somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২০০৬ সালে ডেনমার্কে মহানবী (সাঃ) এর কার্টুন ছবি আঁকা প্রসঙ্গে মসজিদে হারামে প্রদত্ত খোতবার বঙ্গানুবাদ

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানব জাতি, আল্লাহকে যথাযথ ভয় কর। যে আল্লাহকে ভয় করে সে দুনিয়ায় সফলকাম এবং আখেরাতে সুসংবাদপ্রাপ্ত হবে। দুনিয়ায় নিরাপদে থাকবে এবং আখেরাতে লাভবান হবে। কেবল আল্লাহ-ভীতি বা তাকওয়ার মাধ্যমে আমরা মর্যাদার শীর্ষে পৌঁছুতে পারব। তাকওয়ার অন্যতম শীর্ষ স্তর হল আরব-অনারব সকলের নেতা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষে প্রতিবাদ করা, এ মহামানবের পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এর মাধ্যমে অর্জিত হবে সর্বোচ্চ লক্ষ্য, সর্বোত্তম নেয়ামত। আর তা কতই না উত্তম প্রতিদান!
মুসলিম ভায়েরা, ইতিহাসের পাতায় নজরদানকারী, সভ্যতার উত্থান-পতনে সজাগ দৃষ্টিদানকারী লক্ষ্য করবেন, নানা জাতি নানা গোত্র কালের স্বৈরাচারী নিকষ আঁধারে চিরতরে হারিয়ে গেছে। কিন্তু ইতিহাস তার ঝুলিতে ধারণ করে আছে প্রোজ্জ্বল এক আলোক রশ্মি, আর উন্নত এক উম্মাহ। সমুচ্চতায় যা আকাশের নক্ষত্রকেও হার মানিয়েছে । সে নুর হচ্ছে মুহাম্মাদের আনীত বিশ্বজনীন বার্তা। (এর বাহকের উপর যুগের পর যুগ, কালের পর কাল সর্বোত্তম সালাম ও রহমত বর্ষিত হোক।) আর সে জাতি হচ্ছে মুসলিম উম্মাহ। যার শুভ-ঊষা প্রতিটি প্রান্তরে প্রভা ছড়িয়েছে। প্রতিটি অন্তরের কুলুপ খুলে দিয়েছে। যার বরকতে প্রতিটি বাগ-বাগিচা সজীব হয়ে উঠেছিল। এই রিসালাহ প্রভূত কল্যাণের ধারক, হেদায়েতের আধার, ন্যায় ও সততার বাহক। ইসলামের কল্যাণেই তো ইতিহাস আলোকিত হয়েছে। শ্রেষ্ঠ মানুষের ঐশী দর্শনে মানব সভ্যতা তার অস্তিত্বের প্রকৃত অর্থ উপলব্দি করতে পেরেছে। আর আমাদের নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সভ্যতাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছে, কালিমা মুক্ত করেছে। “ঈমানদারদের প্রতি আল্লাহর বড় অনুগ্রহ- তিনি তাদের মধ্য থেকেই একজনকে রাসূল হিসেবে তাদের কাছে প্রেরণ করেছেন। যিনি তাদেরকে তাঁর আয়াত পড়ে শুনান, পরিশুদ্ধ করেন, কিতাব ও সুন্নাহর জ্ঞান দেন। যদি ও বা তারা ইতোপূর্বে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে ছিল।”(সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৬৪) এই অবারিত ফল্গুধারা এখনো কোন রাহবার ছাড়া দেশ থেকে মহাদেশ, প্রান্তর থেকে তেপান্তর বিজয় করে চলছেন। বারী তাআলার হেকমতের দাবী ছিল মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহকে (তাঁর উপর রবের সালাম ও শান্তি বর্ষিত হোক।) তাঁর অহীর বাহক বানানো। যিনি হচ্ছেন পরিপূর্ণ রহমত, সবার জন্য নেয়ামত, দয়াময়, মহানুভব নবী। তিনি ছিলেন উচ্চ বংশের, সম্মানিত গোত্রের। যে চিন্তায় সদা বিভোর থাকতেন- কিভাবে মানব-সভ্যতাকে অন্যায়-অবিচার, বর্ণবাদ ও মূর্তি পূজার রাজ্য থেকে উদ্ধার করে ন্যায়-নিষ্ঠা, অনুগ্রহ-অনুকম্পা, সহযোগিতা ও সহমর্মিতার জগতে নিয়ে আসতে পারবেন। “আমরা আপনাকে বিশ্ব-জগতের জন্য রহমতস্বরূপ-ই পাঠিয়েছে।” (সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭) তাঁর রিসালাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও নবুয়তের বৈশিষ্ট্য আজ অবধি সত্যসন্ধানী গবেষকের গবেষণার একটি উপযুক্ত বিষয়। বরং এটি চির সজীব একটি অঙ্গন।
সমবেত মুসলিম ভায়েরা, রাসূল ভক্ত বন্ধুরা, এই তীক্ষ্ম মেধাবী, নিরক্ষর নবীর সদগুণ ও তাঁর শরীয়তের যাবতীয় বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা এসেছে তাঁর পূর্ববর্তী নবী-রাসূলদের পক্ষ থেকে। আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, “যারা এ নিরক্ষর নবীর অনুসরণ করে, যার কথা তারা লিপিবদ্ধ পায় তাদের কাছে থাকা তাওরাত ও ইনজিলে, যিনি তাদেরকে সৎকাজের আদেশ দেন, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করেন, পবিত্র-জিনিস হালাল করেন আর অপবিত্র-বস্তু নিষিদ্ধ করেন এবং যিনি তাদেরকে মুক্ত করেন গুরুভার থেকে ও শৃংখল থেকে যা তাদের উপর ছিল। সুতরাং যারা তার প্রতি ঈমান আনে, তাকে সম্মান করে, তাঁকে সাহায্য করে এবং তাঁর সাথে অবতীর্ণ হওয়া নুরের অনুসরণ করে তারাই সফলকাম।”[সূরা আরাফ, আয়াত: ১৫৭] বিস্ময় জাগে! অস্বীকারকারীরা কিভাবে প্রিয় নবীজীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) এসব গুণকে অস্বীকার করতে পারে? বিদ্রূপকারীরা কিভাবে তাঁর ব্যাপারে স্পর্ধা দেখাতে পারে? নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) এর গুণ-গান তো এতেই সীমাবদ্ধ নয় বরং তাঁর পুরো জীবনটাই সকল সুন্দর ও মানবিক গুণের আঁধার। তাঁর উপর অবতীর্ণ শরীয়ত (জীবন-বিধান) হলো সর্বশেষ শরীয়ত এবং পূর্ববর্তী সব বিধি-বিধানকে রহিতকারী। তা সত্ত্বেও অহীর বাহকদের সাথে ঠাট্টা-মশকরার মাধ্যমে যারা আল্লাহর রিসালাতের পবিত্রতার উপর হামলা করে আল্লাহ তাদেরকে কঠোর শাস্তির হুমকি দিয়েছেন। বরঞ্চ এটাতো আল্লাহর মহত্ব ও বড়ত্বের উপর সরাসরি চ্যালেঞ্জ । কারণ নবী-রাসূলরা তো তাঁর বাণী প্রচারের জন্য তাঁর পক্ষ থেকে নির্বাচিত ও দায়িত্বপ্রাপ্ত।
ঈমানদার ভায়েরা, আল্লাহ তাআলার বড় মেহেরবানী যে, তিনি তাঁর প্রিয় নবীকে এমন সব সাহাবীদের বন্ধনে রেখেছিলেন যারা ছিলেন একনিষ্ঠ বন্ধু, উত্তম চরিত্রবান, মহান হৃদয়ের অধিকারী। তাদের এক ব্যক্তির আদর্শই একটি রাষ্ট্র, একটি জাতির সংশোধনের জন্য যথেষ্ট। নবীর প্রতি তাদের ভালোবাসা ছিল অপূর্ব। তাদের কাছে নবী-প্রেম তুল্য আর কিছু ছিল না। এমনকি নিজেদের জীবনও না। তৎকালীন কাফির নেতা আবু সুফিয়ান যায়েদ ইবনে দাছিন্না নামক সাহাবীকে মৃত্যুর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল: “যদি তোমার স্থানে মুহাম্মদকে হত্যা করে তোমাকে মুক্তি দেয়া হয় তুমি কি খুশী হবে? উত্তরে প্রিয় সাহাবী নিঃশঙ্ক চিত্তে বললেন: আল্লাহর ক্বসম, আমার প্রিয় হাবীবের মৃত্যু তো দুরের কথা আমার মুক্তিপণ হিসেবে তাঁর গায়ে একটি কাঁটা বিদ্ধ হবে তাও আমি সহ্য করতে পারব না। তখন আবু সুফিয়ান হতভম্ব হয়ে চিৎকার করে বলল: আল্লাহর কসম, মুহাম্মদের প্রতি তার সাথীদের প্রেম-ভালোবাসার মতো গভীর ভালোবাসা আমি আর কোথাও দেখিনি। যায়েদ (রাদিআল্লাহু আনহু) নবীকে ভালবেসেছেন বলেই তো এভাবে কঠোরভাবে জোরালো ভাষায় প্রত্যুত্তর করতে পেরেছিলেন। “তাদের স্বপ্ন ছিল পাহাড়সম। মুষ্টিদ্বয় যেন বারিধারা। নবীর জন্য আত্মোৎসর্গকারীরা তো কিয়ামতের দিন জাব্বারের রহমতে থাকবে।”[আরবী পংক্তির অনুবাদ] তারা ত্যাগের এ বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছিলেন, কারণ তাদের অন্তর ছিল পুত-পবিত্র, দয়ায় ভরপুর, ভালবাসায় টইটম্বুর, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় সমৃদ্ধ, ঐকান্তিকতা ও সত্যবাদিতায় পরিপূর্ণ। আল্লাহর শপথ, কি মহান এই দ্বীন! কত মহান এই দ্বীনের বাহক!। কতই না মহিমান্বিত তাঁর আদর্শ! “বিশ্বের সকল বাগ্মী যদি মুখ খুলত তবে তুমিই হতে তাদের স্তুতি কাব্যের বিষয়বস্তু। যদি তাদের জিজ্ঞেস করা হত- সর্বোত্তম মানুষ কে? তারা অকপটে বলে দিত তিনি মুস্তফা মুখতার।”[আারবী পংক্তির গদ্যানুবাদ]
বিশ্বের আনাচে-কানাচের নবী প্রেমিক ভায়েরা, তাওহীদবাদী প্রিয় বন্ধুরা, আজ পৃথিবী যেন অন্ধকারাচ্ছন্ন। ইসলামের আকাশে নতুন করে কালো মেঘের ঘনঘটা। মুসলিম উম্মাহ ইতিহাসের কঠিনতম সময় অতিবাহিত করছে। নিপাত যাক! ধ্বংস হোক! অসভ্য, বর্বর, গণ্ডমূর্খ, কতগুলো তুলিজীবী-নরাধম। মিথ্যাচার ও বেয়াদবির সকল সীমা ছেড়ে গিয়েছে তারা। সীমা লংঘনের সকল স্তর পেরিয়ে গেছে শয়তানগুলো। যাতে প্রতিটি আত্মা কেঁপে উঠে। প্রতিটি হৃদয় থমকে দাড়ায়। বিদ্রুপাত্মক কার্টুন ছবি এঁকে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত, নবীদের সর্দার মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি শুরু করেছে। যিনি হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, বিশ্ব-রবের প্রেরিত-পুরুষ, অহীর বাহক, সৃষ্টিকুলের জন্য রহমত। “গালিবাজ নিজেই নিজের ইজ্জত খুয়েছে। তাওবা বিনা পুরস্কার তার জাহান্নাম।”[আরবী পংক্তির গদ্যানুবাদ] তারা কি আকাশ ও জমিনের রব আল্লাহর রাসূলের সাথে বিদ্রূপ করছে?! সৃষ্টিকূলের মধ্যমনিকে তিরস্কার করছে?! প্রেরিত এই রহমতকে উপহাস করছে?! হেয় করছে প্রাপ্ত এই নেয়ামতকে?! “নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তার রাসূলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কষ্ট দেয় দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের উপর আল্লাহর লানত। আর আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অপমানজনক শাস্তি।”[সূরা আহযাব, আয়াত: ৫৭] তাদের কদাচার ও কপটতাকে আকৃতি দেয়া হলে তাদের অন্তরে এর জায়গা হত না। তাদের এ অপকর্মে আজ গোটা বিশ্ব ক্রোধে ফেটে পড়ছে। তাদেরকে ধিক্কার জানাচ্ছে। কিন্তু তারা উপুর্যপরি অপকর্ম করেই যাচ্ছে। উপরন্তু তারা পরিতৃপ্তিতে প্রীত। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলার ঘোষনা হচ্ছে, “আর যারা আল্লাহর রাসূল কষ্ট দেয় তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।”[সূরা আহযাব, আয়াত: ৫৭] “নিশ্চয় আপনার শত্রু নির্বংশ” [সূরা কাউছার, আয়াত: ৩] আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। কিভাবে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারি, বিজয় ও মুক্তির আশা করতে পারি, যদি না আমরা মুহাম্মদ মুস্তফার সাহায্যে ঝাঁপিয়ে না পড়ি? হায়! কত বড় মিথ্যাচার!! কত বড় অপরাধ!! কিন্তু কোথায় আজ আর্ন্তজাতিক নীতি-মালা, জাতি সংঘ সনদ? কোথায় আজ আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সংস্থা, এসোসিয়েশন? কোথায় আজ বিশ্ব বিবেক, নীতিবান মানবতাবাদীরা? কোথায় আজ আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সনদ, সন্ধি-চুক্তি?
লক্ষ-কোটি জনতার মুসলিম উম্মাহ, এ সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রিয় নবীজির জন্য তুমি কি করেছ? কি দায়িত্ব ছিলো তোমার? “কিছু ক্লেদাক্ত মননের অধিকারী অনাচারী বিভিন্নভাবে বার বার আমাদেরকে উত্ত্যক্ত করছে। কিন্তু আমাদের কষ্টকে আরো বাড়িয়ে দেয় মিলিয়নাধিক উম্মাহর নিস্তেজতা ও স্থবিরতা, যা আত্মহত্যাসম।”[আরবী পংক্তির বঙ্গানুবাদ]
বিশ্ব নেতৃত্ব, আজ মুসলিম বিশ্বের ছোট-বড় প্রতিটি দেশ, প্রতিটি অঞ্চল, প্রতিটি মুসলমান এ ঘৃণ্য অপরাধের কঠোর নিন্দা জানাচ্ছে। শত ধিক দিচ্ছে সেসব নর-কীটদের যারা আসমানী-বার্তা বাহক, আল্লাহ-প্রেরিত রাসূলকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। সাথে সাথে বিশ্ব মুসলিমের ক্বিবলা, প্রিয় নবীজির জন্মভূমি এবং ইসলামের আগমনস্থল পবিত্র ক্বা‘বা শরীফের মিম্বার থেকে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর পক্ষ হয়ে ঐসব বিদ্রূপকারী ও তাদের দোসর এবং সেসব ছবির পূণঃমুদ্রণকারীদের কঠোরতম শাস্তির জোর দাবী জানাচ্ছি। তাদের ক্ষেত্রে আর্ন্তজাতিক সকল নীতি-মালা ও সন্ধিচুক্তির সিদ্ধান্ত পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। যেন সর্বকালে সর্বস্থানে আসমানী দ্বীনসমূহ ও রাসূলদের মর্যাদা সমুন্নত থাকে এবং আল্লাহ, নবী-রাসূল ও আসমানী শরীয়ত অবজ্ঞাকারীদের উপযুক্ত শান্তি দেয়া যায়। পত্র-পত্রিকা, প্রচার মিডিয়ায় যে সকল ছবি ছাপানো হয়েছে তা দিয়ে যদি অন্য কোন ব্যক্তিকেও উদ্দেশ্য করা হত তবে তাঁর ভক্তরা রক্তের সাগর ভাসিয়ে দিত এবং তাদের তা করা যৌক্তিক হত। তবে সর্বোত্তম মানব, সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল, আল্লাহর কাছে সর্বসম্মানিত, সবচেয়ে প্রিয় মুহাম্মদ মুস্তফার জন্য আমাদের কি অনুভূতি হতে পারে!! (তাঁর উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বোত্তম শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক।) ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন: “কোন সন্দেহ নাই যে ব্যক্তি রাসূলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গালি দেবে সে মুসলমানদেরকে কষ্ট দেবে, ক্রূদ্ধ করবে। যা মুসলমানদের (কোন এক ব্যক্তিকে হত্যা করা বা কোন একজনের সম্পদ আত্মসাতের চেয়ে বেশী ক্রোধ উদ্দীপক। কারণ এ ধরনের ক্রোধ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালবাসা নিঃসৃত।” তিনি আরো বলেন: “মুসলমানরা যদি রাসূলকে গালি-গালাজকারী থেকে প্রতিশোধ নিতে না পারে তবে আল্লাহ নিজেই তাঁর রাসূলের জন্য প্রতিশোধ নিবেন, তাকে সমূলে নির্মূল করবেন। এটাই আল্লাহর চিরায়ত বিধান।” মুসলিম উম্মাহ ও সারা বিশ্ব জেনে রাখুক, আল্লাহ অচিরেই তাঁর রাসূলের জন্য প্রতিশোধ নিবেন। “তারা তাঁকে সাহায্য না করলেও আল্লাহ তাঁকে সাহায্য করেছেন।”[সূরা তাওবা আয়াত: ৪০] “বিদ্রূপকারীদের বিদ্রূপ থেকে আমরাই আপনাকে হেফাজত করেছি।”[সূরা আল-হিজর, আয়াত: ৯৫]
বিশ্ব বিবেক, বাক-স্বাধীনতা কাকে বলে! এর নীতিমালাই বা কী! তোমরা কি মনে করো আমরা তা ভুলে গেছি? তবে তোমরাই বল: আসমানী রাসূলগণের মর্যাদা রক্ষা সংক্রান্ত আইন কী (তোমাদের ধারনায়) আমরা জানি না। শুধু ইসলাম ও মুসলমানদের সম্মানহানি এবং তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার সময়ই কি বাকস্বাধীনতার দোহাই লাগে? এ ধরনের আচরণ নিঃসন্দেহে একপেশে এবং শত্রুতা ও বিদ্বেষের উদ্রেককারী। কি আশ্চর্য! দুনিয়ার কোন রাষ্ট্রপ্রধানকে টিপ্পনী কাটলে তোমরা সবাই আর্ন্তজাতিক সব আইনে শাস্তি দেয়ার জন্য উঠে-পড়ে লাগ। কোথায় আজ আন্তর্জাতিক নীতিমালা? কোথায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সমূহ? আর কোথায় বা গেলো বিশ্ব বিবেক? ভাল চাইলে, ন্যায় ও সাম্য কায়েম করুন। ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করূন। অন্যায়, অবিচার, বিভেদ পরিহার করুন। বিবেকবান মাত্রই উপলব্ধি করতে পারে যে এ জাতীয় নৈতিকতা বিরোধী কর্মকাণ্ড যা দেড়শ কোটিরও বেশী মুসলমানদের অনুভূতিকে আহত করেছে। যা পরমত সহিষ্ণুতা, বিভিন্ন ধর্মের সহাবস্থান, বিভিন্ন সভ্যতার মাঝে গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনা এবং বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবীকে নিঃসন্দেহে বাধা গ্রস্থ করবে। তাই আপনারা যদি সত্যিই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক হয়ে থাকেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দাবিদার হয়ে থাকেন তবে আন্তর্জাতিক নীতি-মালা ও মানবাধিকার বিষয়ক আইন-কানুন বাস্তবায়ন করুন। যারা আল্লাহ, তাঁর রাসূলগণ ও মুসলমানদের কাছে পরম সম্মানীয় এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের কাছেও মাননীয় ধর্মীয় বিষয় সমূহকে হেয় করে এবং তাদের সম্মানহানির দুঃসাহস করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। মানবতার সাথে ন্যায় সঙ্গত ও মানবিক আচরণ করুন। অন্যায় এবং একচোখা নীতি ত্যাগ করুন। তবেই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে নিরাপদ থাকবেন। আর মনে রাখবেন- মুসলমানদের প্রাণের এ দাবীকে যারা অবজ্ঞা করে সেসব বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তাদের ধর্মীয় ও মানবিক আমানতের খেয়ানত করেছেন। তারা ইসলামের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। আল্লাহর রাসূলেরও কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন: “অবশ্যই আমি এবং আমার রাসূলগণ বিজয়ী হব।” [সূরা মুজাদালা, আয়াত: ২১] এ ঘটনার দ্বারা এ বিষয়ও আজ সবার কাছে স্পষ্ট যে, কারা সন্ত্রাসবাদের উস্কানি দেয়। কারা বর্ণবাদ, উগ্রবাদ এবং জাতিগত দ্বন্ধের হোতা। কারা সভ্যতার সংঘর্ষকে অনিবার্য করে তোলে।
হে নবী প্রেমিক মুসলিম উম্মাহ,
রাসূলুল্লাহর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ সারা মুসলিম বিশ্বে একই আওয়াজ উঠেছে: “শুধুই তুমি হে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)”। জেগে উঠেছে ঝিমিয়ে পড়া মুসলিম বিবেক। আপামর মুসলিম উম্মাহ সব ধরনের উপায়-উপকরণ নিয়ে রাসূলুল্লাহর সাহায্যে এগিয়ে আসছে। ‘‘দায়সারা গোছের দুঃখ প্রকাশ নয়, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই” এই শ্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে বিশ্বের মুসলিম অধ্যুষিত প্রতিটি জনপদ, মুখরিত হচ্ছে প্রতিটি রাজপথ। আর এ ধরণের ঐক্য বিশ্বের দরবারে মুসলমানদের রাজনৈতিক অবস্থানকে নিঃসন্দেহে আরো মজবুত করেছে। উম্মুল মু‘মিনীন হযরত আয়েশা (রা) কে যখন কিছু লোক সন্দেজনকভাবে অপবাদ দিলো তখন মুসলমানদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে আল্লাহ পাক বলেন: “তোমরা একে তোমাদের জন্য অশুভ মনে করোনা। বরং তা তোমাদের জন্য কল্যাণজনক।”[সূরা নূর, আয়াত: ১১] এর ষ্পষ্ট প্রমাণ বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বয়কট। বিশেষতঃ হারামাইন শরীফাইনের দেশ সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় কঠোর এবং কার্যকরী পদক্ষেপ অন্যান্য মুসলিম দেশের জন্য অনুসরণীয় হতে পারে। যে সকল মুসলমান এ উদ্যোগে সাড়া দিয়ে রাসূলুল্লাহর সাহায্যে এগিয়ে এসেছে আল্লাহ তাদের কাজে বরকত দান করুন। আর যারা নবীজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভালোবাসার উপর নিজের স্ত্রী-সন্তান ও স্বীয় স্বার্থকে প্রধান্য দিয়েছে তাদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা। সাবধান, রাসূলের পক্ষের আন্দোলনে সাড়া না দেয়ায় যদি ইলাহী কুদরাত এ সকল ব্যক্তির হাত অবস করে ‎দেন, জবান বন্ধ করে দেন, কলমের স্খলন ঘটান, প্রচার মিডিয়ার কালি শুকিয়ে দেন, তবে এদের কি করার থাকবে?।
মুসলিম ভাইয়েরা, জেনে রাখুন, বিবেকবর্জিত আবেগ সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। অগ্রসর হতে হবে ধীর-স্থীরভাবে ও সুচিন্তিত উপায়ে। কারণ আবেগ তাড়িত হয়ে কোন জান মালের ক্ষতি করা মানে আমাদের এ যৌক্তিক আন্দোলনের মূখে চুনকালি মাখানো। যেহেতু শত্রুরা হরহামেশা বলে বেড়ায় আমরা মুসলমানরা অস্থির জাতি। আমাদের ধীর-সুস্থে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই। আল্লাহর দোহাই- আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। আল্লাহর দোহাই- আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। উচ্ছৃংখল সব চিন্তা বাদ দিন। অলীক স্বপ্নে বিভোর হবেন না। অহেতুক মোবাইল মেসেজ পাঠাবেন না। রাসূলের সম্মান রক্ষার এ আন্দোলনের ভিত্তি হবে সঠিক আকীদা-বিশ্বাস, হেকমতপূর্ণ পন্থায়, ইতিবাচক উপায়ে এবং সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। তাৎক্ষণিক কোন হাঙ্গামা কখনো কল্যাণ বয়ে আনে না। বিবেক ও হৃদয় নিঃসৃত ভালোবাসা দিয়েই রাসূলল্লাহকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহায্যের এ আন্দোলনে সামনে আগাতে হবে। “আমার জিহ্বা কথা বলছে, আর অশ্রু তার নীরব বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের ইস্যুতে মানুষ অশ্রু বণ্যায় ভেসে যায়। আমরা জানি আমাদের নবীর মর্যাদা সর্বশীর্ষে, আর তাঁর শত্রুরা অপদস্ত, লাঞ্ছিত। কিন্তু হাবীবের পক্ষ থেকে মাহবুবের জন্য অশ্রু বিসর্জন সম্মান ও গৌরবের বিষয়।”[আরবী পংক্তির বঙ্গানুবাদ] ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। আমাদের এ বুলি আওড়ানো কোন শোক বা নৈরাশ্যসূচক নয় বরং দৃঢ় মনোবল নিয়ে নবীপ্রেমে সিক্ত হৃদয়ের সুন্নাত অনুসরণমাত্র। আর আল্লাহ তা‘আলার কাছেই সকল অভিযোগ।
আল্লাহর বান্দারা, আল্লাহকে ভয় করো। তাঁর আনুগত্য কর, তাঁর নিকট তওবা কর এবং ক্ষমা প্রার্থনা কর। তাঁর প্রিয় হাবীবের পক্ষ হয়ে লড়াই কর। তাঁর সম্মান সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন কর।
প্রিয় ভায়েরা, আল্লাহর রাসূলের সাথে চলমান দুর্ব্যবহার দমনে মুসলিম উম্মাহ যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা যদি ফরজ না হত তবে আল্লাহ কেন তাঁর রাসূলের অনুসরণ, তাঁকে ভালোবাসা, তাঁকে সাহায্য করা ও সম্মান করা এবং প্রতিটি নিন্দুক ও শত্রু থেকে তাঁকে রক্ষা করা উম্মতের উপর ফরজ করেছেন?! হ্যাঁ... এ কথা সত্য আল্লাহ তাঁর হাবীবকে হেফাজত করার জন্য কোন মাখলুকের মুখাপেক্ষী নন। কিন্তু তিনি জানতে চান কারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে।
রাসূলের অনুসারীরা, আল্লাহ আপনাদের হেফাজত করুন। জেনে রাখুন, বিশৃঙ্খল কিছু দাবী-দাওয়া, আর বিক্ষিপ্ত, অনিয়ন্ত্রিত কিছু আবেগ-উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করাই আল্লাহর রাসূলের সাহায্য নয়। কক্ষনো নয়! আমরা যদি মন্দের প্রতিবাদ তাঁর প্রদর্শিত পন্থায় না করলাম এবং সঠিক পথ না চিনলাম তবে এ আন্দোলনে কাতারবদ্ধ হওয়ার কি অর্থ? জেনে রাখুন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাহায্য করার প্রকৃত প্রকাশ ঘটে তাঁর প্রদর্শিত জীবন বিধান ও সুন্নতের অনুসরণে, তাঁর বিরুদ্ধাচারণ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে।
মুসলিম বিশ্বের শাসকর্বগ, আপনাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান, আন্তরিকতার সাথে নিজেদের নবীর সাহায্যে এগিয়ে আসুন। এই ন্যাক্কারজনক ঘৃণ্য পাপাচারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ঘোষণার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নিন। এ জন্য আপনাদের সকল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগান। আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নতকে বিচার ও শাসনের মানদণ্ড হিসেবে মেনে নিন। রাসূলকে যারা ভালবাসে তাদেরকে প্রসন্নচিত্তে, হৃদ্যতা ও আন্তরিকতার চোখে দেখুন। কারন তিনিই হলেন ভালবাসা ও শত্রুতার মূল-সূত্র। তাঁর পথ অনুসরণ ব্যতীত কোন জাতি কখনই সঠিক পথ পাবে না। হোক না তাদের জীবন দর্শন যতই না অভিনব আর চিত্তাকর্ষক। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিবেকবান সকল কর্তাব্যক্তিকে সুদৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিন -এ ধরনের সীমালঘংন ও স্পর্ধার বিরুদ্ধে উচিত পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।
হে ওলামায়ে কেরাম, দায়ী ইলাল্লাহ, ছাত্র-সমাজ, আল্লাহর রাসূলের বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করুন। বিশ্বব্যপী তাঁর সুন্নাহ ছড়িয়ে দিন। বক্তৃতা, আলোচনা ও সেমিনারের মাধ্যমে রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মহান জীবন-চরিত বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিন। উম্মাহকে তাঁর সঠিক অনুসরণ ও প্রকৃত ভালবাসার দিক-নির্দেশনা দিন।
স্যাটেলাইট চ্যানেলের অধিকর্তা, কলামিস্ট, বুদ্ধিজীবি ও সাংবাদিকসমাজ, এ সুযোগকে কাজে লাগান। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুমহান জীবনী-গ্রন্থ রচনা করুন অথবা অনুবাদে আত্মনিয়োগ করুন। এক গোলার্ধ থেকে অন্য গোলার্ধে রাসূলের সিরাত ছড়িয়ে দিন। বিশ্বকে জানিয়ে দিন-তিনি ইসলামের রাসূল, তিনি শান্তির দূত। রাজাধিরাজ মহাজ্ঞানীর পক্ষ থেকে অহীর বাহক। আমার পিতা-মাতা তাঁর জন্য উৎসর্গ হোক। সম্মান ও মর্যাদায় তিনি মিথুন তারকাকে ও ছাড়িয়ে গেছেন। প্রশংসা ও স্তুতিতে তিনি আকাশের নক্ষত্রের উর্ধে। বই-পুস্তক, পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন, রেডিও, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট চ্যানেল ইত্যাদি প্রচার মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিত্বের মাহাত্ম্য ও তাঁর রিসালাতের বড়ত্ব তুলে ধরুন। কম হোক আর বেশী হোক যার যা সামর্থ্য আছে তা নিয়ে দ্বীনের সৌন্দর্য্য বর্ণনায় আত্ম নিয়োগ করুন। বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিন, ইতিহাসকে দেখিয়ে দিন- রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জীবন-চরিত ঝলমলে সূর্যের চেয়ে ও প্রদীপ্ত। আকাশের নীলিমার চেয়েও সুমহান। আমাদের আকাক্সক্ষা. আল্লাহ তাআলা আমাদের চক্ষুকে শীতল করবেন, আমাদের আত্মাকে প্রশান্ত করবেন-মুসলমানদেরকে আর্ন্তজাতিক মানের কিছু ইসলামী স্যাটেলাইট চ্যানেল চালু ৃকরার তাওফিক দেবেন। যে মিডিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় আমাদের দ্বীনকে তুলে ধরা যাবে। বিশ্বকে বলা যাবে ‘এটা আমদের মহান দ্বীন। ইনি আমাদের মহানুভব নবী। যিনি সুমহান চরিত্রের অধিকারী।” এ জন্য প্রয়োজন হাতখোলা ব্যক্তির উচ্চকাক্সক্ষী হিম্মত।
হে সম্পদশালীরা, আল্লাহর দেয়া সম্পদ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূলের সাহায্যে ব্যয় করুন। সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের সাথে বিদ্রূপকারীদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার জন্য খরচ করুন।
মুসলিম বোনেরা, পর্দা, লজ্জাশীলতা, সম্ভ্রম রক্ষার মাধ্যমে আপনাদের নবীকে ও নবীর সুন্নাহকে সাহায্য করুন। খোলামেলা চলা, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকুন। বেগানা পুরুষের সাথে মেলামেশা থেকে দূরে থাকুন। পাশ্চাত্যের কুটজালে পা দিবেন না। রাসূলের ভালবাসা ও তাঁর আনুগত্যের উপর নব প্রজন্মকে গড়ে তুলুন। রাসূলের সিরাত ও আদর্শ শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে তাদের আত্মার খোরাক দিন।
--------------------
২০০৬ সালে শাইখ আব্দুর রহমান সুদাইস কর্তৃক প্রদত্ত খোতবার অনুবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৩২
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×