somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তারেক সালমান জাবেদ
তন্ত্র,মন্ত্র যতই জপি না কেন জবানে,যৌবনের আসিলে ঋতু রাজে,কোকিল কুহু কুহু সুরে গান করে, আমি পাগল তোমারি,প্রেম সুধা পানে, ভোমর পান করে মধু ফুলে বসে ,সে হোক গোলাপ বৈকি ঘাঁস ফুলে।আমার পরিচয় ছন্দের মাঝে।।

উড়ো চিঠি -গল্প

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক
কবিতা,
এখন অনেক রাত, সবাই ঘুমিয়ে আছে।পৃথিবীর সব কিছু এখন নিদ্রাতুর,নেই কোন জন মানবের কোলাহল ফাঁকা রাস্তায় মাঝে মধ্যে দু একটা গাড়ি বাতাসের বেগে ছুটে চলছে।তুমি হয়ত তোমার প্রিয় জনের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছ আর সুখ স্বপ্ন দেখছ।জেগে আছি আমি রাত জাগা তারকার মত,আর তোমার কথা ভাবছি, কেমন আছ তুমি? তোমার কাছে একটি প্রেম পত্র লিখছি।জানিনা আমার এই লিখা তোমার চোখে পরবে কি না আর পরলেই বা তুমি পাঠ করবে কি না,তবু ও লিখছি আমার বিশ্বাস কোন এক দিন তোমার কাছে আমার এই বিরহের কথা গুলা পৌঁছাবে, সে দিন হয়ত বা আমি আর এই পৃথিবীতে থাকব না।ওগো আমি তেমন সাজিয়ে গুছিয়ে তোমার মত সুন্দর ভাষায় লিখতে পারিনা,আমি যা লিখছি ধরে নিও তোমার সাথে কথা বলছি। আজ কত বৎসর হল তোমার সাথে দেখা নেই কথা নেই কোথায় আছ তা জানিনা,শুধু এতটুকু জানি সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে কোন এক দেশে আছ,সুখেই আছ,তোমার সুখে থাকাটাই তো আমার অনেক বড় পাওয়া।শেষ দেখা টা কবে হয়ে ছিল তোমার মনে আছে কি? আর মনে থাকবেই বা কি করে যে মানুষের মনে আমার কোন স্থান নেই,সেই মানুষ কি ভাবে দিন কল ক্ষণ মনে রাখবে।কিন্ত আমার মনে আছে শেষ বিদায়ের দিন টা মনে আছে তোমার সাথে যতটা দিন ছিলাম তার দিন কাল ক্ষণ, কাঁশ যদি ভুলতে পারতাম তা হলে হয়ত একটি নতুন জীবন ফিরে পেতাম।কবিতা এখন প্রতি রাত কাটে আমার নিদ্রাহীন ভাবে ঘুম আসে না চোখে,রাত জাগা পাখি যেমন রাত্রে বের হয় খাবারেরে খুঁজে তেমনি আমি খুঁজে যাই তোমাকে আমার ভুবনে। কেন জানি মনে হয় আমার এই প্রত্রটা তুমি পড়িবে,আর মনে অজান্তেই তোমার গাল বেয়ে দু ফোট জল গড়িয়ে পরবে তবু ও তুমি আমার ভালবাসা বুঝবে না। কতটা ভালবেস্ছি তোমাকে ।আজ আর আমি তোমার কেউ না কখনো ছিলাম কি তা এখন ও জানিনা আর জানতে চাঁই না, আমার এই গভির ভালবাসার মাঝে ছিলনা কোন অভিনয় বা ছলনা , মন প্রান দিয়ে ভালবেসে ছিলাম তোমাকে বিনিময়ে কি পেলাম "আমার এক সাগর ভালবাসার মাঝে তোমার ভালবাসা ছিল শীতের সকালের জমানো পদ্ম পাতার শিশির বিন্দুর মত, দুপুরের রোদে সব মিলিয়ে গেল, কি লাভ এ ভালবাসার বলবে কি কখনো।জানি এর উত্তর তুমি দিতে পারবে না ,তুমি আমার জীবন থেকে চলে গেছ রেখে গেছ স্মৃতি তাই আজ তোমার লিখা প্রত্রের একটি ছন্দ মনে হল:"আমি যদি চলে যাই জীবনের তরে, স্মৃতি টুকু রেখে গেলাম তোমারই অন্তরে"

দুই
আমার প্রত্রটা খুব লম্বা তাই না। আজ আবার তোমার কাছে লিখতে বসলাম,কি লিখব ভেবে পাচ্ছি না, এখন অনেক রাত,আমি বাতায়ন খুলে যতদুর চোখ যায় চেয়ে আছি চারিদিকে আন্ধকার ,তোমাদের বাড়ির আঙিনার লাইটের ক্ষীন আলো দেখা যাচ্ছে।মাঝে মাঝে দু একটা পাখির উড়ে যাচ্ছে ডানা শব্দ শুনতে পচ্ছি।
নিরব চারিদিক নিরব কিন্ত এই নিরবতার মাঝেও আমার চোখে ঘুম নেই,তোমার কথা ভাবছি,ভাবছি কি ভাবে ভুলব তোমাকে, কি করে তুমি আমাকে ভুলে গেলে কিন্তু এই আমি আজ কতটা বছর হল তোমাকে একটি মিনিটের জন্য ভুলতে পারছি না,আর ভুলব বা কি করে,মনে পরে সেই ছোট বেলার কথা :"আমি,তুমি,অনামিকা,আলেয়া,আশা,ফয়ছাল,কাইয়ূম আমরা সভাই এক সাথে প্রাইমারি স্কুলে যেতাম। তখন কি আমরা প্রেম/ভালবাসা বুঝতাম কিছুই বুঝতাম না কিন্তু আমাদের সব বন্ধু বান্ধবদের মাঝে তুমি ছিলে আমার অধিক প্রিয়। সব সময় তুমি আর আমি পাশা পাশি থাকতাম। স্কুলে ক্লাসে একই ডেক্সে পাশা-পাশি বসতাম,রাতে প্রাইভেট পড়ার সময় তুমি প্রতিদিন আমার পাশের চেয়ারে বসতে মাঝে মাঝে আমি দুষ্টমি করে তোমার কলম চুরি করে লুকিয়ে রাখতাম তুমি তখন কি করতে মনে আছে কি কবিতা?জানি না হয়ত বা তোমার মনে আছে কিন্তু মনে না থাকার ভান করে আছ।কবিতা তুমি হয়ত সব মনের মাঝে লুকিয়ে রেখেছ আমি কিন্তু পারছি না আমি লিখব, লিখব আমার জীবনের গল্পটা যাই হোক ছোট বেলার কথায় আবার ফিরে যাই" সে দিন তারিখ টা কি ছিল মনে নেই , আমাদের পাশের বাড়ির একটি আম বাগান ছিল আমরা স্কুল থেকে আসার পথে বাগান টা চোখে পরে পাকা আমের ঘ্রান নাকে আসে , তুমি সে দিন বায়না ধরলে আম পেরে দিতে কি আর করা আম গাছে উঠে আম পেরে দিলাম তোমাকে,কিন্তু গাছ থেকে যেই নামতে যাব আর নামতে পারছিলাম না হঠাঁৎ হাত ফাঁসকে নীচে পরে গেলাম। তারপর কি হয়ে ছিল তুমি ভাল করে জান, আমার হাত ভেঙে গিয়েছিল,আমি
অনেক দিন অসুস্থ ছিলাম , জানো কবিতা তুমি মাঝে মাঝে বলতে আমার কি খুব কষ্ট হয়েছিল । আমি হাসি মুখে বলতাম না,কিন্তু আমার খুব কষ্ট হত বিশেষ করে ঘুমানোর সময় ঘুমাতে কি যে কষ্ট হত তোমাকে বলে বুঝাতে পারব না। কবিতা সে দিনের কষ্টের চেয়ে আজ আমি আর ও বেশি কষ্ট অনুভব করছি তোমাকে হারিয়ে এ জীবন থেকে, সবাই আছে পাশে শুধু তুমি নেই তোমার শুন্যতা আমাকে সব সময় একা করে রাখে।
চলবে

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৯
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×