somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অকথ্য দিনলিপি

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রাস্তায় বেরিয়েছি। হাটতে হাটতে সামনে একটা বিড়ালের বাচ্চা দেখে দাড়ালাম। হলে প্রচুর বিড়াল ঘুরতেছে ইদানিং, এইটা কোন বিড়ালের বাচ্চা বোঝা গেলো না। সুযোগ পেয়ে পুষিটাকে হালকা হাতিয়ে দিতেই বিড়ালের বাচ্চা বলে উঠলো "অসভ্য, ইতর, ছোটলোক"। কি অদ্ভুত? তুই শালা বিড়ালের বাচ্চা মানুষের মতো কথা বলবি ক্যানো? আমি তো রেগে যাচ্ছি শালা বিড়ালের বাচ্চা, বিড়াল বললো "মিউ"। আমি বললাম, না, ঠিক আছে, বুঝলাম। কিন্তু তারপরও, তুই শালা মানুষের মতো কথা বলবি ক্যানো? বিড়াল বললো "মিউ মিউ মিউ"। এতোক্ষনে খেয়াল হলো আমার হাত ভিজা, পুষি বেড়াল থেকে লেগেছে। এই ভেজা বেড়ালকে ঘাটিয়ে লাভ নেই, কথা বের করা যাবে না। বিড়ালও সমর্থন দিলো মিউ মিউ করে।
আমি হাটতে লাগলাম, একটা খালি রিকশা দেখে উঠে পড়তে হবে। এই রিকশা যাবা? রিকশা বললো "জ্বে না, যামু না"। আমি তো আবার রেগে যাচ্ছি, আমি জিজ্ঞেস করলাম তোর ডেরাইভারকে, তুই শালা উত্তর দিবি কেনো? কি অদ্ভুত! রিকশায়ালা বললো "সরি ভাই, বিয়াদব রিশকা, আপ্নে কইষা একটা লাত্থি মারেন ওর পাছায়।"
আমিও একটা লাত্থি মেরে দিলাম। ভালো লাগছে না, আরেকটা মারা দরকার। রিকশায়ালা বললো আরো একটা মারেন, কি সমস্যা! আমিও মেরে দিলাম। ভালো লাগছে এবার। রিকশায়ালাকে খুশি হয়ে বিশটাকা দিয়ে বললাম বউ-বাচ্চার জন্য শাড়ি-কাপর কিছু কিনে নিও।
রিকশায়ালা খুশি হয়ে কদমবুচি করলো।
-নাম কি তোমার রিকশায়ালা?
-জ্বে আমার নাম জনাব খান মুহাম্মদ এহসানুল কবীর।
-শালা ছোটলোক, চালাও রিকশা নাম রাখছো জমিদারের মতো। আবার জনাব লাগাইছো আগায়। শালা পাঁচ টাকা ফেরৎ দে। তোর নামের জন্য বকশিশ থেকে পাচ টাকা মাইনাস।
-মিউ মিউ মিউ...
-মিউ মিউ করিস ক্যান শূয়ার, ফেরত দে টাকা। দশটাকা দে, মিউ করলি ক্যানো?
-মিউ মিউ মিউ...
-আচ্ছা, টাকা দেয়া লাগবে না, এই পঞ্চাশ টাকা রাখ।
-জ্বে আচ্ছা।
কি অদ্ভুত! টাকা দিলে কথা বলে, শালা ভেজা বেড়াল। এর পাছায় লাত্থি মারা দরকার একটা। কিন্তু আমি দিনে দুইটার বেশি লাত্থি মারবো না ঠিক করেছি। কিন্তু এরে শাস্তি দেয়া দরকার। রিকশায় উঠে বসলাম, আজকে আর নামা যাবে না। বললাম, চালাইতে থাক, এইটা তোর শাস্তি।
আমি এখন রিকশায়। পৃথিবী যে গতিতে ঘুরছে, রিকশা তার উল্টা দিকে সমগতিতে ছুটছে। সবাই ভাবছে রিকশা দাড়িয়ে আছে আর একটা দামড়া ব্যাটা ঊঠে বসে আছে। কি বোকা সবাই। আমার হাসি পাচ্ছে, কিন্তু হাসা যাবে না। হাসলে সবাই বুঝে যাবে আমি ওদের সাথে মজা নিচ্ছি। রিকশাওয়ালা ঘামে ভিজে গেছে, ওকে ভেজা বেড়ালের মতো লাগছে। আমি বললাম জনাব খান মুহাম্মদ এহসানুল কবীর রিকশায়ালা, তুমি বিয়া করছো?
সে বললো মিউ মিউ মিউ
শালা বিড়ালের বাচ্চা।

*************************


চা খাবো বলে বেরোলাম, শালার ধুলা-বালি খাচ্ছি দাড়িয়ে দাড়িয়ে। সামনে দিয়ে এক ছ্যামড়া পা ঘষে ঘষে হাটতেছে, রাস্তার পিচ অর্ধেক তুলে ফেলছে শালা মাইন্দারের বাচ্চা। কষে একটা লাত্থি মারা দরকার কোমড়ে, কোমড় ভেঙে যাবে, ল্যাংচায়া ল্যাংচায়া হাটবে, কোন শব্দ হবে না। কিন্তু লাথি মারতে ইচ্ছা করতেছে না। কোথাও একটা বসা দরকার। টং এর মামারে বললাম চা দিয়া যাও, দোকানদারের পিচ্চি পোলা চা নিয়া আসলো। চোখে রোদ পড়ছে, তাকানো যাচ্ছে না। পিচ্চি পোলা হা করে তাকায় আছে। আমি তো রেগে যাচ্ছি এখন, হা করে কোন বাড়া দেখো শালা ছোটলোক। আমি একমুঠ শুকনা পাতা কুড়ায় ওর মুখের মধ্যে ঢুকায় দিলাম। ছেলেটা এখন ভ্যা ভ্যা করে কাদতেছে। ভালো লাগতেছে শুনতে। দোকনদার অলরেডি হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসছে কাহিনী কি দেখতে। এসে দাড়ায় আছে আমার সামনে। আমি দেখেও না দেখার ভান করে রবীন্দ্রনাথের মতো আয়েসী ভঙ্গীতে চুকচুক করে চা খাচ্ছি। দোকনদারের নাম আজগর, আজগর হাত-পা তুলে প্রতিবাদী ভঙ্গিতে কিছু একটা বলে যাচ্ছে তখন থেকে। আমি ওকে থামাইনি। আমি চাই সবাই তাদের বাকস্বাধীনতা উপভোগ করুক। শালার গায়ে রোদ আটকে গেছে, এখন আর চোখে পড়ছে না। খা শালা ভিটামিন ডি। তুই তো শালা ছোটলোক, মাছমাংস খেতে পারিস না, ভিটামিন ডি খা।
আজগরের বউকে দেখা যাচ্ছে না কয়েকদিন ধরে, শালী ডেইলী এসে বসে থাকে দোকানে। আমি চুকচুক করে চা খাই আর ওর বউ আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকায় থাকে। আমার ইচ্ছা হয় চায়ের কাপ ওর কপাল বরাবর মেরে মাথা ফাটায় দেই, কি বাড়া দেখো, সুন্দর পুরুষ দেখোনাই কখনো শালী?
আজগর এখনো প্রতিবাদ করে যাচ্ছে, ওর পোলা ভ্যা ভ্যা করে কাদতেছে।
-আজগর, তোমার বউ কই?
-আপ্নে ভাই এরম ক্যা! একটা কথাও তো আপ্নের কানে জায়না কহনো।
-তোমাকে কি আমি বলেছি তোমার বউ তোমার মত ভাদাইম্মা জামাই ডিজার্ভ করে না।
-জ্বে না, বলেন নাই।
-আমি কি তোমাকে বলেছি তোমার বউ আমার দিকে কুনজর দেয়!
-জ্বে না, এইডাও বলেন নাই।
-তোমার বউএর কি বাপ ভাই নাই?
-জ্বে না।
-তাইলে ঠিক আছে, এখন তুমি যাও। যাওয়ার আগে এক থেকে সাতাশি পর্যন্ত গুনতে থাকো। অবশ্য তুমি তো বাড়া পড়ালেখাও জানো না, শালা ছোটলোক।

কালকের ভেজা বিড়ালটাও কোন এক ফাকে চলে এসেছে। পায়ের সাথে ঘষাঘষি করতেছে। এইটা নিশ্চই আজগরের বউএর পুষি বিড়াল। স্বভাব-চরিত্র ভালো না। বিড়াল বললো মিউ। তোর বাপে মিউ শালা, তোর চৌদ্দগুষ্টি মিউ শালা বিড়ালের বাচ্চা বিড়াল। আজগর সাতান্নতে গিয়ে আটকে গেছে, তোতলাচ্ছে। ওর ছেলে আটান্ন বলে আবার ভ্যাভ্যা শুরু করছে। আমি আবার একমুঠ শুকনো পাতা তুলে ওর মুখে ঢুকিয়ে দিলাম, শালা ছোটলোকের বাচ্চা। আজগর বললো উনষাইট, ষাইট, একষোট্টি।
ভেজা বেড়াল বললো মিউ।

************************




খালি দেখে একটা অটোতে উঠে বসলাম, ভাবলাম একা একা বাজার যাবো লাটসাহেবের মতো। দুই পা ভাজ করে সুখাসনে বসে আছি। কোথা থেকে হঠাৎ মাইন্দার আজগর আর তার ভোদাই পোলা এসে হাজির। এসেই টুপ করে সামনের সিটে বসে গেলো। কি অদ্ভুত? তুই শালা ছোটলোক হেটে হেটে যাবি, গড়িয়ে গড়িয়ে যাবি, প্রয়োজনে ঘোড়ার মতো হামাগুড়ি দিয়া যাবি, তোর পোলা বসবে তোর পিঠে। পাছায় থাপ্পর দিয়ে বলবে চল ঘোড়া, হট হট হট। অটোতে উঠলি তুই কোন কোন সাহসে? আমি একটু একটু রেগে যাচ্ছিলাম। এই ছোটলোকদের সাথে যাওয়া যাবে না। নামতে যাচ্ছিলাম, সামনের আজগরের বউ দাড়িয়ে আছে। অশালীন ভঙ্গীতে পুরো অটোর দরজা আটকে দাড়িয়ে আছে শালী। আজগর হাসছে জানোয়ারের মতো, ওর নাজায়েজ পোলা নাকের মধ্যে আঙ্গুল ঢুকিয়ে বসে আছে। আমি তো রেগে যাচ্ছি শালা মাইন্দারের দল। রাগে আমার শরীরে কিড়বিড় করছে, কুট কুট করছে চুলের গোড়ায়।
আজগরের বেলেহাজ বউ আমার পাশে বসে আছে। একটু পর পর কুনুই দিয়ে আমার কোমল শরীর দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়ার কুচেষ্টা করছে। জানোয়ারের মত নিশ্বাস ফেলছে আমার আশেপাশে। আমি আমার লাঠি বের করে ওর উড়ুর উপরে আস্তে করে একটা মাইর দিতেই আজগরের বউ পাঙ্গাশ মাছের মতো কোৎ করে উঠলো।
আজগর বললো "এইটা আপ্নে কি করলেন ভাই? আমার বউডারে মারলেন ক্যা?"
-সে আমাকে মলেষ্টেশন করছে। শরীরে হাত দিয়ে জানোয়ারের মতো কোৎ কোৎ শব্দ করছে।

ছোটলোক আজগর আর তার পরিবার তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এই ছোটলোক দের নিয়ে আর ভাবা যাবে না। আমি এখন প্রকৃতি নিয়ে ভাববো। একটা কুকুর একটা পুষি বেড়ালকে তাড়া করতে করতে হাপিয়ে এখন বসে আছে। কুকুরটাকে দেখে আমার আজগরের ছেলেটার কথা মনে পড়লো। মায়া হলো খুব। আমি জিজ্ঞেস করলাম, "কি বন্ধু খুব কষ্ট হচ্ছে?"
কুকুর বললো, " বাড়া হচ্ছে।"
আমি তো রেগে যাচ্ছি, তুই শালা কুকুর মুখ খারাপ করবি ক্যানো? তুই তো আজগরের মতো ছোটলোক না! আরেকবার খারাপ কথা বললে ছেপ ছিটিয়ে দিবো তোর গায়ে শালা জানোয়ার।
কুকুর বললো "বাড়া করবে তুমি আমার।"

আমি হতাশ হয়ে বসে আছি। কুকুরটা পুষিটাকে পেয়ে মনের সুখে চাটাচাটি করছে। আজগরের বউ হাত-পা এবং সকল আঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে আমাকে মলেষ্ট করে যাচ্ছে। আজগর দাত বের করে বসে আছে, ওর দাঁতের ফাকে পুঁইশাক আটকে আছে। শালা নিশ্চয়ই ডাস্টবিন থেকে পরশুদিনকার বাসি পুঁইশাক চুরী করে খেয়ে ফেলেছে। শালা মাইন্দার। ওর ছেলে আঙ্গুলে ছেপ লাগিয়ে আবার নাকে ঢুকিয়ে দিলো।

আমি লাঠি ধরে বসে আছি। ডিফেন্সের জন্য একটু পর পর বারি দিচ্ছি আজগরের বউএর গায়। অটোওয়ালা আমাকে নামিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছিলো। আমি ডেকে বললাম, "ভাই অটোওয়ালা, তোমাকে আমি পুরো পাঁচ টাকা ভাড়া দিয়েছি। তুমি আমাকে মাঝপথে নামিয়ে দিতে পারো না। আমি তোমার নামে মামলা করবো।"
অটোওয়ালা বললো "বাড়া করবে তুমি আমার।"

************


নগ্ন শরীরের উপর চারটা স্যুয়েটার, সাড়ে চারটা প্যান্ট, একটা মাফলার-কানটুপি-মাংকিটুপি চাপিয়ে জানোয়ারের মতো ওৎ পেতে বসে আছি। মানুষজন বিক্ষিপ্তভাবে দাড়িয়ে আছে; দাড়িয়ে আছে মানে দাড়িয়েই আছে। একচুলও নড়ছে না কেউ। এদের বুকে লাত্থি মেরেও কাউকে নড়ানো যাবে না, সবাই দাড়িয়ে দাড়িয়ে জন্তু-জানোয়ারের মতো শীতনিন্দ্রায় চলে গেছে। হাত নাড়াচাড়া করলেই ছোটছোট ফাঁক-ফোকর দিয়ে নদীর স্রোতের মতো গলগল করে বাতাস ঢুকছে, আমি কেঁপে কেঁপে উঠছি আর চুকচুক করে চা খাচ্ছি। চা খেয়ে মুখ দিয়ে ধোয়া বের করছি, সবাই ভাবছে আমি একজন স্মোকার। কিন্তু আমি আসলে প্রতারনা করছি ওদের সাথে, এই ধোয়া শীতের সময় এম্নিতেই শরীরের সকল ছোট-বড় ছিদ্র দিয়ে বের হয়। মানুষগুলো এখনো আগের জায়গায় দাড়িয়ে আছে। পণ্খীরাজের মতো উড়তে উড়তে একটা রিকশা চলে যাচ্ছে। গলগল করে বাতাস ঢুকছে প্যান্টের নিচ থেকে, আমি আজগরের নাজায়েজ ছেলের জামার বুতুম খুলে হাত ঢুকিয়ে বসে আছি, গরম লাগছে। জানোয়ারটা ঠান্ডায় ক্যাঁক্যুঁ করছে, শুনতে ভালো লাগছে।

***************


ইদানিং স্যুটেড ব্যুটেড মনুষ্য প্রজাতি দেখলে আমার গায়ে কিরবির করে, রোম দাড়া হয়ে যায়, রক্তে বিদ্রোহ দৌড়াদৌড়ি করে। এরজন্যই কি ব্রিটিশ খেদিয়ে আমরা রবীন্দ্রজুব্বা ধরেছিলাম? কাচ্চাবাচ্চা পোলাপান স্যুট পড়ে ঘুরছে। ঘুরতেই পারে, কালো চামড়ার ইংরেজ এরা। আমি কিছু বলছি না। আমার গরম লাগছে, রক্তে বিদ্রোহ বাসা বাধছে তাও কিছু বলছি না। তুই তো শালা ছোটলোক, বাংলাদেশে থাকোস, স্যুটমারাবী কেনো? তাও আমি কিছু বলছি না, চুকচুক করে চা খেতে খেতে পাখি দেখার চেষ্টা করছি। নতুন পাখি দেখা যাচ্ছে রোজ, এই ঘুঘুপাখিটাকে তো আগে দেখি নাই! তুমি বাবা কই ছিলা এতোদিন! আসো ভাপা পিঠা খাই। পিছন থেকে বন্ধু সোলেমান ডাক দিলো। ডাকলাম শালা পাখিরে, তুই আসলি কেনো শালা মাইন্দার! পা থেকে মাথা অবধি দেখে নিয়ে আমি আবার চুকচুক করে চা খাওয়ার মন দিলাম। চেহারা বানাইছো খাটাশের মতো, নাম রাখছো আবার সুলতান সোলেমান, তোরে তো স্যান্ডেল খুলে খালি পায়ে দৌড়ানী দেওয়ানো উচিত। এই ছোটলোকের সাথে কথা বলা যাবে না, বললেও ছোট ছোট শব্দ বের করে কথা বলতে হবে, আহঃ উহঃ টাইপের। শালা মাইন্দার আবার হালকা শীত দেখে স্যুট পড়ছে, তুই তো শালা ছোটলোক, তুই থাকবি সেন্টু গেঞ্জি পড়ে, হালকা ভুরী দেখা যাবে, বুকে লোম দেখা যাবে, হালকা বোগদা বোগদা লাগবে দেখতে। ভালো লাগবে ব্যাপারটা। চুকচুক করে চা খেতে পারছি না, সোলেমান ডেকেই যাচ্ছে। বলছে ও বন্ধু, বন্ধুউউ... তুই বন্ধু, তোর বাপে বন্ধু শালা। বাকিটুকু চা ঢকঢক করে খেয়ে আঙ্গুল দিয়ে চিনি খুচায়া তুলে চেটে চেটে খাওয়ার নামে টেকনিকালি আঙুলে ছেপ লাগায় নিছি। শালার স্যুটে ছেপ মুছবো শালা মাইন্দার।

-কি সোলেমান বন্ধু, খুব স্যুট মারিয়ে বেড়াচ্ছো দেখছি। জামা প্যান্ট কি সব আজগরের বঊ নিয়া ভাইগা গেছে?
-আরেহ, কি যে বলো বন্ধু। এই ঘুরে টুরে বেড়াচ্ছি, হালকা শীত লাগছে, তাই আরকি।
-এতো বড় স্যুট ক্যানো বন্ধু? তোমার ভুরি-স্তন সব তো ফেটে চিড়ে বেরিয়ে আসছে। আর ছোট পাওনাই?
-বড় কই! ফিটিং। এখন ফিটিংই পড়ে বন্ধু।
-আসো কোলাকুলি করি, আহঃ সেই তুলতুলে শরীর বানিয়েছ দেখছি, টিপে মজা পাওয়া যাচ্ছে। (ছেপ ঘশে ঘশে লাগানোর ইমো)
-উহ, কিযে করো বন্ধু। হে হে, উহু

সোলেমান উহু উহু করছে, শালার পাছায় লাত্থি মারতে পারলে ভালো লাগতো। শালা ছোটলোক তুই উহু করবি ক্যানো। তুই একটা ছোট খাটো দামড়া, তুই করবি হাম্বা হাম্বা, তোর সুরসুরি থাকবে ক্যানো?

আজগরের বউ আজকে পুষি বেড়ালের বদলে কোথা থেকে একটা পাকিস্তানী কক মুরগী জোগাড় করে ওটাই হাতাচ্ছে বসে বসে। একটু পর পর কুনজর দিচ্ছে আমার দিকে, কু অঙ্গভঙ্গি করছে। আমি তো রেগে যাচ্ছি শালী। আমার কি সোলেমনকে গোল করে আজগরের বউএর কপাল বরাবর থ্রো করা উচিত! মাইন্দার সোলেমান হাসতেছে, ওর ভুরী কাঁপছে। আমি তো রেগে যাচ্ছি শালা পান্ডা কোথাকার।

আরেকটা নতুন ঘুঘু চিতল গাছের উপরে। কি অদ্ভুত, পাখি স্যাক্সি কন্ঠে গান গাইছে। তুই গান গাইবি ক্যানো, তুই ঘুঘু ঝিম মেরে বসে থাকবি।
ঘুঘু স্যাক্সি কন্ঠে বললো টিউ টিউ টিউ!!
তোর চৌদ্দগুষ্টি টিউ শালা শূয়ার।


****************


প্রচন্ড শীত বাইরে, লুঙ্গির ভিতরে দাউদাউ করে বাতাস প্রবেশ করতেছে কিন্তু বের হওয়ার জায়গা পাচ্ছে না। ফলে ভিতরে ঠান্ডা বাতাস ঘুরপাক খাচ্ছে। আমি ওদেরকে আটকে রেখেই লুঙ্গির উপরে আরেকটি পেন্ট পড়ে রাস্তায় বেড়িয়ে এসেছি। আমি এখন একটু মজা করবো। আমার সাথে সাথে হলের ভেজা বিড়ালটাও বের হয়ে এসেছে। ঠান্ডায় ক্যাঁক্যু করছে বিড়ালটা, আমি একমগ শীতল পানি ঢেলে দিয়েছে ওর উপরে। বিষে বিষক্ষয়, ঠান্ডায় ঠান্ডার নিরাময়। জানোয়ারটা এখন রাস্তায় ডিগবাজি খাচ্ছে, ডিগবাজি খেতে খেতে আবার সোজা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডিগবাজি খাওয়া দেখে আমার মাথা গরম যাচ্ছে। সাথে সাথেই ঠান্ডা বাতাস এসে ইকুইলিব্রিয়াম করে দিচ্ছে সব। আমিও তাই কন্সট্যান্ট।

একটি মেয়ে অনেকক্ষন থেকে দাড়িয়ে আছে রাস্তায়, আমি ওকে নজরে রেখেছি। কয়েকবার চোখাচোখি হতেই মেয়েটা সুরসুর করে আমার কাছে চলে এলো। এসে টুপ করে বসে পড়লো আমার পাশে। আমি তখন চুকচুক করে দুধচা খাচ্ছিলাম, আমার তো মেজাজ গেলো খিচড়ে। তুমি কি আমাকে খারাপ ছেলে ভেবেছো নাকি শূয়োর। আচ্ছা, আমি যদি এখন মেয়েটার হাত খপ করে ধরে বলি আমি তোমাকে বিয়ে করবো মেয়েটাকি মাইন্ড করবে? করার কথা না, এই মেয়ের চেহারা ছোটলোকের মতো, দেখে মনে হচ্ছে আজগরের বোন। আরেকটু ভালো ভাবে দেখবো বলে তাকাতেই মেয়েটা বললো, "আপনি কি মোসাদ্দেককে চিনেন?"
"কোন মোসাদ্দেক? মাইন্দার মোসাদ্দেক, মেয়ে দেখলেই জ্বিভ বের করে ফোঁসফোঁস করে যে?"
"বিবিএ থার্ড ইয়ার, এখানেই থাকে বললো।"

আমি কিচ্ছুক্ষণ গম্ভীর ভাবে মাথা নেড়ে বাকি চা টুকু চুকচুক করে খেয়ে নিয়ে কাপে একটু ছেপ ছিটিয়ে আজগরের ছেলের গায় ছুড়ে মেরে বললাম, "হু, খুবই ভালো ছেলে। সোনার টুকরা, বাইরে লেমিনেটিং করা। খুবই দড়দি, মনটা তুলোর মতো তুলতুলে। এই যে জানোয়ারটাকে দেখছো, আজগর, ছোটলোক একটা, ওর বাচ্চা হচ্ছিল না। মোসাদ্দেকই তো তখন ওর বউকে কত আদর যত্ন আর চিকিৎসা করে আজগর পরিবারের মুখে হাসি ফুটালো। আহাঃ সে কি আদর তোমাকে কি বলবো, ভাবলেই শিরশির করে উঠছে আমার মেরুদন্ড। জানোয়ারটা কি খেলই না দেখালো হিহিহি "। বলেই আঙুল দিয়ে আজগরের মাইন্দার ছেলেটাকে দেখালাম, শূয়োরটা আঙুলে ছেপ লাগিয়ে পেন্টের মধ্যে হাত ঢুকাচ্ছে আর বের করছে।

আমি উঠে গিয়ে আজগরের ছেলের পেন্টের মধ্যে চায়ের কাপটা ঢুকিয়ে দিয়ে বললাম, "ওই দেখ তোর আসল সৎমা। আরেকটা তো অসৎ, চরিত্রহীন, বেশ্যা।" মাইন্দারটা পেন্টে হাত ঢুকিয়ে চায়ের কাপ হাতাচ্ছে এখন। মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আমার লজ্জা লজ্জা লাগছে। শীতের চেয়েও লজ্জা বেশি লাগছে, মেয়েটা সম্ভবত আমার প্রেমে পড়ে গেছে।

আমি একমুঠ ধুলো নিয়ে দাড়িয়ে আছি, মেয়েটার চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাবো।

***************

-এ মাগী, আমি কি তোকে বলেছি, শাড়িতে তোকে শূকরের মতো লাগে?
আমার কথায় কোন রকম ভ্রুক্ষেপ না করে আজগরের বউ ওর নাজায়েজ ছেলের কান ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেলো। ছেলেটা ছ্যাচড়াতে ছ্যাচড়াতে যাচ্ছে, নাকে মুখে ধুলো ঢুকে যাচ্ছে, সেটা চেটেপুটে খেয়ে নিয়ে জানোয়ারের আবার হা করে কাঁদছে, "আম্মো, মেলায় যামু"। আমি তো হেসেই কুটিকুটি, তুই শালা ছোটলোকের বাচ্চা মেলায় ক্যানো যাবো! কি কমেডি, হা হা। তুই যাবি বস্তিতে, ঠোঙ্গা কুড়াবি, মেয়েদের পিছনে কুকুরের মতো ঘুরবি, ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে বলবি আফা দুইটা ট্যাকা দেন, সকাল থেকে কিছু খাই নাই। সে যাবে নাকি মেলাতে। হা হা, কিযে হাসি পাচ্ছে তা যদি তোমরা বুঝতে, হি হি হি। আমি উঠে গিয়ে হাতের তালুতে লাল-সবুজ কালি দিয়ে উল্টো করে "শোব একলা বৈশাখ" লিখে ঠাসিয়ে একটা চর লাগিয়ে দিলাম জানোয়ারটার গালে।
শূয়োরটা ঘোৎ ঘোৎ করে কাঁদছে, গালে বৈশাখ লাল হয়ে আছে। চকচক করছে। ওর নষ্টা মা শাড়ির আঁচল খুলে শূয়োরটার চোখ মোছাবার নাম করে আমার দিকে শারিরীক কু-ইঙ্গিত দিচ্ছে। আবহমান বাংলা ধরে আমি উঠে হাটতে লাগলাম।-এ মাগী, আমি কি তোকে বলেছি, শাড়িতে তোকে শূকরের মতো লাগে?
আমার কথায় কোন রকম ভ্রুক্ষেপ না করে আজগরের বউ ওর নাজায়েজ ছেলের কান ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেলো। ছেলেটা ছ্যাচড়াতে ছ্যাচড়াতে যাচ্ছে, নাকে মুখে ধুলো ঢুকে যাচ্ছে, সেটা চেটেপুটে খেয়ে নিয়ে জানোয়ারের আবার হা করে কাঁদছে, "আম্মো, মেলায় যামু"। আমি তো হেসেই কুটিকুটি, তুই শালা ছোটলোকের বাচ্চা মেলায় ক্যানো যাবো! কি কমেডি, হা হা। তুই যাবি বস্তিতে, ঠোঙ্গা কুড়াবি, মেয়েদের পিছনে কুকুরের মতো ঘুরবি, ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে বলবি আফা দুইটা ট্যাকা দেন, সকাল থেকে কিছু খাই নাই। সে যাবে নাকি মেলাতে। হা হা, কিযে হাসি পাচ্ছে তা যদি তোমরা বুঝতে, হি হি হি। আমি উঠে গিয়ে হাতের তালুতে লাল-সবুজ কালি দিয়ে উল্টো করে "শোব একলা বৈশাখ" লিখে ঠাসিয়ে একটা চর লাগিয়ে দিলাম জানোয়ারটার গালে।
শূয়োরটা ঘোৎ ঘোৎ করে কাঁদছে, গালে বৈশাখ লাল হয়ে আছে। চকচক করছে। ওর নষ্টা মা শাড়ির আঁচল খুলে শূয়োরটার চোখ মোছাবার নাম করে আমার দিকে শারিরীক কু-ইঙ্গিত দিচ্ছে। আবহমান বাংলা ধরে আমি উঠে হাটতে লাগলাম।



***************


রোড ডিভাইডারের ওপর বসে আছি, এক ফকিরের বাচ্চা আচমকা এসে আমার পায়ের কাছে গড়াগড়ি শুরু করে দিলো। আমি একটা লাত্থি মারলাম, সরলো না। আরেকটা মারলাম, নাহ, কাজ হলো না। আমার খুব মায়া লাগলো দেখে, বললাম বন্ধু ফকিরের বাচ্চা, তুমি গড়াগড়ি করছো ক্যানো? সে বললো, "ভাই, আমার অনেক বিপদ। বাড়ি থেকে আইসসা আমার টাকা চুরি হইয়া গেছে, এখন বাড়ি যাইতে পারতে আছি না। কয়ডা টাকা দেন, আমি একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের পোলা, মিথ্যা বলছি না।"
আমার খুব খারাপ লাগলো। বললাম বুকে আসো বন্ধু। বুকে টেনে নেয়ার নাটক করে আমি খুব সন্তর্পণে ওর পাছার উপরের পকেট আর বুকের পকেট হাতিয়ে দেখে নিলাম কোন টাকা আছে কি না। নেই। আমি জানি ছোটলোকদের এমন সমস্যা হয়। যদিও তার চেহারা মাইন্দারের মতো, কিন্তু সে বলেছে সে সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম তাকে আমি নিজ দায়িত্বে বাসায় পৌছে দেবো।

একটা খালি রিকশায় উঠে বসলাম, আর ফকিরটাকে ডান্ডির উপরে বসিয়ে বললাম, রিকশায়ালা, চালাও। রিকশার ডেরাইভারকে আমি চিনি। জনাব এহসান। এই ছোটলোকের বাচ্চার জমিদারদের মতো একটা বড় নাম আছে। একে আমি ভাড়া দেবো না, ভাড়া চাইতে এলে মুখে থুতু দেবো।

-জনাব রিকশাওয়ালা
-জ্বে ভাইজান?
-তোমার বউ ভালো আছে?
-জ্বে, যদিও স্যায় কিঞ্চিৎ অসুস্থ। লিটল সিক।

শালা ছোটলোক এংলিশ মারাচ্ছে। আমি তো রেগে যাচ্ছি শূয়ার। তুই ছোটলোক গেরাইম্মা ভাষায় কথা বলবি, কথা বলতে গিয়া তোতলাবি, দাতের ফাক দিয়া থুতু ছিটাবি, প্যাসেঞ্জারের মাইর খাবি। তুই ইংলিশ মারাবি কেনো জানোয়ার। একে শাস্তি দিতে হবে। বললাম, বন্ধু রিকশায়ালা, তুমি প্রথমে টেকনাফ যাবে। সেখান থেকে বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায় একবার করে ঘাট দিয়ে এক থেকে সাতানব্বই পর্যন্ত ঘুনবে এবং তেতুলিয়ায় গিয়ে থামবে। কিন্তু ভাড়া পাবে না। এরমধ্যে যদি এই সম্ভ্রান্ত ছেলে তার বাসা খুজে পায় তাইলে তোমার মাফ।

ফকিরের বাচ্চাটা আকুপাকু করছে, সে তার বাসা খুজে পায়নি। সে বলেছে সে সম্ভবত অন্য গ্রহ থেকে এসেছে। আমি প্রথমে ভাবলাম সে হয়তো মেসি, কিন্তু মেসি তো এতো কালা না। এই শালা তো নিগ্রোর মতো কালা, মাইন্দারের মতো দেখতে। আমি বললাম, "রিকশা আলা, তুমি তোমার রিকশার পিছনে আগুন জ্বালাইয়া দাও, আমরা এখন মহাকাশ ভ্রমন করবো।
রিকশা বললো আমার পাছার পিছনে লাগছেন কেনো?
আমি রেগে গেলাম, কিন্তু কিছু বললাম না। একটু পর পাছায় আগুন লাগাইলে বুঝবা বাড়া কেমন লাগে।

আমরা এখন প্ল্যানেট এক্সে। জনাব এহসান রিকশায়ালা জানোয়ারের মতো হাপাচ্ছে, অশ্লীল উহঃ আহঃ সাউন্ড করছে ব্যাথায়। সাউন্ড শুনে আজগরের বউ দৌড়ে এসেছে, সাথে সাথে তার দুশ্চরিত্র পুষি বেড়ালটাও চলে এসেছে। কি অদ্ভুত? এই গ্রহেও আজগরের বউ ক্যানো? রিকশায়ালা বললো চা খাবো।
-বাড়া খাওয়াবো তোমাকে আমি।
-খারাপ কথা বলেন ক্যানো? না খাওয়াইলে খাওয়াইবেন না, খারাপ কথা বলবেন ক্যানো?
-আমি কিন্তু তোমাকে মারবো এবার শালা ছোটলোক
-বাড়া করবেন

হতাশ হয়ে বসে আছি। কাকতালীয় ভাবে আমার সামনে একটা চায়ের দোকান। মাইন্দার আজগর লুঙ্গী তুলে কানের মধ্যে ঘ্যাষ ঘ্যাষ করে চুলকাচ্ছে। তার খোপ থেকে পাকিস্তানী কক মুরগী বেরিয়ে এসেছে, ঠোক ঠোক দানা কুড়িয়ে খাচ্ছে। আমার অস্বস্তি লাগছে, এ কোন ছোটলোকের দুনিয়ায় চলে আসলাম মাবুদ? আমি তো রেগে যাচ্ছি। ফকিরের বাচ্চাটা বসে আছে পাশে। সব দোষতো তোর শালা ফকিন্নির বাচ্চা, তোমাকেতো আমি মারবো শালা ছোটলোক, হাত পাত শালা মাইন্দার।
ফকিরের বাচ্চা হাত পাতলো।
আমি একদলা গরম থুতু ছিটিয়ে দিলাম ওর হাতে।
ভালো লাগছে।
মাইন্দার আজগর, এক কাপ ভিনগ্রোহী চা দিয়া যাওতো বাড়া।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×