ধাপ ১ ঃ
আয়নার সামনে কাধ সোজা করে দাঁড়ান, কোমরে হাত রাখুন ও আপনার স্তনের দিকে তাকান--
লক্ষ করুন--
১.আপনার স্তনের আকার, আকৃতি ও রং।
২.স্তনদ্বয় কোন দৃশত ফোলা স্থান অথবা বিকৃতি ছাড়া একই আকৃতির আছে কিনা।
নিম্নলিখিত পরিবর্তন গুলো লক্ষ করলে অতিস্বত্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন--
১.কুঁচকানো, ফোলা চামড়া অথবা চামড়াতে ডিম্পল( অনেকটা কমলা লেবুর খোসার মত)
২.স্তনের কোথাও ক্ষত অথবা লাল স্থান অথবা ফোলা স্থান।
৩.স্থান পরিবর্তিত নিপল অথবা কুচঁকানো অথবা ভিতরে ঢুকে যাওয়া নিপল।
(ধাপ ১)
ধাপ ২ ঃ
এবার দু'হাত মাথার উপর তুলুন ও পূর্ববর্তী ধাপে বর্ণিত পরিবর্তন গুলো আবারও লক্ষ করূন।
(ধাপ ২)
ধাপ ৩ ঃ
এবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই লক্ষ করুন আপনার নিপল থেকে ( একটি অথবা দু'টি থেকেই) কোন ধরনের তরল জাতীয় কিছু (যেমন পানির মত অথবা হলুদে অথবা রক্ত) বের হচ্ছে কিনা।
ধাপ ৪ ঃ
এবার শুয়ে পরুন এবং আপনার ডান হাত দিয়ে বাম স্তনে চাপ দিন। এক্ষেত্রে আপনার হাতের আঙ্গুল গুলো একসাথে করে ব্যবহার করুন( হাতের তালু নয়)।ধীরে ধীরে চাকতির মত করে হাত ঘুরান ও অনুভব করুন। এভাবে সম্পূর্ণ স্তনকে পরীক্ষা করুন(উপরের কলারবোন থেকে পেটের ওপর পর্যন্ত ও এক পাশ থেকে অন্য পাশ পর্যন্ত এবং অবশ্যই একই ভাবে বগল পরীক্ষা করুন)
একই ভাবে বাম হাত দিয়ে ডান স্তন পরীক্ষা করুন।
এই পরীক্ষা করার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন যাতে আপনার সম্পূর্ণ স্তনটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি নিপল থেকে শুরু করে বৃত্তাকার ভাবে বাহিরের দিকে যেতে পারেন অথবা উপর-নিচ করে সম্পূর্ণ স্তন পরীক্ষা করতে পারেন।লক্ষ্য রাখবেন যাতে আপনি সকল টিস্যু( চামড়া থেকে একদম স্তনের নিচের বুকের খাচা পর্যন্ত ) অনুভব করেছেন।চামড়া ও চামড়ার অল্প নিচের অংশের জন্য অল্প চাপ দিন, স্তনের মাঝের অংশের জন্য মাঝারি চাপ দিন ও স্তনের নিচের অংশ অনুভবের জন্য গভীর ভাবে চাপ দিন।
(ধাপ ৩ ও ৪)
ধাপ ৫ ঃ
এবার আপনি বসে অথবা দাঁড়িয়ে পূর্ববর্তী ধাপে বর্ণিত উপায়ে আবার আপনার স্তনদ্বয় পরীক্ষা করুন।এই ধাপটি গোসল করার সময়ও করতে পারেন , কারন সেসময় চামড়া ভিজা ও পিচ্ছিল থাকে ও করতে শুবিধা হয়।
(ধাপ ৫)
আরও জানতে
View this link
View this link
View this link
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:১২