প্রথমেই বলে রাখি আমি আসিফ মহিউদ্দিনকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ঘৃণা করি কিন্তু সেই ঘৃণা কোন ব্যক্তিগত বিদ্বেষ বা আক্রোশ থেকে নয়। তাকে আমি ঘৃণা করি কারণ সে আল্লাহ্ ,রাসুল(সাঃ) ও কোরআন নিয়ে গণ্ড মূর্খের মত অনেক আজে বাজে মন্তব্য করেছে, অনেক আজে বাজে লেখা লিখেছে যেগুলো হয়তো ডাস্টবিনে রাখারও উপযুক্ত নয়।
একজন মানুষ নাস্তিক হতেই পারে (যদিও কোন মানুষের পক্ষেই পরিপূর্ণ নাস্তিক হওয়া সম্ভব নয়), কিন্তু সে অন্যের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে সমালোচনা করবে, গালিগালাজ করবে এই স্বাধীনতা তাঁকে দেয়া হয় নাই। কিন্তু আসিফ সেই কাজটিকে তার পেশা বানিয়ে ফেলেছিলো!!
এখন বলতে পারেন ইসলাম এই ব্যাপারে কি বলে??? হ্যা এটা ঠিক, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তার রাসুল (সাঃ) এর সমালোচনা করবে তার শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড হোক সে মুসলিম বা অমুসলিম। এ ব্যাপারে ইমাম আবু হানিফা(রঃ), ইমাম মালিক(রঃ), ইমাম আহমাদ(রঃ), ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) সহ সকল আলেমগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া তার “আস সারিম আল মাসলুল আলা সাতিম আর রাসুল (রাসুল সাঃ এর বিরুদ্ধে অপবাদকারীর উপর তলোওয়ার)” কিতাবে বলেনঃ-
“যে ব্যক্তি আল্লাহ্ রাসুলকে গালি দিবে,সমালোচনা করবে, আল্লাহ্ রাসুলের বিরুদ্ধে কথা বলবে তার শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড”
তবে এই শাস্তি অবশ্যই ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার ক্ষেত্রে। কিন্তু যে দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী আইনতো দূরের কথা বরং ইসলামী বিদ্বেষী প্রচারণা চালানো হয়, রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্ম নিরপেক্ষতা নামক কুফরি মতবাদ কায়েম করা হয় সে দেশে এক দুইজন আসিফ মহিউদ্দিনকে খুজে বের করে হত্যা করা বা আহত করা আমি কখনোই সমর্থন করিনা। বরং এটা ইসলামের জন্যে আরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আমি জানিনা আসিফ মহিউদ্দিন তার লেখালেখি নাকি অন্য কোন ব্যক্তিগত কারণে আক্রমণের শিকার হয়েছেন। ধরে নিলাম লেখালেখির কারণেই হয়েছেন। আর সেই কারণেই আজ ব্লগ ও ফেইসবুকে রব উঠেছে যে, “লেখার জবাব লেখা দিয়েই দেয়া উচিত”। হ্যা আমি নিজেও মনে করি “কি বোর্ডের জবাব কি বোর্ড দিয়েই দেয়া উচিত”। কিন্তু এই নীতি কথাটা শুধু আসিফ মহিউদ্দিনের ক্ষেত্রে নয়, সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
-কিন্তু আসলে কি তাই??? আপনারা কি ভুলে গেছেন এই ফেইসবুকেই কিন্তু তানভীর আহমাদ আরজেল নামের একজনকে জাফর ইকবালের একটি লেখার জবাবে একটি লেখা লিখার কারণে ভাঙ্গা হাত-পা নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করতে হয়েছে, তাঁকে তার হল ছাড়তে হয়েছে, তাঁকে দুইটি মোবাইল, দামি ঘড়ি, টাকা পয়সা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হারাতে হয়েছে। তখন কিন্তু আপনারা বলেন নাই যে,“লেখার জবাব লেখা দিয়েই দেয়া উচিত”। তখন আপনারা উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন। যে সামান্যটুকু প্রতিবাদ হয়েছে তা আমার ইসলাম প্রিয় ভাই বোনদের কাছ থেকেই হয়েছে।
-তখন যারা উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু আজ বলছেন- “লেখার জবাব লেখা দিয়েই দেয়া উচিত” তাঁদেরকে বলি আপনারা ভণ্ড, আপনারা মুনাফেক!!!আমি থুথু মারি আপনাদের সেই ভণ্ডামি আর মুনাফেকির মুখে।
-বন্ধ হোক সকল ইসলাম বিদ্বেষ, বন্ধ হোক লেখার জন্যে গায়ে হাত তুলার সংস্কৃতি। কি বোর্ডের জবাব কি বোর্ড দিয়েই হোক।
আসিফ মহিউদ্দিন সুস্থ হয়ে উঠুক। আল্লাহ্ তাঁকে হেদায়াত দান করুক। আমীন
বিঃদ্রঃ যে লেখাটির কারণে তানভীর আহমাদ আরজেল আহত হয়েছিলো তার লিঙ্কঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



