ঘোর অমাবশ্যা। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আই এস এখন আমাদের বসতভিটায়। ইহা শতভাগ নিশ্চিত বলা যায় গত কিছুদিনের কার্যকলাপে। আর প্রমাণ করতে হবে না। দেখার বিষয় কেন? হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সবাই এর শিকারে পরিনত হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো হবে। শিকারী শিকার করে তার স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে আজ ওই নামে সয়ারী হয়ে এই বসত ভিটায় জুজুর ভয় দেখানোর পায়চারী করছে। একজনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অন্যজন নিশাণাবাজী করছে। ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যায় নাই এখনো মীর জাফরের ইতিকথা! প্রায় প্রতিদিন হত্যা করছে। অস্থির করে তুলছে পরিবেশকে। মীর জাফর মসনদের লোভে বানিয়াদের সাথে আতাত করেছিল আজ তার পুনরাবৃত্তি চলছে। এখানে শকুনের ছায়া পড়েছে। একপক্ষে ভারত, রাশিয়া, জাপান অন্য পক্ষে পাকিস্তান, চীন ও আমেরিকা। কার শক্তি কত পরীক্ষা চলছে। মাঝে আমরা নিরীহ প্রাণি ধর নিয়ে বেঁচে আছি। আই এস নামের তুলা ধুনা চলছে সর্বত্র। সুযোগের সদ ব্যবহার করছে শিকারী। তীক্ষ্ন দৃষ্টি নিয়ে বসে আছে। কখন ছোবল বসাবে আই এস নামে। যেমন চলছে সিরিয়াতে। নামে আই এস কিন্তু দখলের লড়াই-ই মোদ্দা কথা। কে শাসন করবে । কার নতজানু কে হবে। ছক কেটে কেটে আমাদের এদিকে এগিয়ে আসছে দখলদাররা। এতদিন চলছিল মনোসতাত্ত্বিক লড়াই এখন আর নয়। তাই আই এসের নামে দখলদাররা চলে এসেছে আমাদের দোড় গোডায়। শেয়ানে শেয়ানে লড়াই হচ্ছে। এক এক জন মেরে মেরে হুসিয়ার করছে। সামনে ভয়ঙ্কর, সরে যা। দখলদাররা এক এক জন এক এক ঘোড়ার পিঠে সয়ারী হচ্ছে। অপেক্ষা সময়ের। অস্ত্রের ঝলকানি আর বারুদের গন্ধে ছেয়ে যাবে। মহড়া চলবে মূহমূহ। ক্ষমতা আর শক্তির করাল গ্রাসে বিলিন হয়ে যাবে এ জনপদ। বিপন্ন হবে মানবতা। দক্ষ নেতৃত্ব-ই বাঁচাতে পারে এ জনপদের জীবন।