somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আহা টুপ, আহা ডুব!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি জানি তুমি কি এত ভাবো, এত এত চন্দনের গন্ধ মেখে কার কাছে কোথায় যাই, এই তো ?
মনের অজান্তেই তোমার চোখে চোখ রাখি পলকহীন, তাকাই তোমার গভীরে, হঠাৎ যখন বুঝতে পারি তুমি আমাকে পড়ে ফেলছ সাদা কাগজের মত ঠিক তখনই পালিয়ে যাই। সত্যি কথা হলো যাই না, যাওয়ার ভাণ করি। তুমি আমাকে একটুও চিন না, আমি খুব ভাল অভিনেত্রী। অভিনয় করলে নির্ঘাত অস্কার পেয়ে যেতাম। তোমার এত যে কাছে আসি, তুমি আমাকে ছুঁতেও পাও না।

অগুণিত মোমবাতির আলোয় একেকটি রাত আমি তোমার সামনে দাঁড়াই, আমি তোমাকে দেখি আর তুমি আমাকে!
আমার সব চিন্তা ভাবনাগুলি আছে রোদ, বৃষ্টি, জ্যোৎস্নায় পাশাপাশি।

জানো? আজ আমি এক পুরুষকে কাঁদতে দেখেছি, শুনেছি তার কান্নার শব্দ। আমার এর আগে জানা ছিল না কোন পুরুষ এভাবে কাঁদতে পারে!
এরপর আমার মাঝে কি যেন হয়ে গেল। এই দেখো, এই ঝমঝম বৃষ্টিতেও আমি অবিচল বসে আছি তোমার সামনে, পড়ে নাও আমাকে, জেনে নাও, জেনে নাও কি চলছে আমার নিজস্ব বুদবুদে...
পারলে না তো !!!
আর ওদিকে বৃষ্টি চুড়ি হাতে রিনিঝিনি শব্দে আমাকে ডাকছে। কোনদিকে কার কাছে যাই বলোতো?
আমি ভাবছি অন্যকিছু, সেই যুবক, সেই রুপার মল, কিছু সবুজ পাতা…

তোমার গায়ে সাটা টিপ, কতবার নিয়ে কপালে পড়েছি, আমার আবেগী মুগ্ধ সময় সবই তোমার সাথে ভাগ করা।
মাঝে মাঝে যখন অতি ব্যস্ততায় তোমার দিকে সময় নিয়ে তাকাবার ফুরসৎ পাই না, তখন নিজেকেই যেন আমি হারিয়ে ফেলি। তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আমি প্রতিদিন নতুন করে অঙ্গীকার করি। নিজেকে নিজে জয় করার অঙ্গীকার, নিজেকে হারিয়ে না ফেলার অঙ্গীকার।

ভাঙ্গা চাঁদটা, নরম জ্যোস্নাটা, পাগলা হাওয়াটা যাকেই দেখতে যাই না কেন তোমাকে বলে যাই, তোমাকে দিকে একবার দৃস্টি বিনিময় করে তবেই আমি যাই।
তুমি তোমার জায়গায় স্থির, অবিচল। তোমাকে আমার খুব হিংসে হয়। ইস, যদি অলৌকিক কিছু হঠাৎ ঘটত !!
আমি তোমার আর তুমি আমার জায়গাটা নিতে !!!



একদিন মনে আছে, কেউ একজন আমার জন্য পাঠালো অনেকগুলি নীলপদ্ম, আমি ওগুলি নিয়ে তোমার সামনে একছুটে এসে দাঁড়ালাম, আমরা দুজনেই খুব হাসছিলাম। মা খুব রাগ করেছিল, নীলপদ্মগুলি না ধুয়ে হাতে নিয়েছিলাম তাই, মনে আছে তোমার?

একবার কবিতা ভর করেছিল আমার উপর, রাতদিন আবৃত্তিতে মেতে রইলাম... ছবি আঁকাআঁকিতে কিছুদিন। কি যে হলো, কোথায় যে হারালো সব!!
একবার আগুন আগুন শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল, দেখি বিদ্যুৎ নেই অথচ ঘর ভরে গিয়েছিল আগুনের লেলিহান শিখার তীব্র আলোয়, ঠিক পাশের বাসায় আগুন... কি যে ভয় পেয়েছিলাম। আমি তোমার দিকে তাকিয়েই বুঝেছিলাম আমরা দুজনেই কি ভয়ই না পেয়েছি। সে ছবিটা আমার চোখে আজো গেঁথে আছে।
আমার হৃদয়টাতে হাজার ফুটো, কোনদিকে কি যে গলে পড়ে বুঝতে পারি না তাই কিছু রাখার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু কিছু কিছু জিনিষ এত স্পষ্ট হয়ে আছে ...অথচ তাদের অনেকেরই থাকার কথা ছিল না।

আজকাল অনেক কিছুই আমি খুব স্পষ্ট দেখতে পাই, সময় হয়ে এলো বলে? ময়ূর পেখমের সব রঙও দেখতে পাচ্ছি আজকাল। আমার বেলাতেই যে উল্টটা হচ্ছে, নাকি সবাই এমন দেখে।

আগামী বর্ষায় থাকবে কি আমার অস্থিত্ব?

কেউ একজন প্রশ্ন করে আমায়-
বলো, কবে আসবে তুমি?
উত্তর দিই, আসছি আমি শীঘ্রই…
যে কোন মুহূর্তেই!

আমি যে এখন উদয় আর অস্তের মাঝামাঝি...
টুপ করে ডুবে যাব যে কোন মুহূর্তেই !
আহা টুপ, আহা ডুব!

“I have begged for you many times, but you did not come; I have sought you, but you avoided me; I called out to you, but you listened not. You hear me now- embrace my soul, beloved Death!”
- K.G.
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×