রফিক তার নানুর বাড়িতে বেড়াতে আসিয়াছে,সাথে মা ও বাবা এবং তার ছোট বোন রিমা । বৈশাখ মাস চারিদিকে বর্ষার অথৈ জল। খাল-বিল,নদী-নালা পানিতে পরিপূর্ন।রফিকের মামা রহিম সাহে বাজার থেকে বড় বড় কৈ মাছ কিনে এনেছেন,রফিকের মামি কৈ মাছ ভাজি করে করলেন সাথে আরও বেশ কয়েকটি তরি-তরকারী ও রাঁধলেন।রাতে খাবারে সভাই একসাথে বসলেন,রফিকের মামা ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিকথা বলতে লাগলেন,রফিক ও তার ছোট বোন খাবার খেয়ে খেয়ে শুনতে লাগলো, হঠাৎ রফিকে গলায় কৈ মাছের একটা কাঁটা বিঁধে গেলো। রফিক চিৎকার করে বলতে লাগলো মা-মামা আমার গলায় মাছের কাঁটা বিঁধে গেছে,গলায় কেমন জানি করছে-মা ও মামা বললেন একসাথে একমুঠ ভাত না চিবিয়ে গিলে ফেলতে তাহলে কাঁটা চলে যাবে,রফিক তাই করলো কিন্তু কাজ হলো না এখন কি করা যায়-রফিক কাঁটার ব্যাথায় হাউ-মাউ করে কাঁদতে শুরু করে দিলো,কান্না শুনে রফিকের নানী ছুটে আসলেন ,"উল্লখ্য যে রফিকের নানী আগের যুগের মানুষ" তিনি রফিকের গলায় কাঁটা বিঁধে শুনে বললেন কেঁদো না নানু ভাই তোমার গলার কাঁটা কিছুক্ষণের মধে্য চলে যাবে-এই বলে তিনি বিড়ালের খুঁজ করতে লাগলেন,অনেক খুঁজা-খুঁজির পর বিড়াল বেচারাকে পাওয়া গেলো ধানের ভাড়ালে,রফিকের মামা ও বাবা মিলে বিড়াল বেচারাকে ধরে আনলেন।রফিকের নানী বললে নানু ভাই বিড়ালের ট্যাং(পা) ধরে মাফ চাও "বলো বিড়াল মামু আমাকে মাফ করে দাও আমি না বুঝে ভুল করে তোমার খাবার খেয়ে ফেলেছি,এমন ভুল আর জীবনে করবো না"রফিক ঠিক তাই করলো কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না। এবার কি করা যায় যত সময় যাচ্ছে রফির অবস্থা অবনতির দিকে,সকাল হলো রফিকে গলা ফুলে গেছে পাশের বাড়ির এক জন এসে বললো ময়না বুড়িমার বাড়ি যাও আর কলা পড়া নিয়ে আস,রফিক কে সাথে নি মামা রহিম সাহেব ময়না বুড়িমার বাড়ি গেলেন সে-খানে গিয়ে লাইন ধরে আরো অনেক লোকজন দাঁডিয়ে আছে দেখলেন কারো এটা লাগবে কারো ওটা লাগবে ,বুড়িমা সব রোগের ঔষুধ জানেন ঝাঁড-ফুঁক দিলেই রোগ মুক্তি লাভ করা যায়,রফিক কে সাথে নিয়ে রহিম সাহেব লাইনে দাঁড়িয়ে রহিলেন। এভাবে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বুড়িমার সাক্ষাত পাওয়া গেলো ,বুড়িমা কলা পড়া দিলেন সাথে ফুঁক দিলেন " আম খাও জাম খাও পোক দেখে আর ভাত খাও মাছের কাঁটা তুলে"যা কাঁটা যা গলা থেকে নেমে পেটের ভিতরে যা"চু মন্ত্র চু" কিন্তু রফিকের গলার কাঁটা তো নামলো না বরং বাড়তে লাগলো।
বিদ্র: মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষা যদি এভাবে চলতে থাকে তা হলে একদিন আমাদের ডাক্তারা ও বুড়িমার মতো হয়ে যাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:১২