আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারী। শহীদ দিবস। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
বর্তমানে বাঙালী জাতি হিসেবে আমাদের দোষের অন্ত নেই। যেমনঃ- বাঙালী একাই একশ কিন্তু একশ বাঙালী এক হতে পারে না। শত দোষের মধ্যেও কিন্তু বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গনঅভ্যুথান, একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলনের মতো কিছু গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস এই বাঙালী জাতির আছে। আমরাই পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র জাতি যারা মাতৃভাষার জন্যে প্রাণ দিয়েছি, শহীদ হয়েছি।
আসলে যে কথা বলতে চাচ্ছিলাম তা হলো একুশে পদক নিয়ে.........
একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের ইন্টারনেট জগতে বাংলা ভাষার অস্তিত্ব তেমন একটা ছিল না বলেই চলে কিন্তু আজ বাংলাদেশের ইন্টারনেট জগতের যেদিকেই থাকাই শুধু বাংলা আর বাংলা। এমনকি যে ফেইসবুকে এক সময় ইংলিশ আর বাংলিশ ছাড়া কিছুই দেখা দেখা যেতনা সেই ফেইসবুকেও আজ বাংলা ছাড়া আর কিছু দেখা যায়না। এখন ফেইসবুকের নিউজফিডে ইংলিশ আর বাংলিশ দেখতে হলে হারিকেন দিয়ে খুজতে হয়। তাও পাওয়া যায় কিনা সন্দেহ!!
বাংলাদেশের ইন্টারনেট জগতে বাংলা ভাষার এই অভূতপূর্ব বিপ্লবের একমাত্র কৃতিত্ব ও অবদান হচ্ছে- ইউনিকোড ভিত্তিক অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার।
আপনি কি জানেন এই অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার এর জনক একজন মেডিকেল ডাক্তার!!যার নাম- মেহদী হাসান খান, যিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়া অবস্থায় ২০০৩ সালের ২৬শে মার্চ এই সফটওয়্যারটি তৈরির কাজ সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে রিফাত-উন-নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম, রাইয়ান কামাল, শাবাব মুস্তফা এবং নিপুন হক এই সফটওয়্যারের উন্নয়নের সাথে যুক্ত হন।
অনেকেই একুশে পদকের যোগ্য না হয়েও শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় একুশে পদক লাভ করেছেন কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে একুশে পদকের জন্যে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিটিকে আজ পর্যন্ত একুশে পদকে ভূষিত করা হয়নি।
তাই বাংলাদেশের সকল তরুণ তরুণীদের পক্ষে থেকে “মেহদী হাসান খান ও তার অভ্র টিম” কে পরবর্তী একুশে পদকে ভূষিত করার জন্যে বাংলা একাডেমীর কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।