থার্ড জেন্ডার (হিজড়া) দের পক্ষে , ট্রান্সজেন্ডার প্রবনতাকে উৎসাহিত করার বিপক্ষে এবং সমকামিতার বিপক্ষে আমার অবস্থান। কারণঃ
থার্ড জেন্ডার অর্থাৎ হিজড়া যিনি জন্মের সময় শারীরিকভাবে নারী বা পুরুষ কোন বৈশিষ্ট্যই পুরোপুরি পাননি কিংবা উভয় বৈশিষ্ট্যই কিছু কিছু পেয়েছেন। সুতরাং এটা প্রাকৃতিক। তাদেরকে অস্বীকার করার আমরা কে?
যাই হোক উন্নত দেশে জন্মের সময় যারা হিজড়া হয়ে জন্মগ্রহণ করে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পর হরমোনাল প্রায়োরিটি অনুযায়ী তাদেরকে ছেলে বা মেয়েতে রূপান্তর করা হয় যাতে পরবর্তীতে তারা হিজড়া না থাকেন। এটা কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার নয়।আমাদের থার্ড জেন্ডার শিশুদের নাকি হিজড়াদের হাতে তুলে দেয়া হয়! এটা সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলছে।
ভুল বোঝাবুঝি অবসানের জন্য বইয়ের থার্ড জেন্ডার বিষয়ক গল্পটি আরেকটু ক্লিয়ার করা উচিত।
ট্রান্সজেন্ডার এবং সমকামিতাঃ যারা পূর্নাঙ্গ পুরুষ নারী হয়ে জন্মান কিন্তু একটা সময় তিনি মনে করেন আসলে তিনি বিপরীত লিঙ্গের। স্বভাবতই তখন তিনি পুরুষ হয়েও পুরুষ কিংবা নারী হয়েও নারীর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন। এই অবস্থায় যারা জেন্ডার চেঞ্জ না করে সমলিঙ্গের কারো সাথে বসবাস করেন তারা সমকামী আর যারা জেন্ডার চেঞ্জ করেন তারা ট্রান্সজেন্ডার।
হরমোনাল ইমব্যালান্স এবং শারীরিক ত্রুটি ছাড়া অর্থাৎ শারীরিকভাবে সুস্থ মানুষ যখন কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই কিন্তু কোন বিষয়ে কল্পনা করেন এবং কল্পিত বিষয়কে ঠিক মনে করে তার আচরণেও সেটা প্রতিফলিত হয় তখন সেটা মানসিক সমস্যা। সে অনুযায়ী ট্রান্সজেন্ডার প্রবনতা এবং সমকামিতা একটি মানসিক সমস্যা ফলে এটাকে উৎসাহিত করা মানে মানসিক সমস্যাকে উৎসাহিত করা। তাছাড়া ট্রান্সজেন্ডার কখনো পুরুষ বা নারী হয়ে উঠতে পারে না কারন বাইরের অর্গান চেঞ্জ হলেও ভিতরের অর্গানগুলো রয়ে যায়। অর্থাৎ তিনি তখন হিজড়াদের মত দুই বৈশিষ্ট্যই শরীরে বহন করেন।
সুতরাং ট্রান্সজেন্ডার প্রবনতা এবং সমকামিতা একটা মানসিক সমস্যা এবং আমার অবস্থান এর বিরুদ্ধে। সামাজিকভাবে একে উৎসাহিত করার বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। সমকামী এবং ট্রান্সজেন্ডার প্রবনতার মানুষদের কাউন্সিলং এর মাধ্যমে স্বাভাবিক করার প্রমান রয়েছে। সুতরাং ট্রান্সজেন্ডার প্রবনতার কিংবা সমকামীদের আমরা মানসিক চিকিৎসার মাধ্যমে সহায়তা করতে পারি।
তবে ইতোমধ্যে যিনি ট্রান্সজেন্ডার তাকে হেয় করার বিপক্ষেও আমার অবস্থান।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২১