কয়েক দিন আগে এক বন্ধুর আমন্ত্রনে বসুন্ধরায় Fortuna Fried Chicken এ খেতে যাই। আগেই শুনেছিলাম এখানে নাকি প্রেমিক-প্রেমিকার ফ্রী ডেটিংও চলে কারণ এখানে ফ্রী ডেটিং করার সুব্যবস্থা আছে। তাই এটা নিয়েও একটা কৌতূহল ছিল। খেতে খেতে গল্প করছিলাম এমন সময় পিছনে স্কুল ব্যাগ ঝুলানো দুইটি মেয়ে প্রবেশ করে আমাদের সামনের সোফাতেই বসে। মেয়ে দুইটি ঢাকার একটি স্বনামধন্য গার্লস স্কুলের ছাত্রী ছিল। এটা বুঝতে পারলাম কারণ তারা ঐ স্কুলের ব্যাজসহ ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় ছিল। মেয়ে দুটির একজন কাকে যেন ফোন করে আসতে বলে। কিছুক্ষণ পরেই দুইটি ছেলে এসে তাঁদের পাশেই বসে। সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলাম একটি ছেলে ও একটি মেয়ে পরস্পর বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড। বাকি দুইজন হচ্ছে ঐ বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ডের বন্ধু এবং এরা প্রত্যকেই তাঁদের নিজস্ব বন্ধুকে ডেটিং এ সহযোগিতা করার জন্যে এসেছে। তারা খাওয়া দাওয়ার প্রাথমিক পর্ব শেষ করে। কিছুক্ষণ পরেই দেখলাম বয়ফ্রেন্ডটা গার্লফ্রেন্ডটাকে ঐ দুইজনের সামনেই জড়িয়ে ধরে গালে একটা চুমু খায়। তারপর গার্লফ্রেন্ডটা তার মেয়ে বন্ধুটিকে বলে, তুরা ঐ দিকে থাকিয়ে থাক। আমাদের দিকে থাকাবিনা মানে আমরা এখন লিপ কিস করবো। তো আমিও খুব আগ্রহ নিয়ে তাঁদের দিকে থাকিয়ে আছি, আজ দেখবই তারা কি করে। শেষ পর্যন্ত ওঁরা একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে কিন্তু আমার কারণে আর লিপ কিসটা করতে পারলোনা। তারপর বিরক্তি নিয়ে এখান থেকে উঠে চলে যায়। তারপর এরা কোথায় গিয়েছে, কি করেছে সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা......
এই হচ্ছে অতি সংক্ষেপে ঢাকার স্বনামধন্য স্কুল কলেজের অধিকাংশ ছেলে মেয়েদের অবস্থা।
আজ প্রথম আলোতে একটা সংবাদে দেখলাম-“পতিতা পল্লীতে স্কুল কলেজগামী ছেলেদের সংখ্যা বাড়ছে”
-কি!!খবরটা শুনে আঁতকে উঠলেন। আঁতকে উঠার কিছুই নেই। এ হচ্ছে নৈতিকতাবিহীন ইসলামবিমুখ শিক্ষা ব্যবস্থার আল্টিমেট আউটপুট!!!