somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার পরিচয়

সর্বংসহা

আমার পরিসংখ্যান

Tarit Chandra Shil
quote icon
আমার গল্পে কোন মিরাকেল নেই। সুন্দর সুখী সুখী রোমান্টিক দৃশ্যকল্প নেই। আমার গল্প ঘুম থেকে উঠে সারা পিঠে ব্যথা আবিষ্কার করার মতো, শুয়ারের বাচ্চা বলে গালি দেয়ার মতো বাস্তব। আমার গল্প স্বাভাবিক, চুল পড়ে ধীরে ধীরে টাক হয়ে যাওয়ার মতো রসহীন, ভুরী বেড়ে হঠাৎ বেখাপ্পা দেখতে লাগার মতো উদাস ধরনের। আসলে, আমার কোন গল্পই নেই। আমার জীবন বারান্দায় শোকাতে দেয়া গামছার মতো, কেউ হাত মুছে যায়, মুখ মুছে যায়। এখানে সেখানে হলুদের দাগ লেগে থাকে। কেউ নাক খুটে যায় এক কানা দিয়ে, কেউ আবার সেই কানা দিয়েই দাঁত খোঁচে। আমার কিছু যায় আসে না। আমি ঝুলে থাকি। খোঁড়াতে খোঁড়াতে পাঁচতলা ভেঙে নিচে নামি, সিঁড়ি হাতরে হাতরে আবার উপরে উঠি। কুকুর দেখে বুক ঢিবঢিব করলে বারবার রাস্তার পাশ বদলাই। আর গল্পে কোন নায়িকা নেই। আলগা প্রেম প্রেম ভাব নেই। আমার দিকে কোন মেয়ে কখনো তাকায় না। আমি প্রতিবন্ধীর মতো মেয়েদের শরীরের দিকে তাকিয়ে থাকি। মেয়েরা আমাকে গ্রাহ্য করে না। আমারো কিছু যায় আসে না। আমি থুতু ফেলি, বাতাসে সেই থুতু উড়ে এসে আমার প্যান্টেই লেগে যায়। আমার কিছু মনেই হয় না। আমার শরীর ঘেমে যায় একটু হাটলেই, জামা কাপড়ে দুর্গন্ধ। আমার গল্পে ঘাম আছে, দুর্গন্ধ আছে, শার্টের কলারে কাকের গু আছে। বোতাম ছিড়ে পরে গেছে কোথায় কে জানে, কোথাও কোথাও জামা তাই হা হয়ে আছে। লাল কালির দাগ লেগে আছে পাজাম। চেইনের আশেপাশে রঙ উঠে গেছে, আমার স্বপ্নদোষ হয়। অবশ্য স্বপ্নেও খুব বেশি দোষ আমি করি না, আমি স্বপ্নেও ভীতু, কাপুরুষ। আমার ঘুম ভাঙে, আমি গোসল করি না। আমার কিছু যায় আসে না। তীব্র উটকো গন্ধ আসে আমার শরীর দিয়ে, আমার সয়ে গেছে ওসব, আমার কিচ্ছু যায় আসে না। ঘ্যাষঘ্যাষ করে দাড়ি চুলকাই আমি, দাড়ি ছিড়ে উঠে আসে নখে। চুলে জট বেধে যায় আমার, আমি চিড়ুনী খুঁজে পাই না। আমার গল্পে আমি উদাসীনও না ঠিক, গল্পের নায়কদের থেকে এখানে একটা বিস্তর ফারাক রয়ে যায়। আমার ক্ষুধা পায়, আমি কাপড় পাল্টে পাল্টে পরি, আমার খুব চিন্তা হয় ভবিষ্যৎ নিয়ে। ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় আমি ঘুমোতে পারি না। ঘুমোতে না পারলে আমার অস্বস্তি হয়, আমার কান্না পায়। সারারাত আমার ভূতের ভয় করে। আমার মনে হয় খাটে নিচে কেউ বসে আছি। আমি তাই খাট থেকে নামি না। প্রচন্ড প্রস্রাবের চাপ নিয়ে আমি বসে থাকি, যতক্ষনে না ভোরের আলো ফোটে, যতক্ষনে না আমি সিওর হই ঘরে আদতে কোন ভূত নেই। প্রস্রাব চাপিয়ে রাখতে রাখতে আমার তলপেট ব্যথা করে। প্রস্রাবের রঙ হয় পাম ওয়েলের মতো। পিঠে প্রচন্ড ব্যথা করে। চোখ দিয়ে পানি পরতে থাকে অনবরত। আমার খুব ভয় হয়। খুব কান্না পায়। আমি গভীর ভাবে চিন্তিত হয়ে উঠি ভবিষ্যৎ নিয়ে। মোবাইলের এপ থেকে ডেইলিস্টারের সম্পাদকীয় পড়তে শুরু করি, প্রতি লাইনে লাইনে আমি আটকে যাই। ডিকশনারি দেখে অর্থ দেখতে গিয়ে হতাশ হয়ে যাই। আমার ঘুম পায়। অথচ দুশ্চিন্তাও হয়। হঠাৎ হঠাৎ আমার স্বমেহনের ইচ্ছা জাগে। আমার গল্পে গল্প বলতে কিছু নেই। আমার গল্পের ভোর গুলো মিষ্টি রোদ নিয়ে আসে না, আজরাইলের মত মৃত্যু নিয়ে আসে, কিন্তু আমি মরি না। চোখ জ্বালা করে, আমি সূর্য্যের মা ও বোনকে নিয়ে বিভিন্ন গালি দেই। আমার গল্পে ঘুম গুলো অদ্ভুত। আমি ঘুমে প্রেমে পরে যাই বন্ধুর স্ত্রীর। স্বপ্নে আমার হার্নিয়া হয়। আমার স্বপ্ন আমাকে ঘুমুতে দেয় না। আমার গল্পে কিছু নেই।
আমার সকল পোস্ট (ক্রমানুসারে)

আপনি কে বলছেন?

লিখেছেন Tarit Chandra Shil, ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

হঠাৎ করেই আমি একদিন লক্ষ্য করলাম, সবকিছু কেমন কেমন হয়ে গেছে। কলিংবেল বাজার সাথে সাথেই এখন আর ওপাশ থেকে দরজা খোলে না কেউ। আমি লক্ষ্য করলাম, প্রায় চারবার শব্দ হওয়ার পরে মিশু দরজাটা খুললো। আমি দেখলাম মিশুকে। মিশু কবে মাঝখান থেকে সিঁথি করা শুরু করলো? আমি জিজ্ঞেস করতে যাবো, মিশু... বাকিটুকু পড়ুন

০ টি মন্তব্য      ১৪ বার পঠিত     like!

যে সব চিঠি গন্তব্যে পৌছায় না কোনদিন

লিখেছেন Tarit Chandra Shil, ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৮

প্রিয় লি,

আমি পালিয়ে যাবো কোথায়? হাইজেনবার্গ তার দাম্পত্য জীবন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দৈবক্রমে অনিশ্চয়তা নীতি দিয়ে ফেলেছিলেন কিনা আমি জানি না, কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে তা কোয়ান্টাম ফিজিক্সে আটকে নেই। তুমি এখানেও নেই, ওখানেও নেই। তুমি কি আদৌ তবে ছিলে?

আমাদের জীবনে বৃহষ্পতিবারের প্রভাব সবার চেয়ে বেশি। বৃহষ্পতিবার আমার আনন্দের অতিশয্যে... বাকিটুকু পড়ুন

০ টি মন্তব্য      ৪ বার পঠিত     like!

ঊর্মিলার শরীরে বেলী ফুলের গন্ধ?

লিখেছেন Tarit Chandra Shil, ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১০

"তুমি ঠিক বুঝবে না মামুন। এই সম্পর্কগুলো এতো সহজ না। তোমার কাছে বেনামী ঠেকছে হয়তো। তবে বেনামী মানেই যে অবৈধ এমন তো কোন কথা নেই। আমি তোমার কাছ থেকে লুকিয়ে কিছুই করিনি। এবং, সম্পর্কের গভীরতা এমনও নয় যা বলতে গিয়ে আমার কন্ঠস্বর কাঁপবে।"

আমি কিছু বলতে পারছিলাম না। মিতু কখনো বলেনি... বাকিটুকু পড়ুন

০ টি মন্তব্য      ৫ বার পঠিত     like!

এসব দিনগুলো থেমে যাচ্ছে সন্ধ্যার অন্ধকারে

লিখেছেন Tarit Chandra Shil, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৫

এখন কিছু মনে পড়ে না তেমন। কেমন চেহারার ধাচ ছিলো, কেমন মুখের গড়ন। ঠিক কেমন করে হাসতো, একটু কেমন মনে পড়ে যায়, একটা খিলখিল শব্দ অনুভব করি আসেপাশে। এরপর আবার সব কেমন নাই হয়ে যায়। চেহারার ছাঁচটা মনে করতে পারি না।

ইদানিং সন্ধ্যাটা কেমন বিষন্ন লাগে। আমার কোন তাড়া নেই।... বাকিটুকু পড়ুন

০ টি মন্তব্য      ৫ বার পঠিত     like!

ফুলেল প্রত্যাবর্তন

লিখেছেন Tarit Chandra Shil, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

হাইড্রেঞ্জিয়া আমার খুব প্রিয় একটা ফুল। স্বচোক্ষে দেখার আগ থেকেই আমি খুব পছন্দ করি এই ফুলটা। প্রথমবার দেখি আমি উমিয়াম লেকের পাশে, রাস্তাঘেষা এক রেষ্টরেন্টের পাশে। একটা সিগারেট ধরিয়ে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে গিয়ে দেখলাম খুব অযত্নে বেড়ে ওঠা গাছটা৷ আমি একবার খুব প্রিয় একজন মানুষকে নীল জ্যাকার‍্যান্ডা গাছ দেখিয়ে... বাকিটুকু পড়ুন

০ টি মন্তব্য      ৭ বার পঠিত     like!

অকথ্য দিনলিপি

লিখেছেন Tarit Chandra Shil, ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩


রাস্তায় বেরিয়েছি। হাটতে হাটতে সামনে একটা বিড়ালের বাচ্চা দেখে দাড়ালাম। হলে প্রচুর বিড়াল ঘুরতেছে ইদানিং, এইটা কোন বিড়ালের বাচ্চা বোঝা গেলো না। সুযোগ পেয়ে পুষিটাকে হালকা হাতিয়ে দিতেই বিড়ালের বাচ্চা বলে উঠলো "অসভ্য, ইতর, ছোটলোক"। কি অদ্ভুত? তুই শালা বিড়ালের বাচ্চা মানুষের মতো কথা বলবি ক্যানো? আমি তো রেগে যাচ্ছি... বাকিটুকু পড়ুন

০ টি মন্তব্য      ২০ বার পঠিত     like!

নিখোঁজ ব্যাটারী

লিখেছেন Tarit Chandra Shil, ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

রাহাত প্রায়ই একটা স্বপ্ন দেখে, একটা ব্যাটারি সে খুঁজে পাচ্ছে না কোথাও। একটা পেন্সিল ব্যাটারি। কিসের ব্যাটারি, ক্যানো সে ব্যাটারি খুজবে স্বপ্নে! স্বপ্নে নিজের ছোট ছোট পাগুলো সে অনুভব করতে পারে। কত ছোট সে তখন? কত ছোট বেলা ছিলো সেটা যে একটা ব্যাটারি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা এতো গভীরভাবে দাগ কেটে... বাকিটুকু পড়ুন

২ টি মন্তব্য      ৫২ বার পঠিত     like!

গত বসন্ত (২)

লিখেছেন Tarit Chandra Shil, ১২ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

ব্রহ্মতালুতে বার কয়েক মৃদু চাপর দিয়ে এক রকম দৌড়েই পাশের ঘরে চলে গেলো সবিতা, অনিমেষের বউ। খেতে বসে কথা বলার স্বভাব অনিমেষের কখনোই ছিলো না। বরাবরই এমন গুরুগম্ভীর লোকটা খাওয়ার সময় সাধারণত নির্বাকই থাকে। এই পরিবারে খাবার টেবিলে কখনো আড্ডা, হাসি ঠাট্টা হয় না। বিয়ের পর থেকেই এ বাড়িতে এই... বাকিটুকু পড়ুন

২ টি মন্তব্য      ৭৫ বার পঠিত     like!

গত বসন্ত

লিখেছেন Tarit Chandra Shil, ১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

চোখ বন্ধ করে লোকটা বিড়বিড় করে বলে উঠলো, আপনি কত ছোট বেলার কথা মনে করতে পারেন? প্রতিদিন অফিস থেকে বেড়িয়ে জয়িতা পার্কে একবার চক্কর মারে। তারপর এসে বসে শেষ মাথার এই বেঞ্চটাতে। সচারচর এই দিকটায় কেউ আসে না। সন্ধ্যার দিকে হয়তো কোন যুগল এখানে আসে, বর্তমানের কথা বলে, ভবিষ্যতের স্বপ্ন... বাকিটুকু পড়ুন

৬ টি মন্তব্য      ৬৫ বার পঠিত     like!
আরো পোস্ট লোড করুন
ব্লগটি ২৫৩ বার দেখা হয়েছে

আমার পোস্টে সাম্প্রতিক মন্তব্য

আমার করা সাম্প্রতিক মন্তব্য

আমার প্রিয় পোস্ট

আমার পোস্ট আর্কাইভ