জাফর স্যার(?) তার চিরচারিত স্বভাব অনুসারেই আবারও ধর্মের নামে ইসলামকে টেনে এনেছেন। তিনি রামুর ঘটনার জন্যে আবারও পরোক্ষভাবে ইসলামকে দায়ী করেছেন। ঐ বেটা তুই এত মিথ্যাবাদী কেন??সারা দেশের মানুষ জানে এটা একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘটনা আর তুই বলিস এটা ধর্মীয়(ইসলাম) গোঁড়ামির কারণ!!!
-তোরে তো কখনো মায়ানমারের বুদ্ধদের ধর্মীয় গোঁড়ামি নিয়ে কথা বলতে শুনি নাই। এরা যে হাজার হাজার মুসলমানদের হত্যা করলো এই জন্যে তো তুই এক কলম লিখিস নাই। ভারতে যখন ধর্মের নামে মুসলমানদের হত্যা করা হয় এইসময় তোর “ধর্মীয় গোঁড়ামি” তত্ত্ব কোথায় থাকে??? ইসরায়েল যখন ফিলিস্তিনে শতশত ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করে তখন তোর মানবতা কোথায় থাকে???তখন কোথায় থাকে তোর “ধর্মীয় গোঁড়ামি” তত্ত্ব????আমেরিকা যখন ইরাক, আফগানিস্থান, পাকিস্তানে নিরাপরাধ মানুষের উপর ড্রোন মারে তখন কোথায় থাকে তোর মানবতা????তুই যে ইসলাম বিরোধীদের পেইড দালাল এটা এখন সচেতন মানুষ মাত্রই বুঝতে পারে এবং পারবে।
-আমাদের জাফর স্যার(?)এক কুফরি ও মুরতাদীয় তত্ত্বও দিয়েছেন, “সব ধর্মই সঠিক”।
অথচ আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,
“নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট একামত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।”-সুরা আল-ইমরানঃ ১৯
“হে ঈমানদারগণ আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিত ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।” –সুরা আল-ঈমরানঃ ১০২
হযরত নূহ (আঃ) বলেছিলেন “আমি মুসলিম হওয়ার জন্যই আদিষ্ট হয়েছি।”- সুরা ইউনুস।
“হে আমার সন্তানগণ! নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্যে ধর্মকে মনোনীত করেছেন, কাজেই তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যু বরণ করো না” –সুরা আল-বাকারাঃ ১৩২
হযরত ঈসা (আঃ) এর সহচররাও বলেছিলেনঃ “সাক্ষী থাকুন যে আমরা মুসলিম।” –সুরা আল-ইমরান:৫২
“যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্থ।” –সুরা আল-ইমরানঃ ৮৫
-মুসলিম তরুণ তরুণীদের বলি যদি নিজেকে মুসলিম বলে দাবী করো তাহলে এইসব মুনাফেক ও তাঁদের “কুফরি ও মুরতাদীয়” তত্ত্ব সম্পর্কে সাবধান থেকো।