০৩-১০-১৫
সকাল - ৬টা ৩৪
প্রিয় ডায়েরি,
আমার কেন এমন ফাঁকা লাগছে? শূন্যতা বন্যতায়!
রাত - সময়টা জানা নেই
আমাদের ভেতরের ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত। আমাদের দেহ একটা হলেও এক দেহের মাঝে আমাদের মনের অনেক স্তর। আমরা আমাদের শিক্ষায়, রুচিতে একটা পরিণত বয়সে এসে মোটামুটি একটা "ফিগার " তৈরি করেছি। তা একদিনের অর্জন না। আমাদের যেমন ভালো কিছু ভাবতে ইচ্ছে করে, ভালো কাজও করতে ইচ্ছে করে। একা হলেই আরো উদ্ভট উদ্ভট অনেক ভাবনার শাখা প্রশাখার বিস্তার হয়। অবদমিত অনেক ইচ্ছেরা ফিস ফিস করে কাছে ডাকো "আসো আসো " বলে। আমারো এমন হয়। আমিও অনেক স্বপ্ন দেখি, আমারো অনেক ইচ্ছের জন্ম হয়।ইচ্ছে করে ছিঁড়ে খুঁড়ে সব আমার বুকে চেপে ধরি। জোরে জোরে বলতে ইচ্ছে করে "সব আমার, আমার এই স্বপ্নটা দিবো না "। মনে হয় কেউ বুঝি জোর করে কেড়ে নেবে আমার ছোট, সুখের ভাবনার জগতটা। আমি যা পাইনি কিন্তু যা পেতে চেয়েছিলাম সেসব আমি কল্পনায় দেখি, তন্দ্রায় ঢলে পড়ি। খুব বিশ্বাস করি আমারো একদিন নিজস্ব একজন হবে। আমরা বন্ধু হবো। এক সাথে চলবো।
কিন্তু সব কি আর গল্পের শেষ লাইন হয় অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো।!! হয় না সবসময়।
আমাদের যে মনটা নরম, সে মনটাই না পাওয়ার দরুন, ইচ্ছে মত না হবার দরুন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমরা হয়ত সত্যিকারের কোনো বন্ধুকে আঘাত করে ফেলি। আমি কেন যেনো যে কোনো কিছুতে খারাপ ব্যাপারের দায়ভার অনিচ্ছাকৃত ভাবেই আমার উপরেই নিয়ে নেই। হুট হাট কারো কারো জন্য বুকের ভেতরটা পোড়ে।
কারো কাছে দাবি দাওয়া নাই। কাউকে কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। তবুও কেন আমার আকাশ এত ভার হয়ে থাকে ডায়েরি , তুমি কি জানো?
কেন রাতের চেহারা, চেনা অনুভব দিনের আলোতে বদলে যেতে চায়?
"চোখটা এতো পোড়ায় কেন
ও পোড়া চোখ সমুদ্রে যাও
সমুদ্র কি তোমার ছেলে,
আদর দিও চোখে নামাও " ( আমার প্রিয় সঞ্জীব)
আই উইল লাভ মাইসেল্ফ এগেইন!
০৫-১০-১৫
অনেক অনেক দিন পর একটা বই পড়া শুরু করলাম। শুরুর আগে মনে হয়েছিল হয়ত মন বসাতে পারবো না। কিন্তু শুরুটাই এতো সুন্দর মুস্তাফা সিরাজির "অলীক মানুষ " বইটা কি বলব! প্রথম প্রকাশকাল ১৯৮৮। লেখকের সেই সময়ের ভাবনা, চিন্তা জ্ঞানের প্রকাশ যতটুকুই বইটা পড়েছি, ভীষন আধুনিকতাও সেখানে। এই আধুনিকতা পজিটিভ সেন্সে বললাম।
উপন্যাসের কথক হয়তবা পরবর্তীতে মূখ্য চরিত্র হবে যে শফিউজ্জামান তার কৈশোরিক চিন্তা ভাবনা, দেখার জগত সবই উপভোগ করছি পড়তে। শফি যে গন্ডিতে বড় হচ্ছে সম্পূর্ণটাই ধর্মীয় পরিবেশ। তার বাবা নবদীক্ষিত হলেও "ফরাজি " গোত্রের বিশ্বাস ধারণ করে যেখানে "মাজহাবিদের "মনে করে নিচু শ্রেনির। ৫৪ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়ে এটুকুই বুঝলাম
প্রতিটা মানুষের ( শফির বাবা থেকে শুরু করে কতিপয় ব্যক্তি) মাঝেই অস্তিত্বের আশংকা খুবই তীব্র। তাই তারা এক জায়গায় দীর্ঘদিন বসতও গড়ে না। আর বিভিন্ন রূপকের ছছড়াছড়ি। বইটা পড়ে কবে শেষ করতে পারবো জানি না!
মূলত ধর্মীয় কিছু স্পর্শ কাতরতা চোখে পড়ার মত। ধর্ম পালন বা ধর্মান্ধতা আলাদা ব্যাপার।
১৭-১০-১৫
কতিপয় ব্যক্তি যখন ভাবে আই এম মানিড লেডি, ফিলিং ফানি এন্ড সুখ সুখ। কতিপয় ব্যক্তিদ্বয়ের এই ভাবনা চিন্তার মধ্য দিয়েই হয়ত আমাদের হীনমণ্যতার শুরু।
দিনের শুরুটা সুন্দর হলে কাজের স্পৃহা অনেকগুণ বেড়ে যায়।
২৫-১০-১৫
কেউ কেউ তীব্রভাবে উদাসিন হতে পারে।জন্মগত ভাবেই তারা উদাসীনতাকে রপ্ত করে নিয়েছে, তাদের দেখে এমনই মনে হয়। মাঝে মাঝে ভাবি, আমিও যদি পারতাম এমন করে উদাসীন হতে, যার যা খুশি হোক আমার কিছু যায় আসে না, এমন একটা ভাব যদি আমিও নিতে পারতাম!!!!
প্লিজ ঘুম হয়ে যাও চোখে
আমার মন খারাপের রাতে!!!!