনা । উনি আর উনার পরিবার ভাল থাকুক, এটা আমি একেবারে মন থেকে চাই ।

মহামায়ার পর আমাদের উদ্দেশ্য হল ,! এই সীতাকুণ্ডের কথা শুনে আমরা এসেছি ঢাকা থেকে । চন্দ্রনাথের মন্দিরে যাব এই আশায় এসেছি । মীরসরাইয়ে ফুফা থেকে শুরু করে বাসে করে সীতাকুণ্ডের পথে যতজন পেয়েছি কেউ যেতে পারব বলে বলেনি । শতভাগ ভোট পড়েছিল না যাওয়ার পক্ষে ! বাস থেকে নেমে রিকশার করে সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে যাওয়া । টিকিট কাউণ্টারেও এক কথা । যাওয়া যাবে না । বলে বড় ঝর্ণা পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষী আছে । এরপর নাই । আমরা তারপরও না থামতে প্রশ্ন করে বসল হিন্দু নাকি । নেতিবাচক উত্তর পেয়ে বলেই বসল "তাহলে আর কী লাভ? একটা মন্দিরই তো !" আমরা ঠিক করলাম তাহলে আর যাব না । ব্যাগে আধা বোতল পানি নিয়ে ঝর্ণার উদ্দেশ্যে সিএনজি নিয়ে যাত্রা । ২.৮ কিলোমিটারের রাস্তা । সিএনজি চালক মামার মুখেও এক কথা ! "যাইয়েন না । ডাকাত পড়ে । সবকিছু নিয়ে যাবে । মেরেও ফেলতে পারে ! " আমরা ততক্ষণে ঠিক করেই ফেলেছি, যাব না আর থাক ! কী হবে চন্দ্রনাথের মন্দির না দেখলে ! পৌঁছালাম ঝর্ণার ওখানে । একহাজার ফুট নিচে ঝর্ণা ! সিঁড়ি বেয়ে নামতে হবে । সিঁড়ি বেয়ে উঠতে নামতে হবে । একটু বসে জিরোচ্ছি । কিন্তু ঐ যে বলেছিলাম পাহাড় ডাকে ! সত্যিই ডাকে । ওদিকে ফারহানও কিছু বলছে না । বুঝতে অসুবিধে হয় নি যে ও যেতে চায় । বলেই বসলাম, "চল যাই!" ঠিক করা হল আগে যাব বিমান বাহিনীর ক্যাম্প পর্যন্ত যেটা ওখান থেকে ২০০ মিটার হাঁটা পথ ।

হাঁটতে যাব শুরুতেই দেখি গাছ কেটে রাস্তা ব্লক করে রাখা । যেতে যে দিবে না সেজন্য । আমরা তোহ আরও হতাশ ! কিন্তু মন কিছুতেই মানছে না । হাঁটলাম দুইশ মিটার । দেখা হল বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তার সাথে । নাম ওয়াহিদ । কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার । উনি বলল "যাও তোমরা । আমার নাম্বার নিয়ে যাও । কিছু হইলে একটা ফোন দিবা । দেখেশুনে যাও । " দিলাম রওনা । সাহস পেলাম কিছুটা । পথটা বড় তিন কিলোমিটারের বেশি । তারউপর আমার স্বাস্থ্য তো বুঝেনই । তিন কিলোমিটার সমস্যা না । আমি আর শাকিল প্রায়ই মহাখালী থেকে মিরপুর হেঁটে আসি । পথটা তিন কিলোমিটার থেকে বেশি । সমস্যা হচ্ছে পাহাড় বেয়ে উঠতে যে হয় সেটা । পাহাড়ি রাস্তায় তিন কিলোমিটার অনেক লম্বা পথ । তারউপর মাথার উপর সব শক্তির সূর্য ! মাঝে মাঝে যে বাতাস ছিল না সেটা নয় । পথটাই আমাদের দুজনের মাথায় একটাই চিন্তা ডাকাত পড়লে কী করব! কী বলব । ফারহান আবার ঝোপ ঝাড়ের দিকে নজর রাখতে বলে ভয় আরও বাড়িয়ে দিল । দুজনেই যা পারছি বকছি । শুধু চিন্তাটাকে ডাকাতি থেকে সরিয়ে নিতে ।কোথা থেকে একটা লাঠি যোগাড় করে হাতে নিয়ে হাঁটছে ফারহান । আর আমি বারবার বলছি হিরোগিরি করার কিছু নাই । ট্যুরে প্রথমবারের মত মনে হচ্ছিল আরও কয়েকজন থাকলে বেশ হত । ডাকাতরা আক্রমণ করার আগে ভাবত একবার । প্রথম এক কিলোমিটার আমরা এতটাই ভয়ে ছিলাম ডাকাতের যে সাপ দেখেও ভয় পাই নি ! পথটা কঠিনই ছিল প্রথম এক কিলোর । তারপর যা হয় আর কি! ভয়টা গা সওয়া হয়ে গেল । আমরা জীবনের উত্থান পতন নিয়ে কথা শুরু করে দিলাম । এমনিতে আমি বেশি কথা বললেও এ অংশে ফারহান ভাইয়া বলেছে ভালই । এই পাহাড় বেয়ে উঠতে আর নামতে গিয়েই শুধু বান্দা ফোনে কথা বলে নাই । নাহলে সব সময় কানে হেডফোন ছিলই । যা হোক পানি নেইনি কেন সে জন্য নিজেদের শাপশাপান্ত করতে করতে প্রায় চলেই গেলাম উপরে । কিন্তু শরীর ততক্ষণে অবাধ্য হতে শুরু করেছে । আর পারছিলাম না । তখন দেখি মন্দির দেখা যায় । হাঁটার একটা কারণ পেলাম । শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলাম মন্দিরের নীচে । তারপর আরও সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে । শরীরে কুলোচ্ছিল না তাই একটা বিশাল গাছের নীচে বসে জিরোচ্ছি । গাছটা সিঁড়ির একদম দোরদোড়ায় । সে কী বাতাস । হাতের ঘাম শুকিয়ে গেল কিন্তু পানির অভাবটা গেল না । তেষ্টায় গলা ফেটে যাচ্ছিল । যা হোক, সিঁড়ি বেয়ে উঠছি, মন্দিরের পথে সবথেকে কঠিন অংশ এটা । পা ভেঙে পড়ছিল । টেনে ধরছিল । তারউপর সিড়িতে ধরার কিছু নেই । পা হাত সব অবশ হয়ে গেছিল ! অনেক কষ্টে মন্দিরে পৌঁছালাম । আচ্ছা ভুলে গেছি বলতে নীচে এক লোকের সাথে দেখা জিজ্ঞাসা কিছু করতেই কিছু না বলে চলে গেল ! আমরা ভয় পেলাম ভেবে যে কিছু দোষের করলাম না তোহ ! সিঁড়ি থেকে উঠার সময় সুদূর সন্দ্বীপ পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছিলাম । সত্যি বলতে দেশটা বড্ড সুন্দর আমার । হাঁটতে হাঁটতেই দেখেছি উপর থেকে এত ভাল লাগে! পাহাড়, নদী, গাছ আর অসাধারণ মানুষের মিশেলে চাটগাঁটা অনন্য ! ওখানে গিয়ে পেলাম এক বান্দা যে বসে আছে, জিগেস করলাম যে পানির কোন ব্যবস্থা আছে নাকি । বলে পেছনে নাকি দোকান । ভেবে দেখেছেন? মাটি থেকে ছয় সাত কিলো উপরে যেখানে কিনা মানুষ যায় না ভয়ে সেখানে দোকান আছে । দোকানে যাওয়ার আগে আমি মন্দিরের বারান্দায় শুয়ে গেছিলাম । এতটা ক্লান্তি অনেকদিন আমার হয়নি । দোকানে জিনিস আছে কিন্তু কোন মানুষ নাই !

মানুষ আছে কিনা দেখতে পাশে ঘর মতন একটা আছে । ওতে উঁকি মারতে গিয়ে দেখি অন্ধকারে পুরোহিত মশায় বসে আছেন । খুবই কাকতাল কিন্তু আমি তার দিকে তাকাতেই তিনি চোখ খুলে তাকালেন । বললেন সামনেই পুলিশ আছে আর তারাই দোকানদার । আমি কিছু জিজ্ঞাসা করিনি । হয়ত সবাই এই একই প্রশ্ন করে । পুলিশ মহাশয়কে ডাকলাম, চিৎকার করে । "কেউ আছেন" এর উত্তরে এল "নামাজটা পড়েই আসছি।" পাহাড়ে তো পাশাপাশি প্রার্থনা করছে তারা । আমরা সমতলে কেন খুন করি? অবশ্য সেটাই পাহাড়ের একমাত্র চিত্র নয় !

জিনিস কিনে টাকা দিচ্ছি এমন সময় ছয় জনের একটা দল বলতে গেলে পাহাড় ফুঁড়ে উঠে এলেন ! মাথায় (লাল) তিলক নিয়ে আসা লোকগুলোর কোন ক্লান্তি ছিল না । একটা পাঁচ বছর বয়সী বাচ্চাও দেখি দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছে । পাহাড় বেয়ে উঠে আসা লোকগুলো মোবাইলে একটা গান মতন কিছু ছেড়ে প্রার্থনা করতে লাগলেন । শিব মন্দিরে প্রার্থনা বোধ হয় একটু ভিন্ন । অথবা তারা খুবই মগ্ন ছিলেন । বাইরে থেকে দেখে একটু ভয় পাওয়া অস্বাভাবিক না । আমরা মানে আমি আর ফারহান অবাক চোখে দেখছি তখন দেখি জনা তিনেক আমাদের মতন বয়সী ছেলে আসল কোথা থেকে । ভীষণ দর্শন চেহারা, ব্যবহারও খুব সুবিধের না । প্রার্থনাও করেনা, দেখেও না । চোখগুলো মনে হল কোন যেন আমাদের ব্যাগের উপর ! শুনে আসা ডাকাতদের কাহিনিটা এবার মনে পড়তে লাগল । বলতে গেলে তাড়াহুড়োর মধ্যেই নেমে এলাম । নেমে আবার ঐ গাছটার নীচে বসলাম । এতক্ষণ বাতাস না থাকা অবস্থাটা আবার বদলে গেল । গাছটার নীচে অনেক বাতাস ! ফারহানের মতে গাছটার অলৌকিক মতন কিছু আছে নাহলে শুধু ঐ গাছটার নীচেই কেন বাতাস থাকবে । কাকতাল বলে উড়িয়ে দেয়া যায় নিশ্চিত আর ঘটনাটা ঘটেছে মোটে দু'বার । তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি ওখানে আমার মতন মানুষও জিনিসটাকে অন্তত অস্বীকার করি নি ।

আবার হাঁটা । সেই মাইল তিনেক পথ । এবারে পথটাকে অত কঠিন মনে হয় নি ! জলদি নেমেছি । ছবি তুলেছি । সাপের খোঁপ দেখেছি । রাস্তার ধারে কাঁদানগুলো কে খায় এটা নিয়ে ভেবেছি । আর একটা ঘটনা এবারে সাথে পানি ছিল, তাই শরীরও খুব অমান্য করে নাই । আবার বিমান বাহিনীর ক্যাম্পে বসে জিরিয়ে নেয়া । ঢাকার লোকজন কী করে আছে ওখানে সে গল্প শোনা । গোটা তিনেক কুকুর আছে ওদের নাম জানা । কুকুরগুলো আবার আমাদের খুব পছন্দ করেছিল । খাবার দিয়েছিলাম সেকারণেই হয়ত । এবারে বাকি ঝর্ণায় গোসল । তর সইছিল না গা ছেড়ে একটু ভেসে থাকতে ।

নামটা বোধহয় সুপ্তধারা । ঠিক মনে নেই । হাজার ফুট নীচে । নেমে যেতে বুঝলাম শরীরের উপর দিয়ে গেছে অনেক আজ । ঝর্ণায় নেমে মনটা ভাল হয়ে গেল । কেউ নেই । বান্দা বলতে আমরা দুজন । পারিবারিক রিসোর্ট মনে হচ্ছিল । ফারহানের মা ফোন গিয়েছিলেন পথিমধ্যেই । কথা বলা শেষ করে নেমে যাওয়া ঝর্ণায় ! সাঁতার কাটা । ভেসে থাকা । গোসল করা । জীবন নিয়ে যত না বলা কথা । কয়েক বছর পর এরকম সব থাকবে কিনা কতকিছু নিয়ে ভাবা । মাঝে বোধহয় কথা বলা হয় নি আমাদের মিনিট দশেক । ওটাও হয়ত দরকার ছিল । কোনফাঁকে যে ঘণ্টা দেড়েক কেটে গেল বোঝার কোন উপায়ই নেই । প্রকৃতি আমাদের টানে, আমরাও প্রকৃতিকে ভালবাসি । এটা যে কী দরকার ছিল বলে বোঝানো যাবে না ।


উঠতে গিয়ে খেয়াল হল যে পেটে ভাত পড়েনি । খুবই খিদে দুজনের এবং প্রচণ্ড ক্লান্ত । বলে রাখি, হাজার ফুট নামতে যত সহজ উঠতে ঠিক ততটা নয় । এরমধ্যে সফরসঙ্গী যদি ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাহলে তো কথাই নেই । বল্লভের অভাবটা টের পেয়েছি ভাল । উঠে দরদাম না করেই সিএনজিতে উঠে পড়া আর বাইরে গিয়ে টের পাওয়া যে টাকা নেই পকেটে ! এই সমস্যা আমাদের । খরচ করার সাধ্য কম, বলতে গেলে নেই-ই । তবে সাধ অনেক । যা হোক, বিকাশের দোকানটা ছিল বলে রক্ষা । টাকা তুলে গেলাম সীতাকুণ্ড বাজার উল্টোপথে । একটাই কারণ - পেটপুজো । অনেকদিন এত সাধ করে খাই নি । আমরা পরের দুইদিন ঐ এক আহারের জন্য স্বাভাবিক খেতে পারি নি । এত খেয়েছি ! বিলটা সাধ্যের মধ্যেই ছিল । বের হয়ে পরে কোথায় যাব ভাবতে ভাবতে বাসে উঠে পড়া । লক্ষ্য চট্টগ্রাম শহর । বন্ধু তাজওয়ার অপেক্ষা করছে । নিমন্ত্রণ রক্ষা তো করতেই হচ্ছে ! হাহা । শহরের মজার বেশি কৃতিত্বটা পাবে খাবার । সে গল্প বলার চেষ্টা থাকবে পরের পর্বে । পুরোটা পথ ক্লান্তি কাটানোর চেষ্টা । আমি তো বসে বসে চাটগাঁ দেখছি । এখনো পুরো কৈশোর হারায় নি ঢাকার মত । আর ফারহান কী করছিল? ঠিক ধরেছেন- ফোনে ! (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×