somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বহুবিবাহ সমস্যা নাকি সমাধান? আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বহু বিবাহের উপকারিতা : تعدد نعمة اسلام
শ্রেনী বৈষম্য কমানো , পুরুষের চাহিদা পূরন ও ব্যভিচার দূর করা, বিধবাদের কষ্টদূর করা ইত্যাদি সমাধান একবিবাহে সম্ভব নয়৷
বহুবিবাহের উপকারিতাঃ
১) বহু বিবাহ তালাকের বিকল্প:
শারীরিক ও গুনগত কারনে স্ত্রী অযোগ্য ও অপছন্দনীয় হলে স্বামী যদি তালাক দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে আসে তাহলে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে স্বামী হয়তো সুখী ও তৃপ্তির জীবন পেয়ে যেতে পারে। কিন্তু তালাকপ্রাপ্তা প্রথম স্ত্রী তিলে তিলে শেষ হবে।

অন্যদিকে প্রথম স্ত্রী যদি স্বামীকে দ্বিতীয় বিবাহে বাধা দেয় তাহলে অযোগ্য ও অপছন্দনীয় (শারিরিক, মানসিক,অর্থনৈতিক কারনে গরমিল) স্ত্রী নিয়ে স্বামী তিলে তিলে শেষ হবে। এবং প্রথম স্ত্রীও লাঞ্চিত হবে। এক্ষেত্রে সমাধান বহুবিবাহ। মানে প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ। তাহলে দুই জনই বাচবে।
কিন্তু বহুপুরুষ কুরআনের এ সমাধানে না গিয়ে বিকল্প হিসেবে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে স্ত্রী থেকে কম পাওনাটা পুষিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিবাহে যাচ্ছে না

২)বহুবিবাহে শ্রেনী বৈষম্য কমে যাবে: গরিব ধনী ঘরে যাবে
বর্তমানে দেখা যায় এসপির বউ ডাক্তার। তার ভাই আবার ইনজিনিয়ার। ফলে এসপি সাহেবের হাসপাতালে গেলেও টাকা লাগে না। আবার বাড়ির ডিজাইন করলেও টাকা লাগে না। ধনীরা ধনীর সাথে একচেটিয়া সম্পর্কের কারনে সব সুযোগ ধনীরাই নিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে গরিবরা চরম অবহেলিত হচ্ছে। অনেক সময় ডাক্তার না থাকায় গরিব রোগী মারা যাচ্ছে, গরিব রোগিটি না পারছে টাকা খরচ করে ক্লিনিকে যেতে না পারছে মামু চাচার প্রভাব কাটিয়ে ডাক্তারকে কল করে হাসপাতালে নিয়ে আসতে। অথচ এসপি সাহেবের দুটিই আছে। টাকা ও প্রভাব কাটানো। অথচ রোগী চিকিৎসা পেতে দুটির দরকার ছিল না। একটি হলেই হতো। গরিবের কোনটাই নেই। গরিব নির্ঘাত মারা যাচ্ছে।
বহুবিবাহ কায়েম থাকলে একজন ডাক্তার প্রথমবার ডাক্তার বিয়ে করলেও বহু বিবাহে গেলে দ্বিতীয় বউ এমন দামি মহিলা পাবেন না। আর প্রথম বউয়ে ডাক্তারের তৃপ্তি হচ্ছিল না। সে কালো ও বেটে ছিল। তাই প্রথম বউকে অনেক কথা শুনাত। একদিন বুদ্ধি করে ডাক্তার গরিব কৃষকের সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করে আনে। ফলে প্রথম বউ খোটা থেকে বেচে যায়, অন্যদিকে অবহেলিত কৃষকের গোষ্ঠীর হাসপাতালে একটি প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়।

ধনী ততক্ষন গরিবের দুখ বুঝবে না যতক্ষন না রক্তের ধারা বিয়ের মাধ্যমে গরিবে প্রবাহিত করবে যেমনটি ততক্ষন মায়ের মমতা আসবে না যতক্ষন নিজের সন্তান না হয়৷আবার এক বিবাহ সিস্টেমে ধনী গরের ছেলেরা গরিব ঘরে আসতে চাইবে না৷

৩) বহুবিবাহে মহিলাদের দাম বেড়ে যাবে৷ দেশে ৮ কোটি নারী ও ৮ কোটি পুরুষ আছে৷ পুরুষ যত বেশী বিয়ে বিয়ে করবে৷ নারীর চাহিদা ও দাম ততই বাড়বে৷ আরেক ব্যপার হলো এতে বহু অবিবাহিত ও বিধবা নারী ব্লক হয়ে যাওয়ায় ব্যভিচার একেবারেই কমে যাবে৷
অন্যদিকে পুরুষ যতই সমকামী হবে নারী ততই পচে মরবে৷ বিবাহিত পুরুষদের কামনা করা সিংগেল( তালাকপ্রাপ্ত, অবিবাহিত) মহিলার জন্যে পাপ নয়৷ এখানে তালাকপ্রাপ্ত বা স্বমীহীন মহিলাদের অন্য বিবাহিত পুরুষ কামনা করা অধিকার৷ বিবাহিত মহিলাদের কামনা করা পুরুষদের জন্যে মহাপাপ

৪) বহুবিবাহ মানুষের মানবিক গুনাবলি স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা, সততা, আমানতদারিতা, ন্যায় বিচার, পরোপকারিতা ইত্যাদি নষ্ট করে না৷ হিংসা বিবেক (আকল) নষ্ট করে দেয়৷ ফলে আদল(ন্যয় বিচার) করতে পারে না৷ ফলশ্রুতিতে হিংসুক ব্যক্তি অপরের ক্ষতি চায়৷ বহুবিবাহিত পুরুষ নয় বরং দেশ ও সমাজের শত্রু হিংসুক ব্যক্তি৷

সফল বহুবিবাহে মহিলাদের অন্য নারীর প্রতি হিংসা, স্বামীর প্রতি সন্দেহ কমে যাবে৷ অন্য নারী ও শরীয়তের প্রতি ভালবাসা জন্মাবে৷ বিবেক বদ্ধি পাবে৷ একে অপরকে সাহায্য করার শিক্ষা নিবে৷ অপর বোনকে ভালোবাসার অভ্যাস গড়ে তুলবে ও ভয় কেটে যাবে৷ তারা স্বামীর হক্ব দিতে শিখবে ও নিজের হক্ব আদায় করে নিতে শিখবে৷ তাদের সংকীর্নতা বোধ কমে যাবে

৪) বহুবিবাহ সমাধান ও লাভজনক :
বউকে খোটা দিয়ে অপমান করে লাভ নাই, বউয়ের পরিবার নিয়ে খোটা দিলে চার আনার লাভ নেই, বউকে ছোট করে হাসাহাসি করে লাভ নাই। বউ গরিব বা খারাপ হলে দুখ বা আফসোস করে লাভ নেই।সমাধান বহুবিবাহ৷ বউয়ের সাথে রাগারাগি না হলে তাকে খুশি রেখে কিভাবে আরো দুই চারটি ভোগ করা যাবে সেখানেই সার্থকতা৷ বহু বিবাহের মাধ্যমে স্বামী যাকে ভালোলাগে তাকে পায় এবং প্রথম বউ অবহেলা ও অত্যাচার থেকে বেচে যায়।এতে নারী নির্যাতন কমে যায়৷

৫)বহুমহিলা এক জামাইকে নিয়ে গর্ব করতে পারে৷
বহু মহিলা যদি বলে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ আমার স্বামী তাহলে কোন মহিলার দাম তো কমছে না৷ যেমন সুলাইমান আঃ কে নিয়ে ১০০ জন বউ গর্ব করত৷

৬) সব মহিলারাই বহুবিবাহকে নেগেটিভ মনে করে। লুল। মহিলাদের এ ভুল ধারনা কমানোর জন্যে মিশরের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠান হয়। রানিয়া হাশেম (মহিলা)তাদের মধ্যে অন্যতম। বহুবছর ধরে তিনি বহুবিবাহের জন্যে সংগ্রাম করছেন তাদের লেখা কালজয়ী বই : বহুবিবাহ মহিলাদের জন্যে রহমত ও শরীয়া (تعدد رحمة و شرع)
তিনি বলেন : স্বামীকে বিয়ে করাও (زوج زوجك

কিন্তু খুব কষ্ট লাগে যখন আমাদের হুজুরদের বক্তৃতা " প্রাচীন অপসংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় ইসলামের প্রাথমিক যুগে বহুবিবাহ ছিল, দাস প্রথা ছিল৷ ইসলাম এই খারাপ জিনিসগুলিকে পুরোপুরি বিলুপ্ত না করে চারটি বিবাহ অনুমোদন করে ও দাস প্রথাকে ইসলাম রহিত করে৷"" এজন্যেই নাস্তিকরা প্রশ্ন করে " তাহলে কি নবী ও সাহাবীরাই খারাপ কাজে অধিক লিপ্ত ছিল না? হ্যা নাস্তিকরা মিশরীয় হুজুরদের এ প্রশ্ন করতে পারবে না৷ কারনঃ কারন তারা বহুবিবাহকে ইসলামের নেয়ামত বলে৷

৭) বহু বিবাহ জান্নাতের সিফত বা বৈশিষ্টঃ একবার এভাবে চিন্তা করেন তো ৭২ জন নারী আছে৷ কেউ কাউকে হিংসা করছে না৷ কেউ অশান্তিতেও নেই৷ যে জান্নাতকে যত বেশী কল্পনা করতে পারে সে তত ঈমানদার তেমনি যে যত বেশী জাহান্নামকে কল্পনা করতে পারে সে ততো ঈমানদার৷ ফলে বহুবিবাহে বিরোধিতা করা মানে আল্লাহর ইচ্ছা ও পরকালীন জীবনের সাথে সাংঘর্ষিক৷ বহুবিবাহ দুনিয়াবি কোন বিষয় নয়৷ কারন দুনিয়াতে এক বিবাহ করেও ভালো মুসলিম হতে পারে৷ কিন্তু অধিক স্ত্রী পরকালে থাকবে৷ যারা হিংসা করবে৷ তারা তো জান্নাতেই ঢুকতে পারবে না৷ নবী ও সাহাবীদের চিন্তা ছিল অন্যরকম৷ তারা ভাবত বেশী নারী মানে বেশী নেয়ামত, বেশী রহমত, বেশী আত্মশুদ্ধি৷ নারী মানে আলো৷ নারী হস্তমৈথুন, ব্যভিচার, পরনারীর লালসার মতো পাপকে পরিনত করে পুন্যে৷ আলোর দেবীরুপী নারীরাই পুরুষকে সকল পাপ থেকে বিরত রাখে৷ আলো যত বড় পুরুষ ততো নিরাপদে৷ কারন একবিবাহে পরনারীর লালসা সম্পূর্ন মিটে না৷ তবে নারীদের মাঝে হিংসা আলোর মাঝে খাদ৷ বাতির মাঝে অন্ধকার৷ সরিষাতে ভূত৷ তাই কুরআন হাদিসে হিংসাকে খুব খারাপ ধরা হয়েছে কেননা নারীদের এই হিংসার জন্যেই বহুনারীর স্বাদ পাওয়াটা কঠিন হয়৷ নারী মানে পূন্য৷ নারী মানে আলো৷ হৃদয়কে বিকশিত করতে হলে পূন্যের আলো জ্বালাতে হলে বহুনারী ছাড়া সম্ভব নয়৷ কারন তারা তো আলোকেই পাপ মনে করে৷ তাহলে তারা আলোকিত হবে কিভাবে?

৮) ব্যভিচার ও নারী নির্যাতন কমে যাবেঃ
এক বিবাহে পুরুষের নারী চাহিদা পুরোপুরি পূরন হয় না৷ ঘাটতি থেকে যায়৷ যা মারাত্মক পরিনতি ঢেকে আনে৷ এই ঘাটতি থেকেই ধর্ষন, ব্যভিচার, পরনারী লালসা, নিজ মেয়েকে ধর্ষন, কাজের মেয়েকে ধর্ষন ইত্যাদি ঘটে থাকে৷ তারপরও কুরআনের বিপক্ষে গিয়ে বলবেন এক বিবাহ ভালো?
বহুপুরুষ কুরআনের এ সমাধানে না গিয়ে বিকল্প হিসেবে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে স্ত্রী থেকে কম পাওনাটা পুষিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিবাহে যাচ্ছে না।যদি তারা বিকল্পটা বন্ধ করে দেয় তবে বহুবিবাহের আন্দোলনের জন্যে মিছিল হতো । বিশ্বজুড়ে বহুবিবাহ কমে যাওয়ার প্রধান কারন ব্যভিচার করে স্ত্রী থেকে কম পাওনাটা পুষিয়ে নিচ্ছে।
এক বিবাহ পুরুষের জন্যে ক্লেষ বা কষ্টকর ও বিরক্তিকর বটে৷ আর আমরা সূত্রটা জানি যে আরেকজনকে কষ্ট রেখে নিজেও সুখী হওয়া যায় না৷ স্বামীকে কষ্টে রেখে বউও প্রকত সুখী হয় না বরং অধিকাংশ নারীর অবস্থা চোরের মন পুলিশ পুলিশ৷ স্বামী যাতে অন্য নারীর দিকে আকষ্ট না হয় সারাদিন পাহাড়া দিতে হয়৷

৯) যুবকদের বহুবিবাহ বৃদ্ধ বিবাহ রোধ করেঃ
একটি হলো টাকার লোভে ৭০ বছরের বৃদ্ধের কাছে ১৬ বছরের যুবতীর বিয়ে দেওয়া৷ অথচ যুবকরা উদ্যোগ নিলে মহিলাদের জীবন এভাবে নষ্ট হতো না৷
অথবা (২৫-৩০) এর প্রতিষ্ঠিত যুবককে পেতে নারীকেও ৩০ বছর পর্যন্ত পড়াশুনা করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করতে হবে৷

১০)নারীদের সংখ্যা বেশী তাই সমাধান বহুবিবাহঃ এটা জাকিরের মতবাদ৷ যদিও নারীদের সংখ্যা পয়েন্টে বেশী যা ধরার মতো নয়৷ বরং ব্যপারটি অন্যরকম৷ যা ডাঃ জাকির বুঝাতে পারেন নি৷ যেহেতু ১৬-৩০ বছরের সব নারীই বিবাহযোগ্য৷ কিন্তু উপার্জনক্ষম পুরুষ ২৫-৩০ বছরের মধ্যে৷ ফলে অধিক পরিমান নারী (১৬-৩০) অল্প পরিমান পুরুষকে(২৫-৩০)
বিবাহ করতে সক্ষম না হওয়ায় নারীরা দুটি পন্থা বেছে নেয়৷ একটি হলো টাকার লোভে ৭০ বছরের বৃদ্ধের কাছে ১৬ বছরের যুবতীর বিয়ে দেওয়া৷ অথচ যুবকরা উদ্যোগ নিলে মহিলাদের জীবন এভাবে নষ্ট হতো না৷
অথবা (২৫-৩০) এর প্রতিষ্ঠিত যুবককে পেতে নারীকেও ৩০ বছর পর্যন্ত পড়াশুনা করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করতে হবে৷

১১)এক বিবাহ পুরুষের নারী লালসা পুরোপুরি দূর করতে পারে না৷
পথে নারী চোখে পড়ে গেলে সাথে সাথে কল্পনায় পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক৷ একে কন্ট্রোল করার জন্যে কিছু শিক্ষা হাদিসে দেওয়া আছেঃ
১) হে আল্লাহ হালালের মাঝে সন্তুষ্ট রাখো হারাম থেকে দূরে রাখো ( اكفني بحلالك عن حرامك)
২) অপর নারীর মাঝে যা আছে তা তোমার স্ত্রীর মাঝেও আছে৷ এইটা আমলে নিয়ে অন্য নারীকে দেখে উত্তেজিত হলে নিজ স্ত্রীকে কল্পনা করা৷ এমনকি নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করার কথাও হাদিসে আছে৷
কিন্তু মন থেকে অন্য নারীর অসাড়তা দূর করা এক বিবাহিত যুবকের পক্ষে কঠিন৷ কারন সে তো নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও সাথে মিলিত হয় নি৷ তাই সে ধারনা করতে থাকে অন্য নারীর বিশেষ কিছু আছে৷
আমি আরো বুঝিয়ে বলছি, একটি মোবাইলের দোকানে গেলেন, দোকানদার ৫০০০ টাকা চাইল৷ আর বলল এর কম আর কোথাও পাবেন না৷ প্রথম দোকানদার যতই বলুক না কেন আপনার পুরোপুরি বিশ্বাস আসবে না৷ এরপর আপনি আরেকটি দোকানে গেলেন সে দোকানদার ৫০৫০ টাকা বলল৷ এখন কিন্তু আপনার বিশ্বাস একেবারেই পরিপক্ক হয়ে গেছে যে মোবাইলটি ৫০০০ এর নিচে কিনতে পারা যাবে না৷
ঠিক সেই রকম অন্তত দুটি বিবাহে পুরুষের নারী লালসা ভালই দূর হয়৷ সে মন থেকে বিশ্বাস করতে পারে, অন্য নারীর মাঝে যা আমার স্ত্রীর মাঝেও তা৷ ফলে বহুবিবাহে পুরুষ অধিকতর পবিত্রতা লাভ করে৷ তাই নবী রাসূল ও সাহাবীদের আমরা অধিক বিবাহিত অবস্থায় দেখতে পাই৷ তাই দৃষ্টির হেফাজতের সঠিক বাস্তবায়ন এক বিবাহিত পুরষের জন্যে কঠিন
পরিশেষে বলা যায় বহুবিবাহ তখনই তিরস্কারযোগ্য যখন তা সমাজের ক্ষতি হয়৷ কিন্তু বহুবিবাহের মাধ্যমে যদি সমাজের শ্রেনী বৈষম্য কমে যায় ও ঝুকিপূর্ন অনিরাপদ যৌন মিলন থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে যদি পরস্পর অভিযোগহীন, আস্থাপূর্ন ও সুশৃঙ্খল জীবন যাত্রা নিশ্চিত করা যায় তবে একে দোষ দেওয়াটা যৌক্তিক নয়৷

১২) দাম্পত্য ঝগড়াঝাটি কমে যাবেঃ এক বিবাহ সিস্টেমে স্বামী স্ত্রী কর্তৃক বন্দী৷ ফলে সর্বক্ষন এক স্ত্রী নিয়েই চিন্তা করে৷ এতে ঝগড়া বাড়ে৷ স্ত্রীর সামান্য অবাধ্যতায় স্বামী হতাশ হয়ে পড়ে৷ প্রবাদ" বেশী পীরিতের বেশী জ্বালা "

১৩) নারীদের স্বামী নিয়ে দুশ্চিন্তা কমে যাবেঃ
স্বামী আরেক মহিলার সাথে মোবাইলে কথা বলে কিনা ইত্যাদি দুশ্চিন্তা নারীদের কুড়ে কুড়ে খায়৷ চোরের মন পুলিশ পুলিশ৷ কিন্তু নারীরা যদি বহু বিবাহ মন থেকে মেনে নেয় তাহলে তারা ফালতু দুশ্চিন্তা থেকে রেহাই পায়.

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০২
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×