মনের অবস্থা খুবই খারপ । কি জন্য জানিনা । কার জন্য খারাপ তাও তো বুঝতে পারছিনা । আমি সবসময় ভাবতাম মন খারাপ মন ভালো এই শব্দগুলো বোধহয় শুধু যারা প্রেম করে তাদের জন্য গচ্ছিত । আগে যখনই মন খারপ হতো বুঝতে পারতাম না । ভাবতাম এগুলো হয়তোবা দুপুরের খাবার ঠিক হয়নি তাই এরকম করছে । বা শরীর খারাপ করবে এজন্য এমন হচ্ছে । যারাই মন খারাপের কথা বলতো সামনাসামনি তাকে বলতাম সমস্যা নাই ঠিক হয়ে যাবে আর মনে মনে ভাবতাম সালার পুত প্রেম করছ কেন ? না করলে তো এমন কথা বলতে না । ভাবতে পারেন আমি প্রেমে পড়ছি তাই আমারও এই দশা । আসলে তা না । আমার আগের ভাবনা গুলো শুদ্ধ ছিল আমার অপরিপক্কতার বিচারে । এখন বয়সের তাগিদে বোধগম্যেরও পরিসীমা ব্যাপক হচ্ছে ।নিজেকে চিনে ফেলছি বললে ভুল হবে নিজকে চিনতে শুরু করেছি । আর যতই অর্ন্তদৃষ্টির পর্দা ফিকে হচ্ছে ততই অন্ধকারের এক তীব্র ছোবল আমার দৃষ্টিকে ভোঁতা করে দিচ্ছে । যে দিকে তাকাই শরীরের কোথায় যেন নীল ব্যথার টান্ডা স্রোত অনুভব করি ।হতাশার প্রচন্ড ডেউ অস্তিত্বের ওপর আছড়ে পড়ে । চারিদিকে হাহাকার আর যন্ত্রণার মিলন মেলা । সদ্য গর্ভ থেকে পতিত শিশুর চিৎকার ধ্বনি যেমন অসহায়ত্বের করুণ সুর তুলে তেমনি চারিদিকে কান পাতলে অসহায় মানুষের মিছিলের পদধ্বনি শুনতে পাই । সেই মিছিলের পশ্চাত গামী আমিও এক যাত্রি । যাদের কোনদিন অভিভাবকের ধরদ ভরা চাহনি,মমত্বে ভরা একটু হাতের পরশও ভাগ্যে জুটেনি ।বিপদের সময় পাশে দাড়িয়ে একটু কোমল স্বরে শান্তনা দেয়ার মত বা বিলীন গর্তে পিছলে যাওয়ার পুর্বে শক্ত হাতে আগলে রাখার মত কেউ নেই ।
এ কেমন বেঁচে থাকা? এভাবে বেচে থেকে কী লাভ? মুল্যহীন, অর্থহীন । ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে শিউরে উটি ।কল্পনায় ভেসে ভেড়ায় রক্তে মাখামাখি রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে আমার লাশের প্রতিচ্ছবি । ইচ্ছে হয় চৌরাস্তার মাঝে দাড়িয়ে বলি আমি আর এভাবে বাচঁতে পারছিনা আমাকে স্বাধীনতা দাও ,,,,তাতেও ভয় কখননা আবার নিজেকে আবিস্কার করি হাতে হাতকড়া পরিহিত বদ্ধ কুটুরির রিমান্ডের চেয়ারে । অথবা নির্দোষ মানুষের পদতলে ।শৃংখলহীন মুক্ত আমি তার পরও আবদ্ধ, আষ্টেপৃষ্ঠে আমার হাত,পা বাধা, কন্ঠ রুদ্ধ করার সকল আয়োজন আমার সামনে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




